সেইসব পাড়া-টারা – ১০
আগের পর্বে
দমদম থেকে উঠে এসে পার্ক সার্কাসে আমাদের তৃতীয় পর্যায়ের সংসার পত্তন। সামশুল হুডা রোডের কাছে এক পুরনো ফ্ল্যাটবাড়িতে। সেখানের খান বারো পরিবারই ছিল বাঙালি। সকলেই পূর্ববঙ্গের। যাই হোক পার্ক সার্কাসের কথা উঠলেই আসবে খাবারের দোকানের কথাও। ছোট ছোট চুলিয়া হোটেলগুলো আজও চলছে স্বমহিমায়। পাড়ায় পাড়ায় ছিল গোমাংসের দোকান। তবে এসবের বাইরেও যা বলা আবশ্যিক তা হল অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের মানুষদের কথা। অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান ললনাদের খুব কাছ থেকে দেখা এই পার্ক সার্কাসে এসেই। ওরম সুন্দরী আগে শুধুমাত্র খবরের কাগজে কিংবা কমিক্স বইয়ের পাতাতেই শুধু দেখা।
বর্ন স্পোর্টসম্যান বা অ্যাথলিট। কথাটা বোধহয় একশ শতাংশ প্রযোজ্য অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের ক্ষেত্রে। ডঃ ভেস পেজ, জেনিফার পেজ, লিয়েন্ডার পেজ, লেসলি ক্লডিয়াস, ববি ক্লডিয়াস, জেমস ফেন, ইউজিন জেনিংস, রনি মুর (জাতীয় চ্যাম্পিয়ন বক্সার এবং কোলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার), ডেনিস উইলিয়ামসন, মাইকেল আগা, কার্লটন চ্যাপম্যান, এদের কথা যদি বাদই দিই, তারপরেও এই চেনা পরিধির বাইরেও এতসব মনিমানিক্যের সমাহার! সঠিক শুশ্রূষার অভাবে যারা ঝরে গেছে অকালে, অনাদরে, বড় অবহেলায়। এদের মধ্যে তিনজনের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটেছিল পার্ক সার্কাসে আসার পর আমার একদম প্রথমদিককার বন্ধু এভারস্মার্ট অ্যান্ড হ্যান্ডসাম, রেঞ্জার্স ক্লাব এবং ডন বস্কো স্কুল ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন শুভ দাসগুপ্ত ওরফে বেবুর সূত্রে। প্রথমজন রবি। রবার্ট রোজারিও। রেঞ্জার্সে ক্রিকেট টিম ক্যাপ্টেনের আর্মব্যান্ডটা রবির থেকেই এসছিল বেবুর হাতে। রবি রোজারিও। ক্যালকাটা রেঞ্জার্সের ক্রিকেট ক্যাপ্টেন কিন্ত সিইএসসি-তে চাকরিটা পেয়েছিল হকি খেলার দৌলতে। ফলে দুটো টিমের হয়ে হকি আর ক্রিকেট দুটোই দাপিয়ে খেলেছিল দীর্ঘকাল কলকাতা ময়দানের ফার্স্ট ডিভিশন লিগে। সিইএসসি-র চাকরিটা ছাড়া আর কোনকিছুই কপালে জোটেনি অসাধারণ এই খেলোয়াড়টির।
দ্বিতীয়জন রিচার্ড হুপার। আমার চোখে দেখা অলৌকিক ফিটনেসের অধিকারী এক অল রাউন্ড দক্ষতাসম্পন্ন অ্যাথলিট। ক্রিকেট, হকি, ফুটবল তিনটেই খেলতে পারত অনায়াস দক্ষতায়। সকালে আনন্দ পালিত রোডের রেলব্রিজ মাঠে বিখ্যাত দুদিন ব্যাপী ফুটবল টুর্নামেন্টে কোয়ার্টার ও সেমি ফাইনালে (একেকটা ম্যাচ ৫০ মিনিট) গোটাতিনেক গোল করে টিমকে ফাইনালে তুলেছিল। মাঠের ধারে অপেক্ষা করছিল পার্ক সার্কাসের এক ক্রিকেট টিমের কর্মকর্তারা। খেলা শেষ হওয়ামাত্র ট্যাক্সিতে তুলে সোজা পার্ক সার্কাস ময়দান। লিমিটেড টেন ওভারস ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল। আজো মনে আছে রিচার্ডের সাইক্লোনসম সেই নট আউট হাফ সেঞ্চুরি! চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রিচার্ডের দল, বলাই বাহুল্য।
এই অবধি পড়ে যাদের কাছে ব্যাপারটা টেনিদা বা ঘনাদা মার্কা ঠেকছে তাদের অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি পরদিন আনন্দ পালিত রোডের ওই ফুটবল টুর্নামেন্টে রিচার্ডের গোলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ওর টিম। তবে অবাক হওয়ার বাকি ছিল তখনো। খেলা শেষ করেই এক সমর্থকের স্কুটারের পেছনে বসে কাছেই অনরেট সেকেন্ড লেনের বিখ্যাত সেই হকি মাঠে গিয়ে হাজির হয়েছিল রিচার্ড। হাফটাইমের পর থেকে ম্যাচটা খেলেছিল পুরো তিরিশ মিনিট।
সত্তর থেকে নব্বই দশকের মধ্যভাগ, পর্যায়ক্রমে কলকাতায় খেপ ফুটবলের দুনিয়া শাসন করেছিল তিনজন - পুঙ্গব কান্নন, রিচার্ড হুপার আর শেখ মুমতাজ। চূড়ান্ত উচ্ছৃঙ্খল আর অসংযত জীবনযাপন - খেলোয়াড় জীবন সংক্ষিপ্ত করে দিয়েছিল তিনজনেরই। এদের মধ্যে রিচার্ডের নামটা সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য এই কারণে - কান্নন বা মুমতাজ কেউই ওর মতো তিনটে খেলাই খেলতেন না। দ্বিতীয়ত ফুটবলার হিসাবে খ্যাতি আর স্বীকৃতিটুকু অন্তত পেয়েছিলেন জীবনে। হতভাগ্য রিচার্ডের কপালে সেটুকুও জোটেনি। সম্ভবত খানিকটা নিজের দোষেই। খেপ থেকে রোজ উপার্জনকৃত কাঁচা টাকা। চুড়ান্ত মদ আর ড্রাগের নেশা। এরসঙ্গে সম্প্রদায়সূত্রে অর্জিত ‘হ্যাপি গো লাকি’ এবং ডোন্ট কেয়ার মানসিকতা। শোনা কথা, কলকাতা ময়দানে একাধিক ক্লাবের প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়েছিল ফুৎকারে। “ফাক অফ ম্যান! আয়াম অল রাউন্ডার রিচার্ড হুপার। কিঁউ যায়গা হাম মরনে ক্যালকাটা ময়ডান মে। মেরা খেপ ফুটবল অওর ক্রিকেট কা ডুনিয়া জিন্ডাবাড।” বলত হাসতে হাসতে অনুনকরণীয় অ্যাংলো ইন্ডিয়ান অ্যাকসেন্টে। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছিল। অনাদরে অবহেলায় খেপ খেলার দুনিয়া থেকে একদিন হারিয়েই গেছিল রিচার্ড হুপার - এই নামটা। পরবর্তী ইতিহাস অত্যন্ত করুণ! এক পথদুর্ঘটনায় মারাত্মকরকম আহত হয়ে একটি পা খোয়া যায়। অন্তিম পরিণতি অজানা। ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে হয় এই ভেবে যে অসামান্য এই ক্রীড়াবিদের খেলা নিজের চোখে দেখেছি আমি।
আরও পড়ুন
অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান মেয়েদের দেখে দমবন্ধ ভাব; সুন্দরী দেখার অভিজ্ঞতা পার্ক সার্কাসে এসেই
তৃতীয়জন পিটার আগা। বেঙ্গল স্কুল ফুটবল টিম আর মোহনবাগান ক্লাবের মিডফিল্ডার মাইকেল আগার ছোট ভাই। বাবা কোলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট। মা শহরের এক নামী স্কুলে ইংরিজির শিক্ষিকা। এহেন পিটারের ‘ফার্স্ট লাভ’ ছিল বক্সিং। সত্তর-আশির দশকে ওয়েলিংটন এস ও পি সি আর মুসলিম ইন্সটিটিউটের বক্সিং রিং কাঁপাতো পিটারের দস্তানা পড়া হাতজোড়া। যতটা ওপরে ওঠার কথা ছিল, উঠতে পারেনি ঠিক ওই রিচার্ডের মতই ‘নাথিং সিরিয়াস’ মানসিকতার জন্য। তবে আমার জীবনে দেখা সেরা দুঃসাহসীদের মধ্যে অন্যতম একটি নাম পিটার আগা।
পাড়ায় পিটারের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল মইনুদ্দিন ওরফে মৈও। ব্রুস লির ‘এন্টার দ্য ড্রাগন’ মনে আছে? মৈওর চেহারাটা হুবহু ওইরকম। সাপখেলানো হিলহিলে পেশিবহুল! বর্ন স্ট্রিট ফাইটার। সোসাইটি সিনেমায় কুখ্যাত গোটাপাঁচেক ব্ল্যাকারের বিরুদ্ধে একা লড়তে দেখেছিলাম একবার। এহেন মৈওর সঙ্গে একদিন সক্কাল সক্কাল সাপে-নেউলে বেধে গেল পিটারের। উভয়পক্ষই যখন একে অপরকে উদ্দেশ্য করে চোখা চোখা বাক্যবর্ষণ আর হুমকিপ্রদানে ব্যস্ত, ডিউটিতে বেরোচ্ছিলেন পিটারের বাবা, গন্ডগোল শুনে ইউনিফর্ম পড়েই নেমে এলেন নিচে। চোখ সরু করে তাকালেন মৈওর দিকে। “হেই মৈও, কেয়া ঠুম বহোট বড়া গুন্ডা বন গিয়া হ্যায়, ম্যান? ডু ইউ ওয়ান্ট টু ফাইট উইথ মাই সন? কাম অন, ফাইট! আয়াম দ্য রেফারি।”
আরও পড়ুন
বিপ্লব অসমাপ্ত রেখে, রেসের মাঠেই ঘুমিয়ে পড়েছে বুনো ঘোড়া
ব্যস! এহেন ঘোষণার পরমুহূর্তেই বেধে গেল ধুন্ধুমার লড়াই। মিনিট দশেক এরকম চলার পরে দুই যুযুধান পক্ষকে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন করে “ম্যাচ ড্র!” ঘোষণা করলেন রেফারি। “বোথ অফ ইউ আর ভেরি গুড ফাইটারস!” বলে উভয়ের পিঠ চাপড়ে পাঁচটা করে টাকা দিয়ে লাল এনফিল্ড বাইক স্টার্ট করে বেরিয়ে গেলেন সার্জেন্টসাহেব।
প্রিয় পাঠক, আশা করি এই ঘটনা থেকে অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান মানসিকতা বুঝতে আপনাদের সুবিধা হবে কিছুটা। বিশেষত যাদের এই সম্প্রদায়টি সম্পরকে ন্যূনতম ধারণা টুকুও নেই। চার নং পুলের গায়ে ১১৪ নম্বর নিউ পার্ক স্ট্রিটের লাল বাড়িটা ছেড়ে কবেই উঠে গেছে পিটার আগারা। কিন্তু আজো ওই বাড়িটার সামনে দিয়ে গেলেই শুনতে পাই সার্জেন্ট সাহেবের সেই বাজখাঁই গলা। “কাম অন ফাইট! আয়াম দ্য রেফারি।”
আরও পড়ুন
খাওয়ার মাঝখানে বরের মামাকে কান ধরে টেনে তুললেন সাধনকাকা, তেড়ে এল বরযাত্রীরা
এবার একটু অন্যরকম একজনের গল্প শোনাই। জন ফারনান্ডেজ বা জন আঙ্কেলের গল্প। জন সাহেব পার্ক সার্কাস ট্রাম ডিপো অঞ্চলে বিখ্যাত ছিলেন চারটি কারণে। প্রথমত তিনি পার্ক সার্কাস ট্রাম ডিপোর ম্যানেজার। দ্বিতীয়ত ওনার বিপুলকায়া জাঁদরেল গিন্নি, যার দাপটে বাড়ির ছাসে কাক-চিল বসার জোগাড় ছিল না আক্ষরিক অর্থেই। তৃতীয়ত গৃহপালিত পোষ্য এবং অতি আদরে বাঁদর এবং খেঁকুরে জিমি নামক ফক্স টেরিয়ার কুকুরটি, যার মেজাজ হুবহু জনগিন্নির অনুসারী। তবে সেরার সেরা আকর্ষণ বা কারনটি ছিল জন সাহেবের একমাত্র কন্যা জুলিয়া। সেসময় নামী একটি বহুজাতিক কোম্পানির স্টেনো কাম টাইপিস্ট (তখন শহরের দেশি-বিদেশি সওদাগরি আপিসগুলোয় ওই বিশেষ পদটিতে অ্যাংলো ললনাদের দখলদারি ছিল একচেটিয়া)। স্লিভলেস টপ, মাইক্রো মিনি স্কার্ট আর পেন্সিল হিল পাদুকায় শোভিত হয়ে রোজ সকাল নটায় যখন আপিসের বাসে উঠত, গোটা পার্ক সার্কাসের হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যেত সেকেন্ড -কয়েকের জন্য।
জন আঙ্কেলের ট্রাম ডিপোর কোয়ার্টারে ছেলেপুলেরা উঁকিঝুকি মারত মূলত দুটি কারণে। এক - ট্রাম ডিপোর ভর্তুকিযুক্ত ক্যান্টিনে বেজায় সস্তা তিরিশ পয়সার টিফিন-কুপন (চারটি প্রমাণ সাইজ লুচি, ছোলার ডাল অথবা আলুর দম, একপিস মিষ্টি)। দুই - এই বাহানায় ফাঁকফোকরে যদি একঝলক জুলিয়া দর্শন ঘটে যায়। জনসায়েবের মেজাজ শরিফ থাকলে প্রথম অভীপ্সাটি পূর্ণ হত মোটামুটি সহজেই। কিন্তু দ্বিতীয় অভিপ্রায়টি জনগিন্নির বিপুল অভিজ্ঞ চোখে একবার ধরা পড়ে গেলে আর রক্ষে নেই। ইংরিজি হিন্দি মিক্সড ককনি কাঁচা গালাগাল থেকে হাইহিল পেটা, সবই জুটতে পারতো কপালে। ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত দুয়েকজনের এরকম করুণ অভিজ্ঞতার কথা জানা ছিল ফলে নিজে কোনদিন পা রাখার সাহস হয়নি জনসায়েবের কোয়ার্টার চত্বরে। তবে বন্ধুদ্বয় দেবু ও উৎপল জনআঙ্কেলের দস্তখত করা সাবসিডি কুপন নিয়ে কোয়ার্টার থেকে বেরিয়ে এলে ওদের সঙ্গে লুচি-আলুরদমের ভাগীদার হয়েছি বহুবার।
আরও পড়ুন
কে সি দাসের দোকানে নিয়ে গিয়ে রসগোল্লা খাওয়াল ‘কিং কং’
এহেন জনসায়েবের সাট্টার নেশা ছিল প্রচন্ড। সাট্টা, একধরণের জুয়া, অনেকটা ওই আমেরিকান মাফিয়াদের নাম্বার গেমের মত, কলকাতা শহরে পা রেখেছিল ৭০ দশকের মাঝামাঝি এক মুম্বাইয়া গ্যাংস্টার রতনলাল ক্ষেত্রীর হাত ধরে। এ প্রসঙ্গে আগে যেহেতু একটি দীর্ঘ প্রতিবেদনে লিখেছি ফলে এ নিয়ে আর সবিস্তারে গেলাম না, তারচে বরং জন আঙ্কেল প্রসঙ্গে ফিরি আবার। সেদিন অনেক ক্যাল্কুলেশন করেটরে একটা পাত্তি (যে নিয়মে এক টাকায় একশ টাকার ওপর পাওয়া যায়) নম্বর লাগিয়েছিলেন প্রায় শখানেক টাকার। সাট্টা খেলা হত দিনে দুবার। নাম ‘ওপেন’ আর ‘ক্লোজ’। ক্লোজে পেমেন্টের খবর আসতো রাত বারোটা থেকে সাড়ে বারোটার মধ্যে। জন আঙ্কেলের কোয়ার্টার ঘেঁষা পাঁচিলের গায়েই আজ যেখানে ঝাঁ-চকচকে মোগলাই খানার বিখ্যাত রেস্তোরাঁ জিশান, সেসময় সেখানে একটা আদ্যিকেলে ভাঙ্গাচোরা খন্ডহর। তারমধ্যে একটা ধোবিখানা, অন্যপাশে আলম আর আমিনের সাট্টার ঠেক। সাট্টার ঠেকের পেনসিলার শামিম ওরফে গোরা, বছর চোদ্দ পনেরোর বেজায় বিটলে ছোঁড়া। রাত দশটা নাগাদ নম্বরটম্বর লিখিয়ে গোরার কাঁধে হাত রেখেছিলেন জনসায়েব - “লিসন গোরা, মাই বয়। হাম শোনে যা রহা। আজ মেরা পাট্টি (পাত্তি) ফাঁস গিয়া তো মেরা টরফ সে ঠুমকো হান্ড্রেড রুপিজ টিপস। আগর গুড নিউজ আয়া টো টুরন্ট (তুরন্ত) হামকো খবর ডেনা।”
মনে রাখতে হবে এক কেজি কাটাপোনার দর সেসময় মেরেকেটে বড়জোর পঁচিশ টাকা। একশ টাকা সে বাজারে অনেক। স্বভাবতই এহেন প্রস্তাবে প্রবলভাবে সম্মত হয়েছিল গোরা। নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমোতে গেছিলেন জন আঙ্কেল।
আরও পড়ুন
তিনতলার ছাদ থেকে ঝাঁপ সুবীরের, আতঙ্কে চোখ বন্ধ করে ফেলল সবাই
অলংকরণ - প্রণবশ্রী হাজরা
Powered by Froala Editor