সাড়ে তিন দশক আগে পৃথিবী সাক্ষী হয়েছিল ভয়াবহ এক পারমাণবিক দুর্ঘটনার। ইউক্রেনের চের্নোবিল শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রে বিস্ফোরণের শিকার হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। বসতি পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছিলেন আরও কয়েক লাখ। এতগুলো বছর পেরিয়ে এসেও তেজস্ক্রিয়তা ধরে রেখেছে চের্নোবিল। কিন্তু কতটা? এবার সেই সন্ধানেই বিজ্ঞানীরা নিযুক্ত করলেন কুকুরকে। তবে আদতে সে কুকুর রোবট। চতুষ্পদ রোবো-ডগ ‘স্পট’ তেজস্ক্রিয়তার পরিমাণ চিহ্নিত করে তৈরি করবে চের্নোবিলের একটি তেজস্ক্রিয় মানচিত্র।
সেন্ট্রাল এন্টারপ্রাইস ফর রেডিওঅ্যাকটিভ ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এবং ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালইয়ের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে এই কর্মকাণ্ডে নেমেছেন। চের্নোবিলের এক্সক্লুশন জোনের চার নম্বর শক্তিকেন্দ্রে সম্প্রতি দেখা মিলল হলুদ রঙের চতুষ্পদ এই রোবটের। চের্নোবিলের মূল তেজস্ক্রিয় আধারকে ঢেকে দেওয়া হলেও তা থেকে আজও অব্যহত তেজস্ক্রিয় বিকিরণ। স্পট এই অঞ্চলের চারপাশে ঘুরে ঘুরে বিকিরণের মাত্রার পরিমাপ নেবে।
চের্নোবিলের বহুদূরে প্রিপ্যাট জনবসতিও ফাঁকা করতে হয়েছিল তেজস্ক্রিয় বিস্ফোরণের জন্য। বর্তমানে সেই অঞ্চলেই নতুন করে জনবসতি তৈরি করা যায় কিনা, তাই পরীক্ষার বিষয় বিজ্ঞানীদের। এর আগেও চের্নোবিল সংলগ্ন রেড ফরেস্ট বনভূমি অঞ্চলে পরীক্ষা করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। ড্রোনের মাধ্যমে তৈরি করেছিলেন রেডিয়েশন-ম্যাপিং। কিন্তু শক্তিকেন্দ্রের একেবারে ভিতরে এই ধরণের পরীক্ষামূলক উদ্যোগ এই প্রথম। সকলেই তাকিয়ে রয়েছেন ফলাফলের দিকে। তেজস্ক্রিয়তার মাত্রাকে আদৌ আটকানো যাবে কি ভবিষ্যতে, তা নিয়েই সংশয়ে বিজ্ঞানীরা...
Powered by Froala Editor