দার্জিলিং: চায়ের গল্প, নানা রকমের শ্রম ও নিসর্গ

রিপোর্টগুলো যে সময়ের, তার পর থেকে একশো বছর কেটে গেছে। পাহাড়ের বনজঙ্গল ক্রমশ কমেছে, সরকারি নথির বাইরের বন, বাগিচার ভিতরের বন। ধস বাড়ছেই। দার্জিলিং পৌঁছোনোর বড় রাস্তা হিলকার্ট রোড জুড়ে ধস, অন্য পথেও। কোথায় কখন ধস নামে বলা মুশকিল। পুরোনো দাগী জায়গাগুলো ছাড়া অন্যত্রও পাহাড় ভাঙছে। দার্জিলিং পাহাড়ের ধস নিয়ে অসংখ্য গবেষণাপত্র আছে, এখনো কাজ, লেখা চলছে। ২০১৫-য় প্রকাশিত চিরঞ্জীব নাদ-এর লেখা সেরকম একটা গবেষণাপত্রে দেখা গেল, বড়ো রাস্তার ওপরেই থেকে ৩২টা ধস(পুরোনো তিস্তা ভ্যালি রোড, অধুনা ১০ নং রাজমার্গ-এই ১৬টা), যার সত্তর ভাগ অধিকতর খারাপ, অর্থাৎ যে-কোনো সময় ভাঙতে পারে। 

শেষ বড়ো ধস নেমেছিল ২০১৫-য়। গাড়ি চলাচলের রাস্তায়, রাস্তার বাইরে বাগিচা অঞ্চলে, দুধিয়া আর মিরিক, মিরিক থেকে সুখিয়াপোখরির মধ্যবর্তী এলাকায়। অন্তত ৩৮ জন মারা গিয়েছিলেন, কত বাড়ি ভেঙেছিল ইয়ত্তা নেই। সেই ধস ও দার্জিলিংয়ের অন্যান্য ধস নিয়ে সুমন্ত্র সারথী বিশ্বাস এবং রঘুনাথ পালের লেখা গবেষণাপত্রে নতুন পুরোনো ধসের কথা বলা আছে। ১৮৯৯-এর ধস, জেলা জুড়ে পাহাড় ভেঙেছিল, মারা গিয়েছিলেন কমপক্ষে ৭২ জন। ১৯৫০-এর বন্যাধসে শিলিগুড়ি থেকে গেইলখোলার ছোটো লাইন উড়ে গিয়েছিল, মারা যান ১২৭ জন। ১৯৬৮-র মহাবিপর্যয়ে ৬৬৭ জন মারা গিয়েছিলেন, বহু বাগিচা নষ্ট হয়েছিলো। ১৯৮০-র ধসে ২১৫ জন মারা যান, ১৯৯৩-এ এক মংপুতেই প্রাণ হারান ১৫ জন। সুবীর সরকারের লেখা অন্য একটি গবেষণাপত্রে দেখছি ১৯৯৭-র জুন-জুলাইতে মারা যান মোট ২১৭ জন। ধস পড়তেই থাকে। ১৯৯১, ৯৩, ৯৭, ৯৯, ২০০৩, ২০০৪, ২০০৫, ২০০৬, ২০০৯, ২০১১। ঘরবাড়ি মাটি পাথর চায়ের ঝোপের ধ্বংসাবশেষে চাপা পড়ে থাকেন অসহায় মানুষ, যাদের বাড়ির তলার মাটি ফি বর্ষায় সরে যায়, দেয়ালে ফাট ধরে। 

বিশেষজ্ঞ, ভূবিজ্ঞানীরা কবে থেকে বলছেন, পাহাড়ের যে-কোনো জায়গায় বাড়ি তোলা যাবে না, পাহাড় ফাটিয়ে রাস্তা বানানোও, বিশেষ করে যে সব হেলে থাকা পাহাড়ে ঢাল বেশি। দার্জিলিং পুরসভা একদা বলেছিল, শহরে ১৪ মিটার অর্থাৎ ৫০ ফুটের বেশি উঁচু বাড়ি বানানো যাবে না, বিশেষত ৬০ ডিগ্রির বেশি খাড়া ঢালে ৫০ ফুট উঁচু বাড়ি বানানোও বিপজ্জনক। 

কে ভাবে, কে-ই বা পরোয়া করে, কথা শোনে? রাস্তা চওড়া হচ্ছে, গাড়ি বাড়ছে, বাড়ি উঠছে। দার্জিলিংয়ের সেন্ট অ্যানড্রুজ গির্জার পাশ দিয়ে যে পথ জিমখানা ক্লাব ছাড়িয়ে ট্যুরিস্ট লজে যায়, চোখের সামনে দেখলাম, জিমখানার ভিতরে বাইরে সেই পথের ওপর সাততলা উঁচু হোটেলবাড়ি তৈরি হল। লজের দোতলার টানা বারান্দায় দাঁড়ালে আগে সামনে দেখা যেত ম্যাপল, ওক, রডোডেনড্রন এবং ধূপি গাছের মধ্যে লরেটো কলেজের পাথরের বাড়ি, গির্জার চূড়া, টেনিস খেলার মাঠ, মাঠের ওপরে গাছে ঢাকা মহাকাল মন্দির। এখন কষ্ট করে দেখতে হয়, বা দেখা যায় না। সেন্ট য়্যানড্রুজ থেকে লজে যাবার যে পথ, তার ঢাল কমপক্ষে পঞ্চাশ ডিগ্রি। সেখানে সাততলা বাড়ি ওঠে কী করে? শুনেছি, ওই হোটেলবাড়ি কেন, শহরের কোনো বাড়িরই কাগজপত্র ঠিক নেই। জিমখানার প্রেসিডেন্ট(বা মালিক) শহরের বড় ব্যবসায়ী, স্বভাবতই রাজনৈতিক কারবারিদের সঙ্গে তাঁর অমল বন্ধুত্ব। কে তাঁর কাজ আটকায়? দার্জিলিংয়ের এক জেলাশাসক তেড়েফুঁড়ে আইন বোঝাতে গিয়েছিলেন, তিনি নিয়মমাফিক অন্যত্র বদলি হয়েছেন, বাকি যা হবার হয়েছে, কিচ্ছুমাত্র বদলায়নি। 

আরও পড়ুন
চায়ের গল্প, নানা রকমের শ্রম ও নিসর্গ

এই সময়ের কথা ভাবতে ভাবতে মনে পড়ল, দার্জিলিংপত্তনের কালে, ক্যাম্পবেল যথাইচ্ছা জমি বিলিয়েছিলেন। তাঁর আগে লয়েডও। সেই নিয়ে সায়েবি আমলে যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছিল। ফ্রেড পিনের দার্জিলিং লেটার্স-এ, হান্টারের সংখ্যাতাত্বিক বৃত্তান্তে সে প্রসঙ্গ বিস্তারিত বলা আছে। সেকালে জমি যেত আধা, পুরো, এমন মাপে। পাহাড়ি জমি মানে ঢাল, সে ঢাল কেটে ভেঙে সমান না করলে জমির মাপ হয় না। ফলে, ঢাল ধরে, কিম্বা অবস্থান বা লোকেশন ধরে জমি বন্দোবস্ত হয়েছে, হাফ লোকেশন, ফুল লোকেশন। যার কাছে যে জমি যাবার কথা, তার চাইতে অনেক বেশি জমি চলে গেছে। নামমাত্র, বা বিনা খাজনায় সেসব ভোগ করেছেন সায়েবমালিকরা, তাঁদের দেশি অনুচরেরা। নিয়ম মানা না মানা নিয়ে সায়েব রাজপুরুষরা অনেক কথা বলেছেন, কাজের কাজ হয়নি। দার্জিলিংয়ের ডেপুটি কমিশনার জে এডগার ওয়্যারের লেখা ১৮৭৪ সালের যে রিপোর্টের কথা ইতিপূর্বে এসেছে, সেখানে দেখানো আছে ক্যাম্পবেল এককালীন ৫০ টাকা(৫ পৌন্ড) দরে মৌরসি পাট্টায় 'ফুল লোকেশন'(একশো বর্গগজ)জমি দিচ্ছিলেন। কোম্পানি কর্তারা বললেন, ৯৯ বছরের লিজ দেওয়া হোক। সে নিয়ম চালু হবার আগেই ৬৫টা পুরো এবং ১০টা আধা লোকেশন বিলি হয়ে গেছে। পরে, ১৮৪১-এ, পুরো লোকেশনের আয়তন বাড়িয়ে ৪০ হাজার বর্গগজ করা হয়।  ১৮৪১ সালের নিয়ম অনুযায়ী, পুরো লোকেশন ৮ একরের বেশি হবে না। এই নিয়ম মানা হয় না, ১৮৬৩ নাগাদ টের পাওয়া যায়, অনেকগুলো পুরো লোকেশন ১৬ একরের বেশি! তদন্তে নেমে এডগার ওয়্যারও দেখলেন, কাগজপত্রে একটা জমির মাপ ২০০x২০০ গজ, কার্যত ১৬ একরের বেশি। অন্য একটা জমি দলিল মোতাবেক সাড়ে তিন একর, বাস্তবে ১৪ একরেরও বেশি। 

আরও পড়ুন
চায়ের গল্প, নানা রকমের শ্রম ও জাতিনির্মাণ(সাত)

নিয়মবহির্ভূত নিজস্ব পরিসর, শাসক ও বড়ো ব্যাপারিদের যা ইচ্ছা করবার স্বাধীনতা। সমতল ও বাকি ভারত থেকে দার্জিলিং আলাদা, আলাদা হতে হবে বলেই, সায়েবি আমলে এই বিশ্বাসটা দার্জিলিংওয়ালাদের মনে গেঁড়ে বসে গিয়েছিল। মিডলটন এই 'আলাদা' বিষয়টাকে বলছেন 'ব্যতিক্রমিত্ব' বা এক্সেপশনালিটি। দার্জিলিংয়ের বাগিচামালিক সায়েবরা এতই স্বাধীনচেতা ছিলেন, দার্জিলিং প্ল্যান্টার্স য়্যাসোসিয়েসন(ডি পি এ) নামে নিজেদের আলাদা সঙ্ঘ বানান, কলকাতার আই টি এ-র শাসনে তাঁরা থাকতে চাননি। কেভেন্টার্সের উল্টোদিকে প্ল্যান্টার্স ক্লাবের সুদৃশ্য বাড়িটা অনেকদিন অবধি ছিল, ইদানিং সেটা ভেঙেচুরে বড়ো হোটেল উঠছে।

আরও পড়ুন
চায়ের গল্প, নানা রকমের শ্রম ও জাতিনির্মাণ(ছয়)

স্বাধীন অর্থে এখানে নেটিভশোষণের অবাধ স্বাধীনতা ধরতে হবে। বাগিচায় প্ল্যান্টার সায়েবদের নিয়মই চলবে, সরকারের নয়, এই ধরণটা আজ অবধি বহু বাগানে টিঁকে আছে। সায়েবরা সব কোথায় চলে গেছে, তবু। 

আরও পড়ুন
চায়ের গল্প, নানা রকমের শ্রম ও জাতিনির্মাণ (পাঁচ)

প্ল্যান্টারদের  অনেকেই অবশ্য নিজেদের জমিদারি ও রাজত্ব ছেড়ে যেতে চাননি। আই টি এ-র ১৯৬০-এর বার্ষিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে তখনো অবধি সে সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের বেশির ভাগ সায়েব। খানদানি সব স্টার্লিং কোম্পানি, যথা বামার লরি, ড্যাভেনপোর্ট, ডানকান ব্রাদার্স, গিল্যান্ডের আর্বাথনট, অ্যান্ড্রু ইউল ইত্যাদি, তাঁদের সায়েব প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি তৈরি হচ্ছে। দার্জিলিং এবং ডুয়ার্সের জন্য যে সাব কমিটি, সেখানেও ১৫ জনের মধ্যে ১০ জনই সায়েব। বাকি সাব কমিটিতেও নব্বুই ভাগের বেশি সায়েব। 

৬০-এর আই টি এ রিপোর্টে দেখা যায়, সংস্থারপক্ষ থেকে দার্জিলিংয়ের জন্য সরকারের কাছে 'বিশেষ সুবিধা ও ছাড়' চাওয়া হচ্ছে, যা না পেলে একাধিক বাগিচা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। রিপোর্ট থেকে আরো দেখা যায়, সরকার বাগিচা পরিচালনার সব কটা ক্ষেত্রেই নাক গলাতে শুরু করেছে, বিশেষত শ্রমিক প্রসঙ্গে। ন্যূনতম মজুরি, মেয়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন সুবিধা, শ্রমিক আবাসন, চিকিৎসা, সব জায়গায় শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা ও অধিকারের প্রসঙ্গ, বিভিন্ন রকম সরকারি খবরদারি চলছে, তা নিয়ে প্ল্যান্টাররা বিব্রত ও ক্ষুব্ধ। সবচাইতে বড়ো কথা, শ্রমিক নিয়োগের পুরোনো ঔপনিবেশিক পদ্ধতি ভেঙে পড়ছে, যার উদাহরণ আসামের জেলায় জেলায় যে টি ডিস্ট্রিক্ট লেবার অ্যাসোসিয়েসন ছিল তা দেউলিয়া হয়ে লিকুইডেশনে যাচ্ছে, কুলিচালান আর লাভজনক ব্যবসা নয়। সরদারি প্রথাও উঠিয়ে দেওয়া হয়। 

১৯৬০ সাল, মানে স্বাধীনতার পর থেকে ১৩ বছর কেটে গেছে। তখনো প্ল্যান্টাররা বিশেষ সুবিধা ও ছাড় চাইছেনই। সেকালে তো কথাই ছিল না। স্রেফ প্ল্যান্টারদের চাপে দার্জিলিংকে বিশেষ জেলা বা শিডিউল্ড ডিস্ট্রিক্ট ঘোষণা করা হয় ১৮৭৪-এ, ব্যাকওয়ার্ড ট্র্যাক্ট বা পশ্চাৎপর এলাকা ১৯১৯-এ, আংশিক বহির্ভূত এলাকা(পার্সিয়ালি এক্সক্লুডেড টেরিটরি) ১৯৩৫-এ। 

বিশেষ, পৃথক, অন্যরকম অঞ্চল, ফলে শাসনও অন্যরকম, সেই ধরণটাই আজ অবধি চলছে। ১৯৮৮-র হিল কাউন্সিল, ২০১১-র জিটিএ। যাঁরা শাসনব্যবস্থার মাথায়, তাঁরা যা ইচ্ছে করছেন, জমি নিয়ে, জল নিয়ে, গাছ নিয়ে। সরকারি টাকা ঢুকছে তো ঢুকছেই, হিসেবপত্রের দরকার নেই। 

এখনো অবধি দার্জিলিং পাহাড় এবং তরাই এলাকার সব জমি খাস, অর্থাৎ সরকারি। জমি কেনেন যিনি তাঁকে পুরোনো ইজারাদারের কাছ থেকে নিতে হয়। প্রত্যেক জমি হয় ৩০ নয় ৯৯ বছরের ইজারায় দেওয়া আছে। সুতরাং জমি নিয়ে যা যা হয় সব সরকারের গোচরে থাকে, থাকতেই হয়। অথচ, আগে যেমন, এখনও তেমন, কিছু যায় আসে না, যা চলার চলতে থাকে, যা হবার হয়। 

যেমন, বৃক্ষহীন, জলহীন, শ্রীহীন, ধসে পড়া দার্জিলিং পাহাড় এই সময় ওই সময় বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, যা নেই, কোনকালেই ছিল না তা হয়ে। আর দশটা হিল স্টেশন কিম্বা উপনিবেশের মতো, সায়েবি সাদা দার্জিলিংও একটা গল্পমাত্র। 

গল্প বলা-শোনাই হচ্ছে বটে, তবে দার্জিলিংয়ের গল্পটা ভিতর থেকে পচে গেছে, তাতে নতুন কথাশব্দ জোড়া সম্ভব নয়। সম্ভব হলেই বা কী হবে? গল্পটা বদলাবে না। বহুদিন ধরে দার্জিলিংয়ে যাই-আসি, ম্যাল রোড ধরে হাঁটি, অনেক অনেক নিচের রংগু আর রঙ্গীত নদী থেকে উঠে এসে মেঘের জটলা চৌরাস্তার গাছ দোকান ঢেকে দেয়। কচ্চিৎ কখনো বরফ পড়ে, নিষ্কলঙ্ক সাদা পথে জমে থাকে, বাড়ির ছাদ থেকে, ধুপির পাতা থেকে ঝোলে। বসন্তে গুরাস চাপ ম্যাগনোলিয়া চিমলের রঙে-গন্ধে বাতাস ভরে থাকে। হাঁটি, আসি, যাই, প্রতিবার দেখি চেনা ছবি চেনা শব্দগুলো ভেঙে অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। আসলে, অন্যরকম তো ছিলোই। আধড়মুড়ো সায়েবদের বানানো যে ছুটির পরিসরে আমরা ঢুকে পড়ি, ঠান্ডা হই, প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে চাই, সেটা যে আসলে বানানো, কল্পিত, মিথ্যা, এসব আমাদের মনে থাকে না। মনে থাকে না যে বানানো গল্পটার শিরাউপশিরায় উপনিবেশের বিষ ভরা আছে, সে বিষ শরীর থেকে নামতে চায় না। এই গল্পে যেটুকু সত্যি ছিল, ক্ষমতাবানদের ক্ষমতা, মালিকের লাভ, এবং শ্রম, মহানন্দা থেকে তিস্তা, মেচি, বালাসন, সমতল থেকে পাহাড় অবধি বিস্তৃত দিগন্তজোড়া নিসর্গ নির্মাণের শ্রম, সেটুকু থেকেই যায়। শুধু আমরা দেখতে পাই না। পাহাড় ভাঙে, বন মরে, মানুষ মরে, ট্যুরিস্টরা ছবি শোঁকে, বাগিচামালিক ও অন্য ব্যাপারিদের লাভ বাড়ে, সাদা দার্জিলিংয়ের মিথ্যা গল্পের গায়ে গোর্খাল্যান্ডের নতুন গল্পের চুনকাম পড়ে। হিমালয় পাহাড়ের ভূগোলের কোথাও কাঞ্চনজঙ্ঘার ছায়ায় সায়েবদের, বাঙালির, গোর্খাদের দার্জিলিং বেঁচে থাকে অনন্ত ধ্বংসাবশেষ হয়ে, সারা বেসকির ভাষায় ইমপিরিয়াল রুইনস হয়ে। বেল পাকলে কাকের কী? ছুটি ফুরোলে আমরা সমতলে নেমে যাই।

Powered by Froala Editor