একটি ডার্বি ম্যাচের সন্ধেয়

বর্ণালীদি সেদিন চপ নিয়ে বসেনি। চারদিনের ছুটি নিয়ে ঝড়খালিতে তার দেশের বাড়ি গেছে। নাতনির অন্নপ্রাশন পরদিন। বাবুদারাও নিমন্ত্রিত, তারা অন্নপ্রাশনের দিনই রওনা হবে। ওরা নিমন্ত্রিত বলে ওদের ছুটির মেয়াদ কম, তিনদিন। তাদের পোষা টিয়াপাখি টুয়াকে রেখে যাবে ক্লাবঘরে। এই কদিন তার খাওয়াপরার দায়িত্ব হরিশঙ্কর দাসের।

চপ-মুড়ির জলখাবার স্থগিত থাকায় বিবেকানন্দ ব্যায়ামাগারের সামনের রাস্তায় রবিবারের ভিড়টাও বেশ পাতলা। 

ছোটো কাগজের কাপে লিকার চা নিয়ে গিয়ে বসলাম ক্লাব-চত্বরের একটা চেয়ারে। হরিশঙ্কর দাসের সঙ্গে সেখানে রয়েছেন বুটুনদা। ক্লাবে তখন রোজকার মতোই টিভি চলছে। এবং, খবরের চ্যানেলই চলছে। তবে অন্যদিনের মতো তুমুল অর্থহীন এবং বিভ্রান্তিমূলক বিতর্কসভার কান-ফাটানো উৎপাত নেই।

কারণ, সেদিন ডার্বির দিন।

আরও পড়ুন
‘গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে ‘City of Joy’-এর লোক এসে বলল, অভিনয় করবে?’

এটিকে মোহনবাগান আর ইমামি ইস্টবেঙ্গলের একে-অন্যের টক্কর নেওয়ার দিন।

আরও পড়ুন
‘বেলতলায় খেলতে গেছি, গোল হতেই পড়ল বোমা’

ভারতীয় ফুটবল-মানসে ডুরান্ড কাপ ফিরে এসেছে আবার। হরেমামার পাশের চেয়ারে বসা বুটুনদা মূলত ক্রিকেট-ভক্ত, কিন্তু ফুটবলটাও মন দিয়ে দেখেন। 

আরও পড়ুন
তিনটে জোয়ান ছেলেকে এক আঙুলের টোকায় ফেলে দিয়েছিল মেয়েটা

যখন গেছি, তখন সেকেন্ড হাফের খেলা চলছে। হরেমামা আমায় দেখে বলল – “এসো, বসো। খেলা হচ্ছে দেখেছ?”

আরও পড়ুন
‘ঊষার স্কুলের বারান্দায় ডাব খাচ্ছি, রাত তখন দেড়টা’

মাথা নাড়লাম, না। খেলা নিয়ে খবর না রাখার একাধিক কারণ আছে। সেসব বলতে শুরু করলে হরেমামারা রাগ করতে পারে।

আমি তাই সেসবের ধার দিয়েও গেলাম না। চুপটি করে হরেমামার পাশের সোফাটিতে গিয়ে বসলাম। এমন সোফা এখানে তিনখানা। প্রত্যেকটিই বহুদিনের পুরনো। সোফার কভার বহু জায়গায় ছিঁড়ে গিয়ে ভেতরকার নরম স্পঞ্জ বেরিয়ে এসেছে। সোফা থেকে টিভির দূরত্ব ভালোই। তার উপর পুরনো পাওয়ারের চশমাটা পরে এসেছি, ফলে স্ক্রিনের কোণার ছোট্টো স্কোরলাইনটা ভালো দেখতে পাচ্ছি না। কেবল নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিজ্ঞাসা করলাম – “মোহনবাগান এক গোলে এগিয়ে নাকি?”

বুটুনদা যেন শুকনো গলায় বলে উঠলেন – “হ্যাঁ, ফার্স্ট হাফের শেষে গোল হল। তারপর থেকে মোহনবাগানই ভালো খেলছে।”

টেলিভিশন সেটটিতে কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ হয়েছে। একটা ফ্রেম থেকে অন্য ফ্রেমে যখনই যাচ্ছে ছবি, আগের ফ্রেমটি ‘ফ্রিজড’ হয়ে কিছুক্ষণ থেকে যাচ্ছে পরের ফ্রেমের ওপর। টিভি যেন ধরে রাখতে চাইছে অতীত স্মৃতি। ফলে, খেলা দেখার যে মসৃণতা, সেখানে বাধা পড়ে যাচ্ছে বারবার। বুটুনদা বলে ওঠেন – “ওঃ হরে, এ কী হচ্ছে বল তো! টিভি সেটটারই কিছু প্রবলেম হয়েছে।”

হরেমামা বলে – “পিকচারের গণ্ডগোল। দেখাতে হবে।”

তারপর আবার খেলার বিশ্লেষণে ডুবে যায় দুজনে। ফ্রেম-সমস্যা এড়িয়ে খেলাটা দেখার চেষ্টা করি আমিও। সম্প্রচার চলতে চলতে স্ক্রিনের নিচে ভেসে উঠছে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য – “লিষ্টনের কর্নার থেকে সুমিত পাসির পায়ে লেগে গোল।” মোহন-ইস্টের খেলা-সংক্রান্ত কোনও খবরই আর রাখি না, তাই সুমিত পাসি কোন দলে খেলেন আমার জানা নেই। কিন্তু সেকথা আমি চেপে গেলাম। 

দোদুদা যেদিন হোগলার বনের গল্প বলল আমায়, সেই প্রসঙ্গেই হরেমামা বলেছিল – “এখানে এরা সব এসেছে ওই ফর্টি নাইনে। আমাদের মা-বাবারা সকলেই ওই সময়ে।” সেকথা মনে করে আমি জিজ্ঞাসা করি – “আপনারা এখানে সকলে ইস্টবেঙ্গল, না?”

এ প্রশ্নে বুটুনদা আমার দিকে তাকিয়ে হাসেন। মামা বলে – “বেশিরভাগই ইস্টবেঙ্গল।”

প্রিয় দলের খেলায় কোনও পরিকল্পনার ছাপ নেই। মাঝমাঠ থেকে খেলা তৈরির চেষ্টা বারবার আটকে যাচ্ছে। আর বুটুনদা বারবার স্বগতোক্তির মতো আউড়ে যাচ্ছেন – “মোহনবাগানই ভালো খেলছে।” 

মোহনবাগানের ফরোয়ার্ড লাইনের একজন খেলোয়াড়কে দেখিয়ে হরেমামা একবার বলল – “এই, এটা কিয়ান নাসিরি, না?” 

বুটুনদা বুঝি উত্তর দেওয়ার জন্য তৈরিই ছিল – “হ্যাঁ, জামশিদ নাসিরির ছেলে তো। ওকেও কীরকম তৈরি করে নিল বল তো! বাবা খেলত ইস্টবেঙ্গলে, আর ছেলে মোহনবাগানে দাপাচ্ছে।”

হরেমামা বলে – “ইরানের প্লেয়ার না?”

বুটুনদা কেবল সম্মতিসূচক মাথা নাড়েন। কিয়ান ইস্টবেঙ্গলে খেললেই খুশি হতেন তিনি। কী জানি, কিয়ানের বাবার উপর এই মুহূর্তে তাঁর রাগ হচ্ছে কিনা।

আমি প্রসঙ্গ বদলানোর জন্য বললাম – “ডুরান্ড কাপ অনেক বছর পরে হচ্ছে। এত বড়ো একটা টুর্নামেন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল!”

ক্রিকেট-পাগল বুটুনদা বলেন – “ওয়ার্ল্ডের থার্ড ওল্ডেস্ট টুর্নামেন্ট। ওল্ডেস্ট বোধহয় কিংস কাপ না কী একটা দেখছিলাম। সেটা মনে হয় আফ্রিকাতে হয়।”

ইতিহাস বলে বুটুনদা আবার খেলায় ফেরেন। বলতে পেরে যেন এক তৃপ্তি তাঁর মনে। 

কৌতূহলী হয়ে অনুসন্ধান করি। কিংস কাপ বলে আদৌ কোনও প্রতিযোগিতা আফ্রিকায় হত কিনা, তেমন কোনও তথ্য নেই। ডুরান্ড এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো ফুটবল প্রতিযোগিতা, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ফুটবল প্রতিযোগিতার খেতাবটি ইংল্যান্ডের এফএ কাপের দখলেই। জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা যদি ধরি, তাহলে এফএ কাপ, স্কটিশ কাপ, ওয়েলশ কাপ, আইরিশ কাপ, অর্থাৎ, ব্রিটেনের সবকটি ক্লাব প্রতিযোগিতাই ডুরান্ডের আগে। এফএ কাপ শুরু হয়েছিল ১৮৭১ সালে, আর ডুরান্ড ১৮৮৮। এই ১৭ বছরের মাঝে জাতীয় স্তরের ক্লাব প্রতিযোগিতা বাদ দিয়ে অন্যান্য আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা এবং অক্সফোর্ড, কেমব্রিজের নানা প্রতিযোগিতাও শুরু হয়ে গেছে। এর মধ্যে স্কটিশ কাপের ট্রোফি আবার সবচেয়ে প্রাচীনতম, সেই ১৮৭৪ সাল থেকে ট্রোফির কোনও পরিবর্তন হয়নি। এতরকম তথ্যের মাঝে খটকা থেকে যায়।

ওদিকে খেলা চলছে। ইস্টবেঙ্গলের দুরবস্থার পাশাপাশি মহামেডান স্পোর্টিং যে দারুণ খেলছে এবার, সেকথাও ভেসে উঠছিল আলোচনায়। 

ক্লাব প্রাঙ্গণে তখন এক ধরনের খুদে পোকা উড়ছে। টিউবলাইটকে ঘিরে তাদের জটলা। মাঝেমাঝে গায়েও বসছে তারা, তখন কুটকুট করে উঠছে চামড়া। হরেমামা বলে ওঠে – “উফ, এত মশা হয়েছে ক্লাবে।” তারপরেই স্বগতোক্তি – “না, এ তো মশা নয়। ছোটো ছোটো পোকা।”

বুটুনদা নিজের মনেই বলে উঠলেন – “শ্যামা পোকা এসেছে।”

হরেমামা সন্দিগ্ধ হয় – “শ্যামা পোকা? এত তাড়াতাড়ি?”

বুটুনদা এক মুহূর্ত চুপ করে থেকে বলেন – “না রে, এগুলো ঘাসের পোকা। বর্ষাকালে হয়। লাইটের আশেপাশে ওড়ে। হেবি ডেঞ্জারাস, চোখে ঢুকে গেলে জ্বালা করে ওঠে।”

ক্রমে এটিকে মোহনবাগান-ইমামি ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে আমরা বাদলা পোকাদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠলাম। আর ঠিক তখুনি হরেমামার মনে পড়ে গেল পুরনো এক ঘটনা। কোনও ভূমিকা ছাড়াই সে শুরু করে দিল – “স্কুলমাঠে পুজো হচ্ছে, আমি রাত জাগছি। আমার বাবা মণ্ডপী করত। তখন রাত দুটো-আড়াইটে হবে। দেখি, এই বড়ো বড়ো কালো পোকা। একেবারে কাঁকড়ার সাইজের।”

আমি জানতে চাই – “মণ্ডপী মানে?”

হরেমামা বলে – “মানে পুজোর যাবতীয় যা কাজ থাকত, আমার বাবাই অল-ইন-অল। আমাদেরও হেবি উৎসাহ। আমাদের এই পুজো অনেক বছরের। আমার জন্মের আগের।”

স্কুলমাঠ অর্থে ক্লাব থেকে অল্প এগিয়েই যে বীণা বালিকা বিদ্যালয়, সেই স্কুলের মাঠ। সেখানেই ক্লাবের দুর্গাপুজো হয়। হরেমামার দায়িত্ব বেড়ে যায় তখন। 

আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে হরেমামা আবার পোকার কাহিনিতে ফিরল – “ওখানে ধুনুচি রাখা ছিল, সেই ধুনুচির মধ্যে পোকাগুলোকে ভরলাম। মাঠের পাশে তাপস চক্রবর্তীদের বাড়িতে পুজো হত, ধুনুচিতে পোকা ভরে সেই পোকা ওদের বাড়িতে গিয়ে ফেলে দিয়ে এসেছি। এই করে প্রায় ছ-সাতবার ধুনুচিতে পোকা ভরেছি আর ফেলেছি।”

আমি হেসে বললাম – “ওরা তারপরে তোমাকে আর কিছু বলেনি?”

হরেমামা গর্বভরে বলে – “আরে জানতে পারলে তো ফেলবে। কেউ দেখেছে নাকি? ওদের বাড়ির ছেলেটা আমার বন্ধু ছিল। সে আমায় পরেরদিন বলছে, জানিস হরে, কী পোকা হয়েছে মণ্ডপে। আমি ওকে বললাম, তোদের ওখানে আর কী পোকা দেখছিস, ক্লাবে আয়, ওর চার ডবল পোকা তোকে দেখাচ্ছি।”

জিজ্ঞাসা করি – “কী পোকা ছিল ওগুলো?”

বুটুনদা বলেন – “নাম জানি না ভাই। তবে হরে যেমন বলল, কাঁকড়ার মতো, সত্যিই তেমনই। পিঠের খোলটা খুব শক্ত। ওই পোকাগুলোও ডেঞ্জারাস।”

খেলা তখন একাশি মিনিট পার করেছে। বুটুনদা হাল ছেড়ে দিয়েছেন তখন। তাঁর রবিবারের সন্ধেটা যে মাটি হচ্ছে, সে সম্বন্ধে তিনি নিশ্চিত। হরেমামা অবশ্য তখনও আশা করতে চাইছেন, বলছেন – “দেখাই যাক না। এখনও তো ন’মিনিট আছে।”

আমি হরেমামাকে জিজ্ঞাসা করি – “তাপস চক্রবর্তীদের বাড়ি কোনটা?”

মামা বলে – “ওই স্কুল থেকে সোজা গিয়ে একদম লাস্ট বাড়িটা। ওদের পেতলের দুর্গামূর্তি, সেটাই পুজো হয়। অনেক বড়ো গুষ্টী, এক-একবছর একেকজনের ভাগে পালা পড়ে।”

শেষ মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গল একটা সুযোগ তৈরি করেছিল, কিন্তু আক্রমণকারী খেলোয়াড়টি সোজা মোহনবাগানের গোলকিপারের হাতে বল জমা করল। বুটুনদা ততক্ষণে আমাকে বলতে শুরু করেছেন – “ওদিকে ইন্ডিয়া-পাকিস্তানের স্কোরটা কত হল, দেখুন তো।”

স্কোর বলে আবার হরেমামার দিকে ফিরলাম। মামা তার কথায় ফিরল – “তাপসদের ফ্যামিলিতে না খুব সুন্দর-সুন্দর মেয়ে ছিল। পুজোর সময়ে তারা আসত। আর আমাদের বন্ধুরা তাদের খ্যাপাত। খুব মজা হত। কতবার ওদের সরস্বতী ঠাকুর চুরি করে নেওয়া হয়েছে।”

বুটুনদা এই কথা শুনে বলে ওঠেন – “তখন এই ঠাকুর চুরিটা খুব হত, না?”

মামা বলে – “হ্যাঁঃ, সে এক হত!” তারপর আমার দিকে ফিরে বলে – “আমার দাদা রাতে মণ্ডপে রয়েছে। জানে, রাতে ঠাকুর চুরি হবে। কিছুক্ষণ জেগে থাকার পর দাদার ঘুম পেয়েছে, তখন পায়ের সঙ্গে দড়ি বেঁধে নিয়েছে, আর দড়িটার আরেকটা দিক বেঁধেছে মণ্ডপের সঙ্গে। এবার চোর যেই এসেছে ঠাকুর চুরি করতে, অমনি দড়িতে টান পড়েছে। দাদা জেগে উঠে ‘ধর, ধর’ বলে চেঁচিয়েছে, চোর ঠাকুর-ফাকুর রেখে একদম ভাগলওয়া। তখন এমন ঘটনা খুব ঘটত, এর সরস্বতী ঠাকুর চুরি করে ওর বাড়ির সামনে রেখে দেওয়া।”

এই বলে মামা প্রাণ খুলে একচোট হাসল। মুখ খুললে অবশিষ্ট দাঁতগুলো দেখা যায়। তার হাসি থামলে আমি বললাম – “বাবা! এ তো পুরো সেই কার্তিক রেখে আসার মতো ব্যাপার।”

মামা তখন শুধরে দেয় আমায় – “না, সেটা অন্য ব্যাপার। সেটা রাখলে তোমায় পুজো করতেই হবে। আর এটা পুরো বদমায়েশি।”

খেলা শেষ হয়েছে। “আগত দশবছরে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানকে হারাতে পারবে না” – একথা বলে বুটুনদা ইন্ডিয়া-পাকিস্তানের খেলার চ্যানেলটিতে চলে গেছেন। সন্ধেটা মাটি হল, রাতটা মাটি না হয়! 

এই সময়ে আরেকজন ভদ্রলোক এলেন। ক্লাব প্রাঙ্গণের রেলিংয়ের ওপার থেকে বুটুনদাকে জিজ্ঞাসা করলেন – “খেলাটা কী হল রে, বুটুন?”

বুটুনদা পিছন ফিরে বললেন – “মোহনবাগান ১-০।”

তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন – “কে গোল দিল?”

বুটুনদা উত্তর দিলেন – “আত্মঘাতী গোল।”

ভদ্রলোক বাংলা পরিভাষাটা ঠিকমতো ধরতে পারলেন না বোধহয়। তাই আবার শুধোলেন – “কে দিয়েছে বললি?”

বুটুনদা টিভির ভলিউমটা কমিয়ে, গলাটা চড়িয়ে জবাব দিলেন – “আত্মঘাতী গোল। সেমসাইড, সেমসাইড।”

টিভিতে ততক্ষণে ক্রিকেট শুরু হয়ে গিয়েছিল। লেফট আর্ম পেসার অর্শদীপ সিং বল করছেন। পাকিস্তানের বাবর আজম আউট হওয়ায় বুটুনদা যারপরনাই খুশি। ক্লাব চত্বরের চেয়ারে আরও অনেকেই এসে বসছে। পাকিস্তানের দুরমুশ হওয়া দেখতে সকলের ভারী আনন্দ। 

আমি উঠে পড়লাম। আপাতত, আমার জানা হয়ে গেছে, সুমিত পাসি কোন দলে খেলেন।

Powered by Froala Editor