সেইসব পাড়া টারা – ৯
আগের পর্বে
ষাট দশকের শেষে কলকাতা ছেড়ে দমদমে চলে আসা। আলাপ হয়েছিল টালুদা, দিলীপদা, কমলদা, বুলুদা, বিকাশদাদের সঙ্গে। তারপরেই ছড়িয়ে পড়ে সত্তরে আগুন। পাইপগান ঝলকে উঠত প্রায়শই। বোমা, মলোটভ হাতে প্রস্তুত থাকত ছেলেরা পাড়ায় পাড়ায়। আর ছিল পুলিশ, সিআরপির টহল। দিলীপদা অন্যান্য সঙ্গীদের বাঁচাতে পুলিশের বুলেটে ঝাঁঝরা হয়েও লড়ে গেছিল একাই। টালুদা দীর্ঘদিন ছিল জেলে। তারপর মুক্তি পেয়ে জড়িয়ে পড়েছিল লিটিল ম্যাগাজিনে। সঙ্গী হয়েছিল দারিদ্র্য। সেই বিপ্লবের আগুন শেষ বয়সে ঘুমিয়ে পড়েছিল বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে...
টিকা - পার্ক সার্কাসের সংখ্যালঘু মহল্লা। এই অঞ্চলের প্রধান একটি বৈশিষ্ট হইল অলিগলিতে অসংখ্য গোমাংসের দোকান এবং টালির চালওয়ালা অতি সস্তা খাদ্যের সব হোটেল। সেইখানে যাহারা দুইবেলা খান তাহাদের অধিকাংশই বিহার ও উত্তরপ্রদেশ হইতে আগত সংগঠিত এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের পরিযায়ী শ্রমিক। এইসব পল্লী অনেক রাত অবধি জাগিয়া থাকে আবার ভোর হইতে না হইতেই জাগিয়া উঠে। প্রায় সর্বদাই জাগিয়া থাকা এবং অতীব কোলাহলপূর্ণ এই অঞ্চলটিতেই শুরু হইয়াছিল এই শহরে আমাদের পরিবারের তৃতীয় পর্যায়ের সংসার পত্তন। অতঃপর অধিকতর কিছু লিখিতে গেলে টিকাতেই সবকিছু বিশদে লেখা হইয়া যাইবে, ফলে আর বিলম্ব না করিয়া বিশদে অর্থাৎ মূল প্রসঙ্গে প্রবেশ করা অত্যন্ত জরুরি।
এই পর্বে পাঠকদের প্রথমেই যেটা জানিয়ে রাখা প্রয়োজন, পার্ক সার্কাসে আমি যখন আসি সেসময় অর্থাৎ ৭০ দশকের মধ্যভাগে এই অঞ্চলটি সামাজিক অবস্থানগত দিক থেকে সরাসরি দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে বিশাল বিশাল সব পুরনো আমলের সাহেবি কেতার বাড়ি। উচ্চ এবং উচ্চ মধ্যবিত্ত মানুষজনের বাস। এককথায় যাকে বলে অভিজাত এলাকা। এর মধ্যে ওরিয়েন্ট রো, সার্কাস অ্যাভেন্যু, কর্নেল বিশ্বাস রোড, লোয়ার রেঞ্জ, মেফেয়ার রোড, কংগ্রেস এগজিবিশন রোড, বেকবাগান রো, ঝাউতলা রোড ইত্যাদির নাম উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে অসম্ভব দরিদ্র সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বিশাল বস্তি অঞ্চল। যার মধ্যে জাননগর রোড, হাড্ডিবাগান, ঘাসবাগান, সামশুল হুদা রোড, মিয়াজান ওস্তাগার লেন, চমরু খানসামা লেন, তিলজলা, দারাপাড়া, তপসিয়া অন্যতম।
এহেন সংখ্যালঘু পাড়া সামশুল হুদা রোডে ছোটখাটো একফালি মাঠের ওপর একটা লম্বাটে ব্যারাক টাইপের বেজায় পুরনো দোতলা ফ্ল্যাটবাড়িতে বারোটা ফ্ল্যাটের একটায় মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় আমাদের পরিবারের। এলাকাটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত হলেও এই ফ্ল্যাটবাড়ির বাসিন্দারা প্রত্যেকেই মধ্যবিত্ত বাঙালি হিন্দু এবং দেশবিভাগের পর পূর্ববঙ্গ থেকে আগত। উপার্জণক্ষম ব্যক্তিরা প্রত্যেকেই প্রায় চাকুরিজীবী, দুয়েকজন ওই ইংরিজিতে যাকে বলে - সেল্ফ এমপ্লয়েড প্রফেশনাল। যেহেতু দুজন বাঙালি একজায়গায় হলেই একটা কালীবাড়ি বা ক্লাব, নিদেনপক্ষে একটা দুগগাপুজো করবেই, এখানেও সে নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটেনি। ফলে ওই মাঠে দেশবিভাগের প্রায় গায়ে লেগে লেগেই ওই মাঠে শুরু হয়ে যায় দুর্গা, কালী এবং সরস্বতী পুজো। ফলে অচিরেই মাঠটির নাম হয়ে যায় ‘দুগগি ময়দান’ ( সংখ্যালঘু জবানে দুর্গার অপভ্রংশ )। পরবর্তীতে সরস্বতী পুজো বন্ধ হয়ে গেলেও দুর্গা এবং কালী ঠাকরুন আজো ফি-বছর স্বমহিমায় আগমন করেন সামশুল হুদা রোডের এই দুগগি ময়দানে। এই দুগগি ময়দান এবং আমাদের নতুন বাসস্থল প্রসঙ্গে আবার ফিরব তবে তার আগে এই এলাকা সম্বন্ধে কিছু অন্য অভিজ্ঞতার কথা শোনাই।
এখানে আসার পর সর্বপ্রথম যে ব্যাপারগুলো আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য এপাড়ার গলিঘুঁজিতে অসংখ্য গোমাংসের দোকান। আজকের বাজারে দুশো কুড়ি টাকা কেজির বোনলেস বিফ তখন তিন টাকা কিলো। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দামও পড়তে থাকত। দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে খদ্দের টানতে গলা ফাটিয়ে চ্যাঁচাত কশাইরা - “দো রুপিয়া কিলো / ছিলো অওর গিলো ( দু টাকা কিলো / ছেঁড়ো আর খাও )।”
আরও পড়ুন
বিপ্লব অসমাপ্ত রেখে, রেসের মাঠেই ঘুমিয়ে পড়েছে বুনো ঘোড়া
গোমাংস বিক্রির ক্ষেত্রে একটা ব্যতিক্রমী নিয়মের কথা শোনাই। খাসি অথবা মুরগির মাংসের দোকানে মেটে, ফেঁপড়া ইত্যাদি একই দোকানে বিক্রি হয়। গোমাংসের ক্ষেত্রে কিন্তু এসব বিক্রি হয় আলাদাভাবে, অন্য দোকানে। স্থানীয় লব্জে এইসব দোকানের নাম - দিল-কলিজি-ফেঁপড়াকা দুকান। এর পাশাপাশি সস্তা হোটেলগুলো এবং তাদের নিয়মিত গ্রাহক পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা তো আগেই কিছুটা বলেছি। দেশে পরিবার পরিজন ফেলে আসা এইসব শ্রমিকরা একসঙ্গে গাদাগাদি করে বস্তির একেকটা খুপড়ি ঘরে থাকেন। রান্না করে খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই আর সেটা সম্ভবও নয়। সেই সত্তরের মধ্যভাগে এ-মহল্লায় আসা ইস্তক দেখে আসছি ব্যাপারটা। সেই ট্র্যাডিশন আজো সমানে চলেছে। সেসময় গোটাচারেক ফুলো ফুলো তন্দুরি (এপাড়ার জবানে ‘নান’) রুটি সহযোগে একপ্লেট অসামান্য স্বাদের বিফ ভুনা গোস্ত খাওয়ার খরচ ছিল সাকুল্যে মেরেকেটে দু থেকে আড়াই টাকা। আজ সেটা বাড়তে বাড়তে এসে ঠেকেছে বড়জোর পঁচিশ ছাব্বিশ টাকায়। তবুও কি অসম্ভব সস্তা আজো এই বাজারে। স্রেফ ভাবা যায় না! স্থানীয় ভাষায় সেইসব চুলিয়া হোটেলগুলো (চারযুগের ওপর চেষ্টা করেও ‘চুলিয়া’ বিশেষণের উৎসটা জানতে পারিনি আজও) এই লক-ডাউনের বাজারে ঝাঁপ ফেলতে বাধ্য হওয়ায় ওদের বারোমেসে গ্রাহক ওইসব শ্রমিকরা কি অসহনীয়, অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্যে পড়েছিলেন সেটা নিজের চোখে দেখা। ওরকম একেকটা দশফুট বাই দশফুট বস্তির ঘরে রাষ্ট্রের বেঁধে দেয়া ‘সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং’-ই বা মেইন্টেইন করছিলেন এরা বা এখনো করছেন কী করে? রাতে গাদাগাদি করে শোয়ার সময় তো মুখের মাস্ক খুলতেই হয় নাকি মাস্ক পরেই…? এসব কথা ভাবলেই কিরকম হিম হয়ে যায় বুকের ভেতরটা! তবে এতসবকিছুর মধ্যেও এদের একজনও পাঁচশো-হাজার মাইল পায়ে হেঁটে নিজের গ্রামের উদ্দেশ্যে মরণপণ পাড়ি জমাননি। অথবা ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বাধ্যও করেনি কেউ। আসলে কোনো সরকারি নীতিটিতি নয়। এটা বাংলার মাটি। বাংলার কৃষ্টিই এধরনের সহনশীলতা আর সহমর্মিতা শেখায়। শুধু বাঙালি অথবা বাংলার মানুষ নন, এখানে যাঁরাই এসেছেন, একাত্ম হয়ে মিশে গেছেন এই ‘সবাই মিলে বেঁচে থাকার’ সাংস্কৃতিক ধারার সঙ্গে। অন্যত্র যার দেখা পাওয়া অত্যন্ত বিরল। কিঞ্চিৎ কটু এবং রাজনৈতিক শোনালেও বলতেই হল কথাটা, উপায় নেই।
এই দেখুন কী কাণ্ড! লিখতে গেলাম মুসলমান পাড়ার হোটেল নিয়ে, কোত্থেকে লকডাউন, পরিযায়ী শ্রমিক… ‘বেয়াড়া’, ‘বেখাপ্পা’, ‘অপ্রিয়’ সব ব্যাপারস্যাপার এসে ভিড় জমালো। তবে আমার গদ্যরীতির সঙ্গে অতি সামান্য যে কয়েকজন পাঠক পরিচিত তারা জানেন এরকমটা ঘটতেই থাকবে বারবার। ফলে খ্যামাঘেন্না করে পড়ে নেবেন এটুকু আশা করা যায়। যাই হোক, আবার চুলিয়া হোটেল প্রসঙ্গে ফিরি। এই সব হোটেলেরই একটা কমন ফ্যাক্টর বা ট্যাগমার্ক আছে। সেটা হল ঢোকার দরজার একপাশে জ্বলন্ত চুল্লির ওপর বসানো বিশালকায় চাঁপের থালা। অন্যপাশে ঢিমে আঁচের লম্বাটে উনুনের ওপর সেঁকতে থাকা শিককাবাব। বেহেস্তের খুশবু বাতাসে!
আরও পড়ুন
খাওয়ার মাঝখানে বরের মামাকে কান ধরে টেনে তুললেন সাধনকাকা, তেড়ে এল বরযাত্রীরা
এইসব চুলিয়া হোটেলেও কর্মচারীরা নিজের কাজ, যোগ্যতা এবং পদমর্যাদা অনুযায়ী বিভক্ত, হুবহু আর পাঁচ দশটা সরকারি-বেসরকারি দফতরের মতোই। পদ অনুযায়ী নামও রয়েছে হরেকরকম। যেমন পাচক ‘বাওয়ার্চি’ বা ‘বাবুর্চি’, পাচকের সহকারী ‘মশালচি’, পরিবেশনকারী ‘মেচিয়াল’, বাসনপত্র ধোয়া, ঝাড়ুপোঁছা থেকে শুরু করে যে কোন ফাইফরমাশ খাটার কমবয়েসী ( অনেকক্ষেত্রেই শিশুশ্রমিক ) নাম “টেনিয়া’। তবে যোগ্যতা বা অধ্যবসায় থাকলে একজন টেনিয়াও যে সর্বোচ্চ স্তরে উঠতে পারে, সেরকম উদহারণও রয়েছে একাধিক। যেমন ভুট্টোভাই। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান। জীবন শুরু করেছিলেন ছোটো একটা চুলিয়া হোটেলের টেনিয়া হিসেবে। সেখান থেকে সাফল্যের সিঁড়ি চড়তে চড়তে শহরের নামী এক মোগলাই রেস্তোরাঁয় বিশাল অংকের মাইনের প্রধাণ বাবুর্চি। তবে সেখানেই আটকে যাওয়ার লোক ছিলেন না ভুট্টোভাই। খুলে বসেন নিজের স্বাধীন ব্যবসা। বাঙালি-অবাঙালি ধনী-রহিসি সব হিন্দু-মুসলমান বাড়ির অনুষ্ঠানে ডাক পড়ে নিয়মিত। নিজের টিম নিয়ে পৌঁছে যান ভুট্টোভাই। ওরকম দুয়েকটা অনুষ্ঠান বাড়িতে ওর হাতের বিরিয়ানি চাঁপ, লাচ্ছা পারাটা, শাম্মি কাবাব, জর্দা পোলাও আর বুরহানি (হজমকারক মশলাদার ঘোল) খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে এই অধমের। খেতে কীরকম? জবাবে মঘনলাল মেঘরাজের মত একটাই কথা খরচ করব - “নাজুক! নাজুক!”
নাঃ, লেখাটা কেমন যেন ফের সেই খাওয়াদাওয়ার রাস্তায় ঢুকে পড়ছে বলে মনে হচ্ছে। এক্ষুনি অন্য রুটে স্টিয়ারিং ঘোরানো দরকার। চলুন এবার রূপসৌন্দর্য বিষয়ক হোক একাধটু। অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের মানুষজনকে আমার খুব কাছ থেকে দেখা এই পার্ক সার্কাসে এসেই। বিশেষত সেইসব মেনকা, রম্ভা, উর্বশীসুলভ উথালপাথাল চেহারার অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান ললনাদের। জিরো সাইজ ফিগার, স্লিভলেস টপ, মাইক্রো মিনি স্কার্ট, স্কিন টাইট স্ল্যাক্স আর পাদপদ্মে পেন্সিল হিলের খটাশ খটাশ শব্দ তুলে মার্জার ভঙ্গিমায় এইসব উর্বশীরা পাশ দিয়ে চলে যেত তখন বুকের ভেতরটায় কিরকম একটা দমবন্ধ দমবন্ধ ঠেকত যেন। সেকেন্ড কয়েকের মধ্যে কমপক্ষে লিটারতিনেক ঘাম বেরিয়ে যেত শরীর থেকে। এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার সেটা সত্তর দশকের মধ্যভাগ। গড়পার, দমদম এমনকি পার্ক সার্কাসে আমাদের নয়া ঠিকানা ওই ফ্ল্যাটবাড়িতেও মেয়েরা সবাই সরাসরি ফ্রক থেকে শাড়িতে প্রমোশন পেত সেসময়। ফলে কুচযুগে সূচাগ্রসুলভ বক্ষবন্ধনী শোভিতা(কোন স্বর্গীয় কারখানায় ওরকম বক্ষবন্ধনী তৈরি হত কে জানে বাবা) ওইরকম সুন্দরী বলতে এর আগে আমার অভিজ্ঞতা বলতে শুধু খবরের কাগজ এবং ইন্দ্রজাল কমিকস বইয়ের পাতায় ম্যানড্রেকের নার্দা আর অরণ্যদেবের ডায়না পামার। তবে বছরখানেক বাদে ওই এলাকার জলবায়ুতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ার পর খানিকটা চোখসওয়া হয়ে গেছিল.ব্যাপারটা।
আরও পড়ুন
কে সি দাসের দোকানে নিয়ে গিয়ে রসগোল্লা খাওয়াল ‘কিং কং’
এখানে অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের সম্পর্কে কয়েকটা তথ্য না দিলে বোধহয় লেখাটার প্রতি খানিকটা অবিচারই করা হবে। আমার জীবনে এরকম প্রাণখোলা এবং উদারমনস্ক সম্প্রদায় আর দুটি দেখিনি। পেটে একরকম আর মুখে আরেকরকম ব্যাপারটা এদের ডিকশনারিতেই নেই। আবার একইসঙ্গে ব্রিটিশ আমল যে কী স্বর্গসম ছিল এবং সেই স্বর্গরাজ্যে অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের যে কী পরিমাণ সম্মান দেয়া হত তা নিয়ে প্রচুর হাহুতাশও শুনেছি প্রবীণের মুখে। জীবনের সায়াহ্নে এসেও ওই ব্রিটিশ বা ইওরোপিয়ান প্রিভিলেজটা কোনদিন ভুলতে পারেননি তাঁরা।
অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের আরেকটা মহৎ গুণ পশুপ্রেম। শতকরা নব্বইভাগ বাড়িতেই কুকুর (দেশি বা বিদেশি), বেড়াল, নিদেনপক্ষে পায়রা, খরগোশ বা গিনিপিগ পাওয়া যাবেই। অন্যান্য পারিবারিক সদস্যদের মতোই আদরযত্নে লালিতপালিত হয় এইসব না-মানুষী পোষ্যরা। চরম আর্থিক দুর্দশার মধ্যেও পোষা কুকুরটির জন্য মাংসের ছাঁট কিনতে এসেছেন কোনো প্রবীণা, এরকম দৃশ্য একাধিকবার চোখে পড়েছে পার্ক সার্কাস বাজারে।
আরও পড়ুন
তিনতলার ছাদ থেকে ঝাঁপ সুবীরের, আতঙ্কে চোখ বন্ধ করে ফেলল সবাই
অলংকরণ - প্রণবশ্রী হাজরা
Powered by Froala Editor