চায়ের গল্প, শ্রম ও প্রকৃতিনির্মাণ (পাঁচ)

সময়ভ্রমণ - ৫০
আগের পর্বে

দার্জিলিং গড়ে ওঠার সময় থেকেই তার সঙ্গে মিশে গিয়েছে আরও নানা অঞ্চলের শ্রম। আজও পাহাড়ের মানুষরা রাস্তাঘাট বা ঘরবাড়ি বানাতে পারেন না সেভাবে। সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই এই কাজে নিযুক্ত করা হয় সমতলের মানুষদের। এছাড়াও চাই বাড়ি তৈরির কাঁচামাল। রড-বালি-সিমেন্ট-ইঁট কিছুই পাহাড়ে তৈরি হয় না। সবই আসে দূরবর্তী অঞ্চল থেকে। জঙ্গলমহলের কারখানা থেকে আসে লোহার রড। আবার সেখানে কাঁচা লোহা আসে ওড়িশা বা মধ্যভারতের খনি থেকে। সেইসব কারখানা বা খনিতে আবার উত্তরবঙ্গের কোনো কোনো শ্রমিকও কাজ করেন। দার্জিলিং গড়ে ওঠার সঙ্গে জড়িয়ে তাঁরা সবাই। আর পাহাড়ের বুকে শুধু চা-বাগানের পরিচর্যাই তো নয়, শ্রমিকদের দায়িত্ব ছিল বাগানের সাহেবদের পরিচর্যাও।

তরুণ মার্কিনি গবেষক সারা বেসকি দার্জিলিং-এর চা বাগান, বাগান-শ্রমিক ও বাগানের বাইরের যে দার্জিলিং, তা নিয়ে রীতিমতো চমকে দেওয়া একটি বই লিখেছেন। ‘দি দার্জিলিং ডিস্টিংকশন’ নামের এই বই প্রকাশিত হয়েছে ২০১৩-য়। ২০১০ থেকে ২০১২ অবধি বেসকি দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন বাগানে ঘোরেন, থাকেন, মহিলা শ্রমিকদের সঙ্গে মেশামেশি করেন। নেপালি ভাষাটা জানা থাকায় কাজের সুবিধা হয়েছিল, ফলে নানান বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে বেসকির দীর্ঘ আলাপচারিতা চলে। সেসবের অনেকটুকরো তাঁর বইতে আছে। 

যে সময়ে বেসকি বাগানে বাগানে ঘুরে শ্রমিকদের সঙ্গে মিশে পাতা তুলছেন, গপ্পোগাছা করছেন, শ্রমিক মহল্লায় রাত কাটাচ্ছেন, দার্জিলিং জুড়ে গোর্খাল্যান্ড ২ আন্দোলনের ধুন্ধুমার চলছে, বাগানে এসে পৌঁছচ্ছে তার গনগনে উত্তাপ। গোর্খাল্যান্ড ২ বলতে বিমল গুরুং ও তাঁর তৎকালীন সঙ্গীদের তৈরি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার(সংক্ষেপে গোজামুমু) আন্দোলন। এই আন্দোলনেরও দুটো অংশ, প্রথমটা মোটামুটি ২০০৮ থেকে ২০১১ অবধি চলেছে, গোজামুমু, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক গোর্খা আঞ্চলিক প্রশাসন বা জিটিএ চুক্তি সই হওয়া পর্যন্ত। ২০১৭-য় এই আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্ব, যার আপাত সমাপ্তি গোজামুমু দল দু টুকরো হওয়া দিয়ে। এই পর্ব হালের, খবর হওয়া, খবর হতে থাকা কাহিনি, কাহিনিটুকরো। বেসকি তাতে ঢোকার সুযোগ পান নি। গোর্খাল্যান্ড ২ আন্দোলনের প্রথম পর্বের খানিকটা নিজের চোখে দেখে, এবং বাগানশ্রমিক ও অন্যান্যদের কাছে শোনা গোর্খাল্যান্ড ১এর— অর্থাৎ সুভাস ঘিসিং ও গোর্খা রাষ্ট্রীয় মুক্তি মোর্চার(সংক্ষেপে গোরামুমু)আন্দোলন— স্মৃতিকথন নির্ভর করে বেসকির দার্জিলিং বয়ান তৈরি হয়েছে। গোর্খাল্যান্ড ভিন্ন সে বয়ানে আছে দার্জিলিং-এর অন্য বিশেষ, চা। 

ইদানিতে সেই চায়ের ভৌগোলিক একটি ব্র্যান্ড তৈরি হয়েছে, যাকে বলা হচ্ছে জিআই। এ আখ্যানমালায় সে কথা আগেও এসেছে। বেসকি 'জিআই' ও 'বিশেষ ভূগোল' ব্যাপারটার মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করেছেন। গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন বলুন, কিম্বা দার্জিলিং চায়ের জিআই, অথবা সেই জিআই ধরে আমেরিকা ইউরোপে চা নিয়ে যে 'ন্যায্য ব্যবসা' বা ফেয়ার ট্রেড চলছে, বেসকি দেখাচ্ছেন এ সবকিছুর মূলে রয়েছে শ্রম। চা ছাড়া দার্জিলিংভাবনা অসম্পূর্ণ, ফলে যে চা কাঞ্চনজঙ্ঘার উজ্জ্বল শিখরছায়ায়, মেঘরৌদ্রসিঞ্চিত উপত্যকা ও পাহাড়ি ঢালেই একমাত্র জন্মায়, সেই চা-শ্রমিকদের শ্রম। শ্রমিক বলতে 'বিশেষ' মহিলা শ্রমিক, দার্জিলিং-এর বিশেষ ভূগোল ও নিসর্গে তাঁদের শ্রম যুগপৎ প্রোথিত ও মন্ডিত, তাঁদের কোমল হাতের ছোঁয়া না পেলে দার্জিলিং চায়ের বিশেষ স্বাদগন্ধ তৈরি হবে না মোটে। স্বয়ং ভারত সরকার, অন্তত সে সরকার পরিচালিত টি বোর্ড এ কথা বলছেন বারবার। এমনিতে নয়, আইন তৈরি করে বলছেন। ১৯৯৯-এ তৈরি যে জি আই আইন বা জিওগ্রাফিক ইন্ডিকেশন্স অ্যাক্ট মাফিক দেশের নথিভুক্ত যাবতীয় জিআই-এর এক নম্বর হয় দার্জিলিং চা, সেই আইন মোতাবেক 'দার্জিলিং', 'দার্জিলিং চা', এসব শব্দ এখন রাষ্ট্ৰসম্পত্তি। শব্দ এবং চিহ্ন, চিহ্নছবি বা লোগো। দার্জিলিং চায়ের নথিভুক্ত লোগোয় দেখা যাচ্ছে এক মহিলাকে, তাঁর হাতে মুদ্রাবিভঙ্গ, দু আঙুলের ফাঁকে আলগোছে ধরা দুটি পাতা একটি কুঁড়ি। 

বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা, অর্থাৎ ডব্লিউ টি ও-র নিয়মানুযায়ী, এই চিহ্নছবি ও 'দার্জিলিং চা' শব্দবন্ধ ভারতরাষ্ট্রের খাসদখলে, টি বোর্ডের অনুমতি ভিন্ন কদাচ ব্যবহারযোগ্য নয়। 

আরও পড়ুন
চায়ের গল্প, শ্রম ও প্রকৃতি-নির্মাণ (চার)

সায়েবসময়ে চা-শ্রমিকদের গুণ বিচার হত শ্রমক্ষমতা ও আনুগত্য দিয়ে, তদুপরি, কত সস্তায় তাঁরা শ্রম বেচতে আগ্রহী। কুলি সর্দারদের দল নেপালের ভিতর থেকে শ্রমিক জুটিয়ে দার্জিলিংয়ের শ্রমবাজারে নিয়ে আসত। ভূগোলমার্কা তৈরি করার দায়ে স্বাধীন ভারতরাষ্ট্ৰ সে শ্রমকে বেমালুম দার্জিলিংয়ের 'প্রাকৃতিক' 'ঐতিহ্যের' অংশ বানিয়ে ফেলেছে, যেন অনাদি অনন্তকাল ধরে মহিলারা সরু আঙুল দিয়ে পাতা তুলছেন তো তুলছেনই:

আরও পড়ুন
চায়ের গল্প, শ্রম ও প্রকৃতিনির্মাণ (তিন)

‘প্রকৃতির হৃৎস্পন্দনের কাছাকাছি চা বাগানের শান্ত সুরম্য জীবন। এই কারণেই এখানকার চা 'বিশেষ'...কাজ করতে করতে হাওয়ায় নুয়ে পড়া চা চারার গান গায় পাতি তুলিয়েরা। নীল আকাশের প্রেক্ষাপটে সবুজের সুরেলা আবহ, ঝিকিয়ে উঠছে পার্বত্য শিশির। জীবনের এই চক্রের অংশ চায়ের ঝোপ, তাঁরা বেঁচে আছে দিনরাত, ঋতু থেকে ঋতুতে, বছর থেকে বছর। বাগিচার জীবন হচ্ছে আদ্যোপান্ত প্রাকৃতিক, অস্তিত্বের এক তুরীয় অবস্থা...’

আরও পড়ুন
চায়ের গল্প, শ্রম ও প্রকৃতি-নির্মাণ (দুই)

বাগান আর বাগিচা শব্দদুটোয় রাজনীতির যে চতুর খেলা লুকিয়ে আছে, সে দিকে দৃষ্টিনির্দেশ করেছেন সারা বেসকি। দার্জিলিংয়ে চায়ের প্ল্যান্টেশন বা বাগিচা তৈরি হয়েছিল নেহাৎই ব্যবসায়িক কারণে, যেভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বড় বড় বাগিচা গড়ে ওঠে সেভাবেই। দাসশ্রম কিম্বা সস্তা শ্রম ব্যবহার করে লাভ করার যে মৌলিক প্রক্রিয়া, দার্জিলিংয়ের চা বাগিচা প্রথমাবধি সে প্রক্রিয়ার অংশ, অন্য গল্প সেখানে ছিলই না। ভাষার এমন লোকঠকানো ব্যবহার, বাগিচা যে কখন বাগান হয়ে গেছে, আমরা সবাইমিলে প্ল্যান্টেশনকে গার্ডেন বা বাগান বানিয়ে দিয়েছি কে জানে। কেন বাগান, প্রশ্ন ওঠাচ্ছেন বেসকি। ঔপনিবেশিক শ্রমশোষণ ও পুঁজিবৃদ্ধির পরিসরকে, বাণিজ্যিক কৃষির প্রক্রিয়াকে কেন বলা হবে বাগান, অসুন্দরকে কেন বলা হবে সুন্দর, তাঁর জিজ্ঞাসা। চা কি দার্জিলিংয়ে প্রাকৃতিক নিয়মে জন্মেছে, স্থানীয় মানুষ কি তা অভ্যাসে ব্যবহার করেছেন? বহু বছর ধরে চলে আসা শ্রমসম্পর্ক ও নিসর্গতৈরির জটিল প্রক্রিয়াকে নিতান্তই জিআই বানানোর তাগিদে বদলে দেওয়া হল আগাগোড়া বানানো এক 'নারীপ্রকৃতি'র গল্পে, চিরশোষিত ও বঞ্চিত মহিলাশ্রমিক সে প্রকৃতিকে ধারণ করে থাকেন, তাঁকে, তাঁদের ঘিরে 'প্রাকৃতিক' 'বাগান' তৈরি হয়। 

আরও পড়ুন
চায়ের গল্প, শ্রম ও প্রকৃতিনির্মাণ

গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের পিছনেও দার্জিলিং বিষয়ে সেই এক কল্পনির্মাণ কাজ করছে, বলছেন বেসকি। দার্জিলিংয়ে গোর্খা জাতিসত্তার নির্মাণ, দার্জিলিংএর চাবাগিচা, এসবই তো সেদিনকার, মধ্য উনিশ শতকে শুরু হওয়া ঔপনিবেশিক ইতিহাস। যা নেই, কার্যত ছিল না কখনো, তাকে অস্তিত্ববান করে তোলার এই প্রক্রিয়ায় উভয়ত গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের নেতারা ও তাঁদের জনভিত্তির প্রধান উৎস চা-শ্রমিকরা যুক্ত, বেসকি বলতে চেয়েছেন।

বাইরে থেকে এসে এখানকার মানুষের মনের কথা বোঝা কঠিন। বেসকি স্থানীয় ভাষা শিখেছেন, শ্রমিকদের সঙ্গে অন্তরঙ্গভাবে মিশেছেন। তা সত্ত্বেও সংযোগে বা সংলাপে কিছু ফাঁক থেকে গেছে, রাজনীতির যাবতীয় প্যাঁচপয়জার ও ইতিহাস সবটা তিনি বুঝে উঠতে পারেননি। তা না পারুন। ব্যবসা ও রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রয়োজনে ইতিহাস তৈরির যে চেষ্টা দার্জিলিং পাহাড়কে বদলাচ্ছে তো বদলাচ্ছেই, সে প্রসঙ্গে বেসকির গবেষণালব্ধ সিদ্ধান্তের কয়েকটি প্রণিধানযোগ্য। নানান কারণে পাহাড় তরাই দুয়ারে ঘুরে বেড়াচ্ছি, দেখেশুনে যা যা মনে হয়েছে, বেসকির ভাবনা বেশ কিছু জায়গায় হুবহু মিলে যাচ্ছে।

শুধু বেসকি নন। গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন নিয়ে কাজ করেছেন মিডলটন ও রুন বেননিকে, তাঁদেরও মনে হয়েছে, গোর্খাল্যান্ড গোর্খাল্যান্ড বলে যে ব্যাপারটাকে তুলে ধরা হচ্ছে, তার সঙ্গে আজকের ট্যুরিস্টস্বর্গ, জিআই চা, টয়ট্রেন ও রাজ হেরিটেজ ইত্যাদিতে মন্ডিত ও শোভিত দার্জিলিংয়ের কোন পার্থক্য নেই। সায়েবশাসকেরা পাহাড়ের রানি দার্জিলিং বানিয়েছে, জঙ্গল হাসিল করে চা বাগিচা/বাগান বসিয়েছে, টয়ট্রেন আমদানি করেছে। সায়েবরা নেই, দার্জিলিংয়ের উত্তরাধিকার অর্শাবে ভবিষ্যতের গোর্খাল্যান্ডে, এইরকম একটা ভাসাভাসা ভাবনা, যাতে মেদমাংস নেই, চিৎকার আছে। গোজামুমুর তরফে যে সব প্রচারপুস্তিকা বিলি করা হচ্ছিল, তার বেশ কিছু উদ্ধৃত করে বেননিকে দেখাচ্ছেন, সে সবের মূল বক্তব্য, ভারতের গোর্খা সম্প্রদায় নিপীড়িত, তাঁদের বসবাসের স্বভূমিখণ্ড নেই, দার্জিলিং ওরফে গোর্খাল্যান্ড সেই প্রত্যাশিত ভূমি। বক্তব্যের এটা একটা অংশ। দ্বিতীয় অংশ, অর্থাৎ, দার্জিলিং ও সন্নিহিত তরাই-ডুয়ার্সই কেন গোর্খাল্যান্ড, বা গোর্খাল্যান্ডই বা কী, তা বলতে গিয়ে যা বলা হচ্ছে, তা পর্যটন কোম্পানিগুলোর কাগজপত্র(ইদানিং ওয়েবসাইট) ইত্যাদিতে অবিরল বহুবছর যাবৎই বলা হচ্ছে:

‘পাহাড়ের রানি হিসেবে দার্জিলিং জনপ্রিয়। তা পর্যটকদের  স্বর্গ। দার্জিলিংয়ে বিশ্বখ্যাত যে চা উৎপাদিত হয়, তাকে বলা হয়, চায়ের জগতে শ্যাম্পেন...চা থেকে দেশের প্রচুর পরিমাণে বিদেশি মুদ্রা আয় হয়...দার্জিলিং তার খেলনা রেলগাড়ির জন্যও প্রসিদ্ধ, যা ইউনেস্কোর কাছ থেকে বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে...’

বেননিকে বলতে চাইছেন, আসল দার্জিলিং নিয়ে কেউ মাথা ঘামাচ্ছে না। চা বাগানগুলোয় শ্রমিকদের দুর্দশা চরমে, শহর এবং আশপাশ নোংরা ধূলো আর অসংখ্য ঘরবাড়িতে ভরে যাচ্ছে, দৈনন্দিন ব্যবহারের জলটুকুও নেই। তাতে কিই বা যায় আসে? পুরোনো, বহুব্যবহার ও অতিব্যবহারে জীর্ণ ও ক্লান্ত কিছু শব্দ ও শব্দছবি, দার্জিলিং বলতে জনমানসে সেই ধারণা, বাইরে থেকে আসা ট্যুরিস্টদের যেমন, স্থানীয়দেরও তাই, এমন কি যাঁরা আন্দোলন করেন, তাঁদেরও। 

সারা বেসকির বইতে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের সময়ের এক আন্দোলনমঞ্চের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। সুসজ্জিত এক হুড-খোলা ট্রাকের গায়ে লেখা, আসুন, ঐতিহ্যকে বাঁচাই। তার নিচে ছবি, পরপর টয় ট্রেনের ইঞ্জিন, পাহাড়ে চড়া, পাহাড়ি নদীতে ভেলা ভাসান এবং দুই পাতা, এক কুঁড়ি। ক্লাবসাইডের ঘড়িঘরও ছিল, চৌবন্দি পরিহিত এক মহিলার আড়ালে ঢাকা পড়েছে। উঁকি মারছে একটা লাল পান্ডাও। বেসকি বলছেন, আমিও দেখেছি, ২০০৮-এর পুজোর সময়, বিমল গুরুংয়ের কঠিন নির্দেশে পাহাড়সুদ্ধ মহিলারা চৌবন্দি পরে ঐতিহ্য রক্ষা করছিলেন। এত পোশাক বানাতে নেপাল থেকে দর্জি ও সেলাইকর্মী নিয়ে আসতে হয়েছিল। বিশ্বাস, ও বিশ্বাসের ঐতিহ্য বড় বিষম বস্তু ও দায়।

Powered by Froala Editor