চারুলতার খেরোর খাতা-৩

মানিকলমকারি – ২২
আগের পর্বে

‘নষ্টনীড়’ গল্পটি থেকে চিত্রনাট্য লেখার আগে চারটি খসরা লিখেছিলেন সত্যজিৎ। তার মধ্যে প্রথমটিতে রবীন্দ্রনাথের গল্পটিকেই নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছিলেন। এই সময় গল্পটিকে পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুধাবন করেন তিনি। আয়তনে বেশ বড়ো একটি গল্পকে সত্যজিৎ সাজিয়ে নিয়েছিলেন মাত্র পাঁচ পাতার মধ্যে। সংলাপের দৈর্ঘ্য কমিয়ে এনেছিলেন। বেশ কিছু জায়গায় সংকেতের ব্যবহারও চোখে পড়ে। চিত্রনাট্যের আদলে কাহিনির বিন্যাসে পরিবর্তন আনার আগে রীতিমতো অনুশীলন করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় খসরার শুরুতেও একইরকম সংকেতের ব্যবহার। এখানে ছটি ঋতুর নামের সঙ্গে আছে বাড়ি নিয়ে একটি সাংকেতিক বিন্যাস। আর তার সঙ্গে একটি অদ্ভুত বাক্য। সেই বাক্যের অর্থ বোঝা সত্যিই কঠিন।

খেরোর খাতায় মোট চারবার ‘নষ্টনীড়’ গল্পটাকে নিজের মতো ঢেলে সাজিয়েছিলেন সত্যজিৎ। আগের কিস্তিতে দেখা গিয়েছিল, রবীন্দ্রনাথের গল্পটিকে আক্ষরিক অর্থেই হাতের পাশে রেখে কীভাবে তিনি প্রথম দফায় সেই বড়ো গল্পটিকে মাত্র পাঁচটি পাতায়, মূলত গল্পের অনুক্রমেই পুনরায় লিখেছিলেন। দ্বিতীয় দফায় দেখা যাবে, এবারে আর মূল গল্পটি নেই। নিজের লেখা ওই পাঁচটি পাতাকেই তিনি সাজাচ্ছেন ছবির আদলে। তৃতীয় দফাতে মোট ন-টি সিকোয়েন্সে সাজাচ্ছেন গল্পরেখা আর চতুর্থ দফায় ওই ন-টা সিকোয়েন্সেরই বিস্তারিত রূপ। আজ সেই দ্বিতীয় দফাতে লেখা পাতা সাতেকের কথা।

এই দফা শুরুই হচ্ছে কিছু শব্দ দিয়ে। লেখা, ‘দুপুর। চারু একলা। দোতলায়। boredom। নানান ভাবে নিজেকে occupied--- (lonely touch of lyric poetry) হঠাৎ ভূপতি এসে পড়ছে--- কিছু একটা ফেলে গেছে, সেটা নিয়ে যাবে--- চলে যাবার সময় হঠাৎ মনে হল (realise করল) চারু বড় একলা--- ফিরে এলো--- দরজার পাশ থেকে বলল, চারু যেন চিন্তা না করে অবিলম্বে তার সঙ্গী আসবে।’ যাঁরা ‘চারুলতা’ দেখেছেন, তাঁদের মনে পড়বে, কতকটা এইভাবেই শুরু হয়েছিল ছবির গল্প-বলা। ‘কতকটা’ কিন্তু পুরোপুরি এই রকম নয়। চারুর একাকিত্ব দিয়ে ছবি শুরু হয়েছিল, ভূপতির দোতলায় আসার ঘটনাটাও ঠিক। কিন্তু আসার উপলক্ষ্য ‘কিছু একটা ফেলে যাওয়া’ নয় এবং তার সেই উপরে আসাটা কীভাবে একটা বাড়ির অন্তর্গঠনটি স্পষ্ট করে দিয়ছিল ছবিতে, সেটা অনেকেরই মনে থাকবে। সে কথায় আসছি। সঙ্গে বলা বাহুল্য, ভূপতি তখন চারুকে লক্ষ করেনি, ছবিতে সে সটান নেমে গিয়েছিল দোতলা থেকে একতলায় কাজের জায়গায়। আর এখানেই এক অসামান্য দৃশ্যকল্পে চারু-ভূপতির সম্পর্কটিকে মূর্ত করেছিলেন পরিচালক সত্যজিৎ। সে কথাতেও পরে আসব। মোট কথা, সেদিন রাত্রিবেলায় চারু-ভূপতির কথার মধ্যে চারুর একাকিত্বকে অনুভব করে ভূপতি। সেই কারণেই সে চারুর দাদা উমাপদকে তার স্ত্রী মন্দাকিনীকে আনার কথা বলে দেবে। অবশ্য মন্দাকিনীরএই আসাতে চারুর একাকিত্ব যে কাটল না আদৌ, সে তো আরেকটি পর্ব। তার মানে, এইখানে যে কথাগুলি লিখলেন সত্যজিৎ, সেগুলিকেই বিভিন্ন দৃশ্যে ভেঙে গল্পটাকে পরের দফায় সাজাবেন তিনি।

প্রথমে লিখেছিলেন, ‘ভূপতি এসে পড়েছে--- কিছু একটা ফেলে গেছে, সেটা নিয়ে যাবে’। ছবিতে দেখব, ভূপতির প্রেস একতলায়। সে উপরে আসে নিজের লেখার কোনো একটি তথ্যসূত্র খুঁজতে। সে সেই তথ্য খুঁজতে দোতলার একটি ঘরে যায়, যেখানে আছে ভারি ভারি ইতিহাস রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বই। আর তার আগেই চারু দেখেছে ছোটো ছোটো উপন্যাসের বই, অন্য একটা ঘরে, অন্য একটা আলমারিতে। কী আশ্চর্যভাবে, উনিশ শতকের নবজাগ্রত বাঙালির ঘরের বই পড়ার অভ্যেসকে দিয়ে, বাঙালির বাড়িতে বই রাখার ধরনটি দিয়ে চারু আর ভূপতির জগৎকে, কিংবা আরো একটু বড়ো করে বললে, সেকালের তথাকথিত পুরুষ আর নারীর জগৎকে আলাদা করে দিয়েছিলেন সত্যজিৎ। ভারি বই বনাম পাতলা বই, বাংলা গল্প উপন্যাসের বই বনাম ইতিহাস- রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জ্ঞানমূলক বই, বৈষ্ণব পদাবলির গান বনাম  বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিভাষা। দুই ভিন্ন ঘরের বই রাখার ধরন দিয়ে চারুর আর ভূপতির জগৎকে স্বতন্ত্র করে দিলেন ছবির ভাষায়, ছবিকে ব্যবহার করে। সেই হালকা বইয়ের মধ্যে প্রথমে চারু নিজের মনের মতো বই খোঁজে আর গুনগুন করে জয়দেবের ‘বদসি যদি কিঞ্চিদপি’ গাইতে থাকে আর তারপরে নিজের ভারি বইয়ের জগতে তথ্যের সন্ধানে এসে নির্দিষ্ট তথ্যটি পেয়ে চারুকে লক্ষ না করেই আবার একতলায় নেমে যায় ভূপতি। সে সদরের সংবাদ বা দেশকালের তথ্য খুঁজতে দোতলায় আসে, কিন্তু অন্দরে চারুর একাকিত্বের খবরটি পায় না। রবীন্দ্রনাথের গল্প-ধৃত লাইনগুলি মনে পড়ছে? ‘এইরূপে সে [ভূপতি] যতদিন কাগজ লইয়া ভোর হইয়া ছিল ততদিনে তাহার বালিকা বধূ চারুলতা ধীরে ধীরে যৌবনে পদার্পণ করিল। খবরের কাগজের সম্পাদক এই মস্ত খবরটি ভালো করিয়া টের পাইল না।’ ভূপতির ওই দোতলায় আসা আর চারুকে লক্ষ না-করে নেমে যাওয়াটা যেন এই গল্পের ওই দুটি লাইনের এক যথাযথ দৃশ্যগত অনুবাদ। মনে আছে নিশ্চয়ই, ভূপতির ওই নেমে যাওয়ার পরে চারুর কাজটি। দূরের জিনিস কাছে এনে দেখার জন্য, রাস্তার চলন্ত জীবনকে দূর থেকে সামনে দেখতে পাওয়ার জন্য সে অপেরা গ্লাসটি এনেছিল সঙ্গে। ভূপতি নীচে চলে গেল, চারু তাকাল তার দিকে, কিন্তু হাতের অপেরা গ্লাসটিকে উল্টো করে ধরে। কে না জানে দূরবীক্ষণ উল্টো করে ধরলে, কী হয়? কাছের জিনিসও দূরে চলে যায়। ভূপতি তাকে লক্ষ না করে চলে গেল আর নীরব অভিমানে চারুর উল্টো করে ধরা অপেরা গ্লাসে যেন কাছের মানুষটির দূরে সরে যাওয়ার চিত্রভাষা। কিন্তু সে পরের কথা, ক্রমশ ছবির ভাষায় অনূদিত হওয়ার কথা। খেরোর খাতায় এখনো পর্যন্ত তার ইঙ্গিত নেই।

আরও পড়ুন
চারুলতার খেরোর খাতা-২

খেরোর খাতায় আছে অন্য একটি কথা। ছবিতে ছিল রাত জেগে ভূপতির সম্পাদকীয় লেখার কথা, কিন্তু খেরোর খাতার এই দ্বিতীয় দফার লেখায় বলা ছিল, ‘চারু একলা, রাত্রে স্বামীর প্রতীক্ষায় একা বসে আছে--- স্বামী আসে--- খাওয়া--- মন্দার কথা, উমাপদর কথা’। তারপরে ‘রাত্রে চারু একলা শুয়ে থাকে--- জেগে থাকতে চেষ্টা করে--- ভূপতি যখন আসে তখন চারু ঘুমিয়ে পড়েছে’। এরপরেই লেখা হল, মন্দাকিনীর আসার খবর। মন্দাকিনীকে এস্টাব্লিশ করার জন্য খসড়াতে তথ্যসূত্রটি কী রকম? দুটি-চারটি ছোটো বাক্য। ‘Establish মন্দা--- (সংসারের কাজ করছে--- চা বানায়)--- চাকরকে বলে দু পেয়ালা নীচে press-এ দিয়ে আসতে--- চাকর press-এ চা দিয়ে আসে।’ মন্দাকিনী চরিত্রকে এস্টাব্লিশ করার এই পথটিও বদলে যায়। ছবির দর্শকদের মনে পড়বেই, ছবির নাম দেখানো শুরু হয় চারুর এমব্রয়ডারি করা কারুকার্য দিয়ে আর তা শেষ হয় ঘড়ির কাঁটায় চারটে বাজার শব্দে, বাড়ির চাকর ব্রজকে নীচে প্রেসে চা দিয়ে আসার নির্দেশ চারুই দিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই এই বাড়িতে চারু বা মন্দা প্রতিদিনের চা করবে এটা যতটা স্বাভাবিক নয়, ততটাই স্বাভাবিক শৌখিন খাবার সিঙারাটা নতুন অতিথি মন্দাকিনীই বানাবে। মন্দার নিজের-বানানো সেই সিঙারাই সে খেতে দেবে অমলকে। লক্ষণীয়, খসড়াতে যেটি ছিল বাড়ির কাজে মন্দার যুক্ত হওয়ার ইঙ্গিত, সেটাই আরো যথাযথভাবে যুক্ত হল ছবিতে। তবে দুপুরে নিজের ওই সূচিকর্ম নিয়ে যেমন যত্নময়ী চারু, বাড়ির কর্ত্রী হিসেবেও ঠিক চারটের সময় একতলায় চা পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিতেও ততটাই মনোযোগী সে। মন্দাকিনী আসার পরে চারু তাকে বিকেলের চা পাঠানোর জন্য ব্রজ চাকরকে খবর দিতে বলে মাত্র। কিন্তু রংমিলান্তি খেলায় হেরে কপট রাগে চিৎকার করে মন্দাকিনী সেই হুকুম নীচে পাঠায়! পুনরায় লক্ষ করার মতো, একটি ছোট্ট ইঙ্গিত সত্যজিৎ তৈরি করেছিলেন নিজেই, চিত্রনাট্যের প্রথম ধাপে। চিত্রনাট্যেই শেষ পর্যন্ত তাকে কীভাবে ফলিয়ে তুললেন ছবির ভাষায় আর সংলাপের বৈচিত্র্যে।

আরও পড়ুন
চারুলতার খেরোর খাতা

প্রথমে ওই খেরোর খাতায় কোথাও গ্রীষ্মকাল কথাটা লেখা নেই, কিন্তু লক্ষণীয়, এই অংশের শুরুতেই সত্যজিৎ লিখেছেন, ‘গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত শীত বসন্ত’। অনুমান করা যায়, এই একটি বাংলা বছরের হিসেবে চারুলতা ছবিটিকে সাজাচ্ছিলেন তিনি। এই খসড়ার প্রথমে এটা যে গ্রীষ্মকালের  ঘটনা, তা সরাসরি লেখা না থাকলেও, এটা যে গ্রীষ্মকালেরই ঘটনা তার ইঙ্গিত রয়েছে, পরের পাতায়। কারণ, খসড়া খাতার পরের পাতাটি শুরুই হচ্ছে ‘বর্ষাকাল’ শব্দটি লিখে এবং এরপরের দুটি পাতায় দেখব লেখা রয়েছে ‘শরৎ’ আর ‘বসন্ত’ শব্দ দুটি। এই খসড়ায় বাগান বা ঘর নয়, চারু- অমলের নিজেদের কথা বলার একটি দৃশ্য তিনি ভেবেছিলেন, ছাদে রাখবেন। সেই ছাদের দৃশ্যটি তিনি রেখেছিলেন বর্ষায়। এই ছাদের দৃশ্যেই দুজনের মধ্যে বাজার-চলতি লেখক মন্মথ দত্তকে নিয়ে আর তার লেখাকে নিয়ে ঠাট্টা করার দৃশ্যটি ভাবা হয়েছিল এবং সেই ছাদ ছিল বর্ষার ছাদ। এখানেই অমল নিজে লেখার চ্যালেঞ্জ নেয় আর তার সেই লেখা প্রকাশিত হয় সেবারের পুজো সংখ্যায়। ঠিকই ধরেছেন। পুজো সংখ্যায়, মানে শরতে প্রকাশিত হল অমলের লেখা। খসড়া খাতায় একটি বক্সের মধ্যে লেখা, শরৎ আর ঠিক তার পাশে ঘটনার ইঙ্গিত, ‘পূজা সংখ্যা কাগজ--- অমলের লেখা বেরোলো --- ভূপতির reaction--- চারু proud--- চারু-অমল (telephone এলো) অমলের লেখার প্রশস্তি--- চারুর reaction’। বোঝা যাচ্ছে, গল্পটি প্রথমে কীভাবে ফেঁদেছিলেন সত্যজিৎ। পুজো সংখ্যায় অমলের লেখা বেরোলো, তা নিয়ে ভূপতির প্রতিক্রিয়া এক রকম আর চারু তা নিয়ে বেশ গর্ববোধ করে। আর বাইরে থেকে কোনো টেলিফোনে অমলের লেখার প্রশংসা আসায় ক্রমশ সে বুঝতে পারে, এবার অমল অনেকের হয়ে যাচ্ছে, সেই ভাবনায় তার রিঅ্যাকশন তৈরি হয়।

আরও পড়ুন
দুই বালকের গল্প

এই পুরো খসড়া-জুড়ে কয়েকটি মজাদার বাক্য লিখে রেখেছেন সত্যজিৎ। সেগুলি এই রকম, চিত্রনাট্য লেখার সময় কোন কোন দিকগুলি তিনি গল্পের ভেতর স্পর্শ করে যাবেন, তা নিয়ে যেন তিনি নিজেই নিজের কাছে প্রশ্নমালা রেখে দিচ্ছেন। বাক্যগুলি এই রকম, এক জায়গায় লেখা, ‘স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে ব্যবধান--- কেন?’ আবার কোথাও লেখা, ‘গোড়ায় অমল সম্বন্ধে চারুর বিশেষ আগ্রহ নেই দেখালেই ভালো হবে’। এমনকি লেখার শেষে খুব দরকারি একটি ছোটো নোটস লিখে রেখেছেন সত্যজিৎ এই মর্মে যে, "মন্দাকিনীর সঙ্গে উমাপদর relationship কেমন?"

আবার এক জায়গাতে পাশের বাড়িতে বা রাস্তায় চারু কী কী দেখতে পারে, তার একটা লম্বা তালিকা তৈরি করে রেখেছিলেন। সেখানে কত কী যে ছিল? ‘বাঁদর নাচ, সাপ খেলানো, ভিখারির গান রামপ্রসাদী- কীর্তন হারমোনিয়ামের গান, বুড়ির চুল, মণিহারি জিনিস, আইসক্রিম, আম, কমলালেবু, হিজড়ের নাচ, গাজন, ছেলে, ঠাকুর’। সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে বাইরের শব্দ বদলায়, বদলায় বাইরের দৃশ্য--- এই খসড়া তো তারও ইঙ্গিত। সকালের শব্দ বিকেলের শব্দ, গরম কালের শব্দ, বসন্তকালের শব্দ, নানা বিচিত্রতায় ভরা এই শব্দ-জগৎ।

আরও পড়ুন
নিষ্ঠুর গল্পের অভিনব শিল্পরূপ

ছবিতে এই সময়টিকে ব্যবহার করেছেন পরিচালক। ছবিটিতে অমল একটি নির্দিষ্ট দিনে আসে ভূপতির বাড়িতে। সেই দিনটি হল, ১৮৭৯ সালের এপ্রিল মাসের আট তারিখ। কারণ, অমল আসার পর ভূপতি তাকে তার কাগজের পরের দিনের যে সংখ্যাটির কপি প্রেস থেকে টেনে নিয়ে দেখায়, তার তারিখটি সে নিজেই বলেছে, ‘24th issue of The Sentinel, dated April the 9th 1879’। ন-তারিখের কাগজ তৈরি হচ্ছে আটে। 

রবীন্দ্রনাথের ‘নষ্টনীড়’ গল্পে সময়ের নির্দিষ্ট ইঙ্গিত ছিল না, ছবিতে সেটা নির্দিষ্ট। ফলে পরের কিস্তিতে এই সময় নিয়ে কিছু কথায় আসা দরকার। সে-ও এক কৌতূহলপ্রদ বৃত্তান্ত।

Powered by Froala Editor