Powered by Froala Editor
ব্রিটিশ রাজপরিবারের কঠোর নিয়ম, স্বাধীনতা নেই পোশাক নির্বাচনেও!
১/৭
সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা যত কমই হোক, তাঁরা যে রাজা-রাজড়াদের থেকে অনেক বেশি স্বাধীন, সে-কথাই যেন প্রমাণ করে ইংল্যান্ডের রাজপরিবার। একসময় যে সাম্রাজ্যে সূর্য অস্ত যেত না, আজ তার জৌলুস অনেক কমে গেলেও রাজকীয় মেজাজ একই আছে। আর এই কারণেই পরিবারের সবাইকে সাজপোশাকের সময় মেনে চলতে হয় কয়েকটি কঠিন নিয়ম। দেখে নেওয়া যাক তেমন কিছু নিয়ম সম্পর্কে।
২/৭
অত্যন্ত ক্যাজুয়াল কোনো কাজের সময় ছাড়া রাজপরিবারের সদস্যদের কখনোই জিন্স পরে দেখা যাবে না। তবে কোনো পোলো খেলার আসরে যুবরাজকে পেয়ে যেতে পারেন জিন্স পরিহিত অবস্থায়। বা পোষা কুকুরকে নিয়ে বাইরে বেরনোর সময়ও জিন্স পরা যেতে পারে।
৩/৭
ঠিক তেমনই ইংল্যান্ডের রাজপরিবারের শিশুদের সবসময় দেখা যাবে শর্টস পরে থাকতে। পরিবারের ঐতিহ্য অনুযায়ী ৮ বছর বয়স না হলে কোনো শিশুই ট্রাউজার পরতে পারবে না।
৪/৭
আর যদি পরিবারের কেউ কোনো কারণে বাইরে যান, তাহলে অবশ্যই জিনিসপত্র নিয়ে যেতে হবে কোনো কালো রঙের স্যুটকেসে। না, বাজারে যতই নিত্যনতুন ফ্যাশান মডেলের স্যুটকেস আসুক, ইংল্যান্ডের রাজপরিবারের সদস্যরা তা কোনোদিন ব্যবহার করতে পারবেন না। আসলে তাঁদের সবসময়ই প্রস্তুত থাকতে হয় পরিবারের কারোর মৃত্যুসংবাদের জন্য।
৫/৭
আর পরিবারের মহিলাদের সাজপোশাক নিয়ে অবশ্য নিয়ম একটু বেশিই। কোনো অনুষ্ঠানেই মহিলারা পা-খোলা জুতো পরতে পারবেন না। জুতো হবে সবসময় পা ঢাকা। চুলের রঙও হবে একদম নিজস্ব। ফ্যাশানের জন্য চুল রঙ করা রাজকীয় নয়। আর অবশ্যই বাইরের মানুষের সামনে যেতে গেলে যেতে হবে ঝলমলে পোশাকে এবং হাতে গ্লাভস পরে। রাজপরিবারের সদস্যদের যেন সহজেই আলাদাভাবে চেনা যায়।
৬/৭
রাজপরিবারের পুরুষরা বাইরে কোট খুলে রাখতে পারলেও মহিলারা পারবেন না। শরীর গরম হয়ে গেলেও কোট পরে থাকতেই হবে। তবে ইংল্যান্ডের রাজপরিবারের মহিলাদের কথা উঠলেই তিয়ারার কথা মনে পড়লেও সব মহিলা কিন্তু তিয়ারা পরতে পারেন না। একমাত্র রাজকুমারী জন্ম থেকেই তিয়ারা পরতে পারেন। বাকিরা বিয়ের আগে কিছুতেই না। এমনকি বিয়ের পরেও হোয়াইট টাই পার্টি ছাড়া তিয়ারা পরার অনুমতি নেই কারোরই।
৭/৭
কী ভাবছেন? ভাগ্যিস সাধারণ মানুষের পরিবারের ঐতিহ্য এত প্রাচীন নয়। নাহলে আজকের ফ্যাশান ইন্ডাস্ট্রিই যে ভেঙে পড়ত।