করোনা আবহের অবনতি হয়ে চলেছে প্রতিদিনই। রোজই তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন রেকর্ড। কবে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি জানা নেই কারোরই। আর এর মধ্যে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে আগামী দুর্গাপুজোর ভাগ্য। সংক্রমণ যে কলকাতার শতাব্দীপ্রাচীন এই উৎসবের আমেজকে খণ্ডন করবে, তাতে সন্দেহ নেই। তবে এসবের মধ্যেও কলকাতাবাসীর কাছে পুজোর উপহার নিয়ে উপস্থিত কলকাতা মেট্রো। দুর্গাপুজোতেই খুলে যাচ্ছে দক্ষিণেশ্বরের মেট্রো স্টেশন।
মেট্রোরেলের উত্তর-দক্ষিণ শাখা অর্থাৎ নিউ গড়িয়া থেকে নোয়াপাড়ার সম্প্রসারণ এবার থেকে যোগাযোগ স্থাপন করবে দুই পীঠস্থান কালীঘাট এবং দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে। মাত্র ১৫ মিনিটের সীমায় বেঁধে ফেলবে প্রায় ২০ কিলোমিটারের দূরত্বকে। অন্যদিকে দক্ষিণেশ্বর ষ্টেশন থেকে কলকাতা বিমানবন্দরের দূরত্বও মাত্র ১০ কিলোমিটার। ফলে পর্যটকদেরও বেশ খানিকটা সুবিধা হবে।
দক্ষিণেশ্বর পীঠস্থানের কথা মাথায় রেখে মন্দিরের আদলেই রূপ দেওয়া হয়েছে মেট্রো স্টেশনটির চেহারা। সবক্ষেত্রেই থাকছে অভিনবত্বের ছাপ। স্টেশন থেকে স্কাইওয়াকের মাধ্যমে যুক্ত করা হচ্ছে মন্দির প্রাঙ্গণকে। এছাড়াও থাকছে এসক্যালেটর, লিফটের ব্যবস্থা। বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে আলাদা কাউন্টারও। মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানেই এই স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে মেট্রো। পাশাপাশি এর সমান্তরালেই অবস্থান করছে রেলস্টেশন। ফলে রুট পাল্টাতেও অসুবিধা হবে না যাত্রীদের।
দক্ষিণেশ্বর অবধি মেট্রোর সম্প্রসারণের কথা প্রথম ঘোষিত হয়েছিল ২০১০-১১ সালে। তবে কাজ শুরু হয় ২০১৭ সাল নাগাদ। এই প্রোজেক্টের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল জায়গার অভাব। সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠতেই পুরোদমে কাজ এগিয়েছে প্রকল্পের। রেল বিকাশ নিগম সম্প্রতি জানায়, লকডাউন এই গতিকে বেশ খানিকটা ব্যাহত করেছে। কিন্তু সংক্রমণের মধ্যেও থেমে নেই মেট্রোর কাজ। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। খুব শীঘ্রই শুরু হবে ট্রায়ালও।
বিগত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই বন্ধ টালা ব্রিজ। ব্রিজ ভাঙার কারণে শিখরে উঠেছিল যাত্রীদের হয়রানি। সেই ঘাটতিই পূরণ করবে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো। পাশাপাশি দক্ষিণেশ্বরে স্বাভাবিক সময়ে দৈনিক যাত্রীর সংখ্যা গড়ে ৬.৫ লক্ষ। বাস, ফেরি এবং লোকাল ট্রেনের সুবিধা থাকলেও মেট্রোর সংযোজন সেই চাপ কমাবে অনেকটাই। এ ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী রেল বিকাশ নিগম...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
মাটির ৩০ মিটার নিচে, কলকাতায় প্রস্তুত দেশের গভীরতম মেট্রো স্টেশন