সময়ভ্রমণ - ৪
আগের পর্বে
রংলি রংলিওট বলে যে চা বাগান আর জায়গাটা, যেখানে এখন লেপচারা আর থাকে না। তবে তার সঙ্গেই জড়িয়ে আছে লেপচা লোকগাথা আর লোকস্মৃতি। জড়িয়ে আছে রঙ-ন্যিয়ো আর রঙ-ন্যিতের গল্প। তিস্তা পুরুষ ও রঙ্গিত মেয়ে। এই দুই নদীর প্রেমের এক গল্প। তবে লেপচাদের মতই ওয়াডেলের, রঙ্গারেনের জঙ্গলও হারিয়ে গেছে। কালের কিংবা টাকার অমোঘ নিয়মে পুরনো হোটেল, পুরনো বাড়ি ছাপিয়ে চলছে নবনির্মাণ। আর কালিম্পং-এ ম্যাকডোনাল্ডের বাড়ির রং বদলে এখন কুৎসিত গোলাপি। যাকে বলে শকিং পিঙ্ক।
পেশক বা পাশোকের কথা বলছিলাম। পুরোনো বনের জায়গায় এখন সেগুনবাগান, অন্য গাছ একটাও নেই। এক বর্ষাকালটা ছাড়া বাকি সময়টা পেশকে ইদানিং রংও ধরে না সেরকম। বৃষ্টির জল পেলে সেগুনপাতা জ্যান্ত হয়ে ওঠে, নিচের জমিতে এক-আধটা ঘাস গজায়, কিছু মাটিছোঁয়া লতাগুল্ম, কিছু ছোটো গাছ। বৃষ্টি না থাকলে সবটা শুকনো, বিবর্ণ, ন্যাড়া। সেগুন গাছ মাটি থেকে এত জল টানে যে অন্য উদ্ভিদ সেগুনবাগানে জন্মাতে পারে না।
পেশকের প্রথম চড়াই শেষ করলে পেশক চা বাগান, গ্রাম। ওই জায়গাটায় একটা টিলার ওপরে পেশকের পুরোনো বাংলোটা ছিল। দার্জিলিং থেকে কালিম্পং, সিকিম, তিব্বত, যেদিকেই যাওয়া হোক, পেশক বাংলোটা যাত্রাবিরতির পছন্দসই জায়গা ছিল। ফিকে সবুজ কাঠের পুরোনো বাড়িটাকে আমিও দেখেছি, স্বপ্নের মতো মনে পড়ে। অথবা দেখিনি। কিম্বা চোখ দিয়ে না হলেও মন দিয়ে দেখেছি। কোথায় চোখের দেখা শেষ আর মনের দেখা শুরু, কে বলতে পারে।
পেশকের বন বা বাংলো কিছুই এখন নেই। বন কাটা হয়ে গেছে কোনকালে, বাংলোটা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে প্রথম গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের সময়। অথচ আমি দিব্যি দেখতে পাই, টিলার ওপরে পেশকের সবুজ কাঠের বাংলো, তার সামনে দিয়ে ঘন বনের মধ্য দিয়ে সরু পাকদণ্ডি তিস্তায় পৌঁছেছে। সেই পাকদণ্ডি দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে একের পর এক মাল-বোঝাই খচ্চরের সারি, ভুটিয়া-নেপালি-শেরপা কুলির দল, মালের বোঝায় ঝুঁকে পড়া। তার পিছনে কি সামনে ঘোড়ায় চেপে সাহেবদের দল, অভিযাত্রী, রাজপুরুষ, সৈন্য, পর্বতারোহী। কে নেই সেখানে? জোসেফ ডাল্টন হুকার, যিনি প্রথম দার্জিলিং আর সিকিমের গাছপালার দীর্ঘ তালিকা বানিয়েছিলেন, এল এ ওয়াডেল, যিনি পায়ে হেঁটে সিকিম ও দার্জিলিং হিমালয়ের প্রায় সবকটা উঁচু পাহাড়ে ঘুরেছিলেন, লামাইজম বা তিব্বতি মহাযান বৌদ্ধধর্ম নিয়ে প্রামাণ্য বই লিখেছিলেন, বারবার মনে করিয়েছিলেন এলাকার পুরনো লোকজন, গাছপালা, বনজঙ্গলকে বাঁচিয়ে রাখার কথা। তারপরে কামানবন্দুক নিয়ে স্বয়ং ফ্রন্সিস ইয়ং হজব্যান্ড, যিনি এশিয়ার যাবতীয় উঁচু পাহাড় আর মরুবৎ মালভূমি হেঁটে পার হয়েছেন, তারপরে সসৈন্য দার্জিলিং থেকে যাত্রা আরম্ভ করে তিস্তা পেরিয়ে কালিম্পং জেলেপিলা ছুমবি উপত্যকা ঘুরে সোজা পৌঁছে গেছেন লাসায়, বেয়াদপ তিব্বতিদের শিক্ষা দিতে। তার আগেপরে আরো কত নাম, কত মুখ। কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযান, এভারেস্ট অভিযান। এভারেস্টের ঠিক নিচে মেঘ কুয়াশায় চিরকালের মতো হারিয়ে যাওয়া ম্যালোরি-আরভিং, দুর্গম কাঞ্চনজঙ্ঘার কাছে পরাস্ত হয়ে ফিরে আসা ফ্র্যাঙ্ক স্মাইথি, যিনি পরে গাড়োয়াল হিমালয়ে কামেট জয় করবেন, ফুলের উপত্যকা নন্দনকানন আবিষ্কার করবেন। সাহেবদের পায়ে পায়ে ভারতীয় পণ্ডিত কিম্বা গুপ্তচরেরা, যথা তিব্বতি ভাষায় এবং লামাবাদে প্রগাঢ় জ্ঞান নিয়ে শরৎচন্দ্র দাস, যিনি লাসা পর্যন্ত পৌঁছেও, প্রাণ নিয়ে কোনোরকমে তিব্বত থেকে ফিরে আসেন, অথবা কিন্তুপ লেপচা, তিব্বতের মালভূমিতে যাঁর একের পর এক য়্যাডভেঞ্চারের ফলে সাহেবরা তিব্বতের মোটামুটি একটা মানচিত্র তৈরি করতে পারে।
আরও পড়ুন
পেশকের পথ ধরে
পেশক থেকে পথ উঠে যাচ্ছে তো যাচ্ছেই। ওঠার সময় ডানদিকের ঢাল নেমে যাচ্ছে রঙ্গিতে, বাঁদিকের ঢাল তিস্তায়। চা আর দুধ পুড়িয়ে তৈরি করা ছোট ছোট গোল গোল প্যাঁড়ার জন্য বিখ্যাত লপচু চা বাগান ছাড়িয়ে আরো খানিক চড়াই উঠলে একদা নিঃঝুম লামাহাটা, যেখানে এখন পর্যটনের ঢল, ফলে রাস্তার পাশের বাড়িগুলো গোলাপি, বড় বড় পাইন গাছের গুঁড়ি নীল-সাদা, গুঁড়ি ঘিরে বাঁধানো সিমেন্টের বেদি, এখানে ওখানে বাচ্চাদের খেলা করবার ও বড়দের সেলফি তুলবার মতো রংচঙে স্লিপ, বেঞ্চি, এটাসেটা। পাইনবনের পাশে, শোনা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় থেমেছিল। সেই থেকে লামাহাটা নতুন ডেস্টিনেশন, সেখানে এখন লোকে থাকে না, ট্যুরিস্টসেবা করে। পাইনবনে ও পাহাড়ি ঢালে জড় হতে, জমে যেতে থাকে চিপসের আর বিস্কুটের প্যাকেট, লজেন্সের আর চ্যুয়িং গমের মোড়ক, জল আর কোলার বোতল, রাশি রাশি হাফপ্যান্ট পরা গাবদা রোমশ পা, স্মার্টফোনে চিরকালের মতো থেমে যাওয়া পাহাড় মেঘ পাইনবনের বাইটনিসর্গ, সেগুলো আকাশবাতাসসমুদ্র পার করে দূর ক্যালিফোর্নিয়া কি ওইরকম কোথাও ডেটাসেন্টারে রাখা 'ক্লাউডে' গিয়ে জমবে। সে ক্লাউড বাঁচিয়ে রাখতে গেলে আবার পাহাড়বন কেটে কুপিয়ে খুঁড়ে কয়লাতেল তুলতে হবে, নদীকে বেঁধে ফেলতে হবে। না হলে বিদ্যুৎ হবে না। বিদ্যুৎ না হলে মেশিন চলবে না। মেশিন না চললে ফেসবুক, হোয়াটসয়্যাপ বন্ধ, ছবি তুলে লাভ নেই।
আরও পড়ুন
লেপচা-দুনিয়ায়
ক্লাউডে পাঠানো, জমা থাকা, রঙিন নতুন লামাহাটা তৈরি হবার আগে পুরোনো লামাহাটা ছিলো সত্যিকারের মেঘের দেশ। ওই পথ দিয়ে যেতে আসতে কতবার যে দেখেছি পাইনগাছের গুঁড়িতে গুঁড়িতে লতিয়ে উঠছে পুরু সাদা মেঘ, এত ঘন যে গাছের মাথা দেখা যায় না। পাইনবনের পাশে সেই মেঘের বাগানে লম্বালম্বি টাঙানো আছে রঙিন বৌদ্ধ প্রার্থনাপতাকার সারি, লাল নীল হলুদ সবুজ, সে পতাকায় লেখা ওম মণিপদ্মে হুম। লামাহাটা ভুটিয়াদের পুরোনো গ্রাম। দার্জিলিং অঞ্চলে বসবাসকারি সিকিমের, তিব্বতের, ভুটানের লেপচা বা নেপালি নন এমন সব আদি বাসিন্দাদের ভোটে বা ভুটিয়া বলার রেওয়াজ আছে। দার্জিলিং এর স্বল্পসংখ্যক ভুটিয়াদের পক্ষে এখন মনে করাও সম্ভব নয়, কার আদি বাড়ি কোথায় ছিল। লামাহাটার গ্রামের নিচের দিকটায় একটা গুম্ফা দেখিয়ে ওখানকার বাসিন্দারা বলেন নিদেন পক্ষে চারশো বছরের পুরোনো। হবে হয়তো। এই অঞ্চলটার প্রাচীনত্ব যে আছে, তা লামাহাটা ছাড়িয়ে কিছু দূর গেলেই বোঝা যায়। দু'পাশের পাইনবন(আসলে বন নয় বাগান, প্ল্যান্টেশান) যেখানে পাতলা হয়ে এসেছে সেখানেই বড়ো বড়ো ডালপালায় ঝাপসা অন্ধকার এক এক বড় গাছ, ওক, ম্যাগনোলিয়া, বার্চ, ম্যাপল। তাদের শরীর বয়সের ভারে ন্যুব্জ, গুঁড়িতে চাপ-বাঁধা বাদামি লাইকেন আর নরম সবুজ মস, ডাল থেকে ঝুলে আছে মস/লাইকেনের জটা, তার ভিতর থেকে থেকে থেকে উজ্জ্বল বর্ণচ্ছটায় ঝলসে উঠছে লাল, সাদাটে লাল, গোলাপি অর্কিড। জোড়বাংলো থেকে পেশক পথের অনেকটা জুড়ে, আবার জোড়বাংলো থেকে সীমানা-মানেভঞ্জ-সান্দাকফুর পথে, সময়হীন আদি পার্বত্য অরণ্যের রাজত্ব ছিল। সে বনের কথা বলেছেন হুকার এবং ওয়াডেল দুজনেই।
আরও পড়ুন
তিস্তা বা রঙ-ন্যিয়োর গল্প
উনিশ শতকের শেষে, দার্জিলিং অবধি রেলপথ তৈরি হয়ে গেছে, পাহাড়ের বন কেটে শহর বসেছে, সেই সঙ্গে রাজস্বদায়ী কৃষি, চা-বাগান। বাকি বন সায়েবি বনবিভাগের দখলে, বন পুড়িয়ে নষ্ট করে বলে লেপচা-ভোটেদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, পাহাড়ে পাইন ও অন্য গাছ লাগানোর কাজ পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে, বনের কাজে মজুর খাটার লোকের যোগান দেবার জন্য নতুন বসতি গড়ে উঠছে, আর কুড়ি-পঁচিশ বছরের মধ্যেই সেগুলো বনবস্তি বা ফরেস্ট ভিলেজে রূপান্তরিত হবে। সেই-সময়েও পেশক পথে এবং তার আশেপাশে ছড়িয়ে থাকা রঙ্গারুন বনের অবর্ণনীয় সৌন্দর্য ওয়াডেলকে হতবাক করে দিয়েছিল। রঙ্গারুন বন শেষ হয়ে যাবার পরেও টাইগার হিলের খাড়া ঢালে সেঞ্চলের আদিম বন বেঁচে ছিল। পাহাড়ের বহু পুরোনো বাংলোর সঙ্গে সঙ্গে সেই বনও গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের প্রথম দিকেই ধ্বংস হয়ে যায়। উল্টোদিকের, অর্থাৎ সীমানা-সান্দাকফু পথের বনও টিকে ছিল বহুকাল। স্বাধীন দেশের সরকার-- সম্ভবত জাতীয় উন্নয়নে বন কাটা ও ধুপি গাছের চাষ একান্তই দরকার--এই বিবেচনায় সে বন নিকেশ করে সর্বত্র ধুপি লাগিয়ে দেন। ধুপি একধরণের পাইন, অন্যান্য সরলবর্গীয় গাছের মতোই, ঘন সবুজ, সুষম, নয়নশোভন। সে গাছে মেঘ লতিয়ে ওঠে যখন, অথবা ঘনবনের ওপর ছায়ারোদ ঝিলমিল জাফরি রচনা করে, তা চোখ জুড়িয়ে দেয়। তা হোক। পুরোনো বনের সুন্দর আরো নিবিড়, বৈচিত্র্যময়, রহস্যঘন। বসন্তে সে বন ছেয়ে যায় গুরাস-চিমল-চাপের বহুরঙের অলৌকিক বিভায়, গ্রীষ্ম, বর্ষা, হেমন্ত, শীত জুড়ে পাহাড়ের গা আলো করে ফুটে থাকে পাহাড়ি ফুলের দল, নানা রকমের ফার্ন। সেই বন জীবন্ত, প্রাণমুখর, গাছের শিকড়ে শিকড়ে সেখানে সদানীরা জলপ্রবাহ। ধুপিবন ছবির মতো সাজানো বাগান, দেখতে ভালো, কিন্তু তাতে প্রাণ নেই। সেগুন বনের মতোই তা মাটির সব জল খেয়ে নেয়, মাটি আলগা করে পাহাড়ি ঢালকে ভঙ্গুর করে তোলে। পাহাড়ের সমস্ত বুড়ো মানুষ ধুপিবনের ওপর আর সরকারি বনবিভাগের সায়েবদের ওপর চটা। পুরোনো বনের কথা তাঁদের মনে আছে, ধুপিজঙ্গলকে বন বলে তাঁরা মনেই করেন না। শুধু তাঁরা কেন? বনবিভাগের যে সব সায়েবদের তত্ত্বাবধানে পাহাড়ের বননিধন হয়, তাঁদের অনেকেও পরে বুঝেছিলেন কাজটা ঠিক হয়নি। একজন আমাকে বলেছিলেন, সে বন তুমি দেখোনি, দেখতেও পাবে না। এখন যা আছে সেগুলো নকল, প্রতিচ্ছায়া। হিমালয়ের আসল, আদি বন আমরাই শেষ করে দিয়েছি।
আরও পড়ুন
মরে-যাওয়া মাঠের ওপর অলৌকিক কালো সারসের মতো নেমে এসো, মেঘ
পেশক পথে প্রথম গিয়েছিলাম কবে মনে নেই। সম্ভবত কলেজে পড়ি তখন। কিন্তু সে পথের কথা জানতাম সেই কবে থেকে। বাবার কাছ থেকে বহু গল্প শুনেছি, তারপর সেই বইটা পড়া, শুধু পড়া নয়, গোগ্রাসে গেলা। পুরোনো সায়েবি ঘরবাড়ি বাংলো, পাহাড়ের ঢালে চা-বাগান, এবং মেঘ-কুয়াশায় ঢাকা পুরোনো পাহাড়ি বনের কথাগল্প বলা সেই মজার বইটার নাম ঝাউ বাংলোর রহস্য। দার্জিলিং আর নীলপাহাড়ির পটভূমিকায় এই রহস্য ফেঁদেছিলেন এক এবং অদ্বিতীয় নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়। দার্জিলিং তো দার্জিলিং, কিন্তু নীলপাহাড়িটা কোথায়? পেশক রোড ছেড়ে ঘন বনের মধ্য দিয়ে যাওয়া একটা সরু রাস্তা, তার দুপাশে ফার্নের ঝোপ, গাছ-ঢেঁকির মেলা(ট্রি ফার্নের বাংলা গাছ-ঢেঁকি, বলেছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, তাঁর দার্জিলিং-এর চিঠিতে), ফরগেট-মি-নট, হায়ড্রানজিয়া, আরো কত বুনোফুল, ঝাঁক বাঁধা প্রজাপতির দল। পথশেষে নীলপাহাড়ি, সেখানে ছবির মতো ঝাউবাংলো। ম্যাকেঞ্জি সায়েবের বাড়ি, বেচে দিয়ে সে দেশে ফিরে গেছে। ঝাউ বাংলোর রহস্য ধারাবাহিকভাবে প্রথম ছাপা হয়েছিল সন্দেশ পত্রিকায়। আমি পড়েছিলাম অনেক পরে, কলকাতার রাজবল্লভ পাড়ার লক্ষ্মী দত্ত লেনের একটা দোতলা বাড়ির একতলায় বসে বসে। সে বই সেই থেকে সঙ্গী হয়ে গেল, কতবার পড়েছি ইয়ত্তা নেই। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় আর বছর দুয়েকের মধ্যে মারা যাবেন, পৃথিবী বদলাতে বদলাতে শেষতক কোথায় গড়িয়ে যাবে কেউ জানে না। ঝাউ বাংলোর রহস্য বইটা আলাদা ভাবে ছাপা আছে বলে মনে হয় না। রাজবল্লভ পাড়া আর লক্ষ্মী দত্ত লেন অবশ্য এখনো আছে। হয়তো নীলপাহাড়িও আছে, সেসঙ্গে সেখানকার ঝাউবাংলোটাও। না থাক, ভাবতে ক্ষতি কি? খোঁজ তো করাই যায় অন্তত। কিন্তু নীলপাহাড়ি আবিষ্কারের গল্পটা আলাদা করে বলা দরকার।
অলংকরণ - অনিতেশ চক্রবর্তী
Powered by Froala Editor