এ যেন আরেক সোনার কেল্লার মুকুলের গল্প। তবে, এই গল্প পৃথিবী ছাড়িয়ে চলে গেছে মঙ্গলগ্রহে। অন্তত বরিস কিপ্রিয়ানোভিচ তো তাই মনে করেন। সাত বছর বয়সে সব্বাইকে সে শুনিয়েছিল তার মঙ্গলগ্রহের জীবনের কথা। এমনকি, এই বিশ্বাস তার এখনও।
১৯৯৬ সালে রাশিয়ায় জন্ম নেওয়া বরিস ছোট থেকেই ‘সুপার কিড’। অন্যান্য শিশুদের থেকে অনেক তাড়াতাড়ি তার বিকাশ হয়েছে। মাত্র ১৫ দিন বয়সেই সে বিছানা থেকে উঠতে পারত, কারোর সাহায্য ছাড়াই। মাত্র কয়েক মাস যখন বয়স, তখন থেকেই মুখে বুলি ফুটেছিল তার। দুই বছর বয়সে, রীতিমত খাতা বই নিয়ে পড়তে পারত। আঁকতেও পারত। আর এই যাবতীয় কাজ অত্যন্ত আশ্চর্য লেগেছিল বরিসের মা নাদিয়ার, যিনি নিজে একজন ডাক্তার।
ছোট থেকেই এসবের জন্য বড় আদরের ছিল বরিস। সেই সঙ্গে বাড়ছিল তার মঙ্গল-প্রীতি। অথচ তার বাড়িতে কখনই আলোচনা হয়নি এসব নিয়ে। অন্য কোথাও হয়নি। তাহলে কেমন করে জানল সে? সেই ছোট বয়স থেকেই সে নিজেকে মঙ্গল গ্রহের প্রাক্তন ‘বাসিন্দা’ বলে জানাতে থাকে। সোনার কেল্লায় মুকুলের কথা মনে পড়ছে আপনার? একদম সেইরকমই। সাত বছর বয়সে ক্যাম্পফায়ারের সময় সবাই শোনে এই আশ্চর্য কাহিনি। বরিস বর্ণনা করে তার ‘মঙ্গল’ জীবন। আর সেটাই রেকর্ড করেন সেখানে উপস্থিত এক অধ্যাপক। বিশ্ব জানতে পারে রাশিয়ার ‘বিস্ময় বালক’-এর কথা।
মঙ্গলে একসময় জীবন ছিল কিনা, সেই সম্পর্কে দীর্ঘদিনের গবেষণা বিজ্ঞানীদের। বরিসের বক্তব্য একসময় রীতিমত ঘাবড়ে দিয়েছিল তাঁদের। তাঁরা অবাক হয়ে শুনেছিল মঙ্গলের ‘অধিবাসীদের’ সঙ্গে মিশরের স্ফিংসের সম্পর্ক। আজ, বরিসের বয়স ২২। আজও সে বিশ্বাস করে এসব।
বরিসের কথায়, তার যখন ১৪-১৫ বছর বয়স ছিল, তখন মঙ্গল গ্রহে একটি নিউক্লিয়ার যুদ্ধ হয়। আর তাতেই সেখানকার সমস্ত প্রকৃতি-পরিবেশ চিরতরে ধ্বংস হয়ে যায়।
বরিস যে কোনো কল্প-ধারণায় ডুবে আচ্ছন্ন, তা অনুমান করা যায়। বা এমনও হতে পারে, শিরোনামে উঠে আসার জন্যই এমন আজগুবি গল্প ফেঁদেছিল সে শৈশবেই। কিন্তু যাই হোক, তার এই ‘অসম্ভব’ দাবি যে বিশ্বে সাড়া ফেলেছিল ভালোমতোই, তাতে সন্দেহ নেই।