ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের প্রেক্ষিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রথম বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশই। হয়েছে একাধিক বৈঠক। পাশাপাশি একাধিক অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ আরোপিত হয়েছে রাশিয়ার ওপরে। একদিকে যেমন তলানিতে তলিয়ে গেছে রাশিয়ান রুবেলের আর্থিক মূল্য, তেমনই প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও। এবার পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই উল্টো চাল চালল রাশিয়া (Russia)। ‘শত্রু’ রাষ্ট্রগুলির বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি বা ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি চুরির (Piracy) ছাড়পত্র দিল ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার।
হ্যাঁ, চুরিই বটে। পেটেন্ট সফটওয়্যার থেকে শুরু করে চিপ ডিজাইন এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সম্প্রতি পাইরেসির অনুমোদন দিল ক্রেমলিন। এবার রাশিয়ার অভ্যন্তরে বৈদেশিক যেকোনো কোম্পানির বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির অনুলিপি তৈরি করতে পারবে রুশ সংস্থাগুলি। এই ধরনের অবৈধ ব্যবহার বা চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য সমস্ত আইনি প্রক্রিয়াকেও কার্যত বাদের খাতায় ফেলেছে রুশ প্রশাসন। অর্থাৎ, কোনোরকম অনুমতি ছাড়াই কেএফসি, রোলেক্স কিংবা রোলস রয়েসের মতো কোম্পানিগুলির নাম করেই জালি পণ্য উৎপাদন শুরু করতে চলেছে রুশ সংস্থারা। তা আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রিও করা হবে একই দামে। উল্টোদিকে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক কোম্পানির পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হলেও, কোনো ব্যবস্থা নেওয়া বা ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে না ক্রেমলিন।
রাশিয়ার এই তালিকায় ইউক্রেন ছাড়াও রয়েছে ‘চিরশত্রু’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, গ্রেট ব্রিটেন, আইসল্যান্ড, কানাডা, মোনাকো, নরওয়ে, জাপান এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্যান্য দেশগুলি। এককথায় বলতে গেলে পুতিনের রোষের মুখে গোটা পশ্চিমী দুনিয়াই।
তবে কার্যত কয়েকটি দেশের ওপর রাশিয়ার এই পাইরেসি-যুদ্ধ প্রভাব ফেলতে চলেছে গোটা পৃথিবীতেই। তাতে আন্তর্জাতিক বাজারে বড়োসড়ো সংকট দেখা দিতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন দেখার এই আন্তর্যাতিক তথ্য ও প্রযুক্তি চুরির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় পশ্চিমী দেশগুলি…
আরও পড়ুন
মৃত্যু বনাম ভাগ্যের দ্বৈরথ, কীভাবে জন্ম হয়েছিল রাশিয়ান রুলেটের?
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
রাশিয়ান তেলে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ, বিশ্বজুড়ে বাড়তে পারে পেট্রোপণ্যের দাম