‘গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে ‘City of Joy’-এর লোক এসে বলল, অভিনয় করবে?’

ক্লাব চত্বর ফাঁকা। বেলতলার ফুটবলের গপ্পোর দিনের মতো টিভি চলছে না আজ। কী যেন এক অপার শান্তি চত্বর জুড়ে। 

এক ঠোঙা মুড়ির মধ্যে দু’খানা তেলেভাজা নিয়ে যখন গিয়ে বসলাম, তখন সাকুল্যে তিনজন উপস্থিত। গ্রেট হরিশঙ্কর দাস ছাড়া আরও দু’জন বৃদ্ধ। একজন হাবুলদা, তিনি পায়চারি করছিলেন। প্রেশার-জর্জরিত শরীরকে সুস্থ রাখার টোটকা। আমি যেতেই মামা বলে – “আরে, এসো দাদা। বসো।”

“কোথাও যাওনি আজ?”

“না। আজ ছুটি নিয়েছিলাম। গাড়ি ধোওয়ার ছুটি।”

অন্য বৃদ্ধটির সঙ্গে নতুন আলাপ হল। অবশ্য অচেনা তিনি নন। যখন থেকে এখানে চা-জলখাবারের জন্য আসছি, তাঁকে দেখছি। বিকালের একটা নির্দিষ্ট সময়ে তাঁর আসা, নির্দিষ্ট চেয়ারে এসে বসা। হাঁটাচলা বড়ো ধীর, দেখলেই বোঝা যায় বয়সের ভার। ক্লাবে এসে বর্ণালীদিকে ব্যস্ত করে তোলেন তেলেভাজার জন্য। অবিন্যস্ত পাকা চুল, বুক অবধি নেমে আসা সাদা দাড়ি। ময়লার আড়ালে হারিয়ে গেছে তাদের সাদা রং। রোগা চেহারার ওপর একটা সবুজ গেঞ্জি আর নীলচে হাফপ্যান্ট তাঁর রোজকার পোশাক। জামা-প্যান্ট থেকে দীর্ঘদিনের না-কাচা গন্ধ। আঙুলের লম্বা নখগুলোর গোড়াও ময়লা জমে কালো। এমন অকিঞ্চিৎকর বেশভূষার মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে, তা হল তাঁর দুই শান্ত, উজ্জ্বল চোখ। সে চোখ অনেক কথা বলতে চায়।

মানুষটির নাম সুপ্রিয় চৌধুরী। এপাড়ার দোদুদা। বাবুদার রবীন্দ্রনাথ। 

দোদুদার পরিবারও ওপার বাংলা থেকে চলে এসেছিল। হরেমামারা যেমন বরিশাল, দোদুদারা চট্টগ্রামের। ১৯৫০-এ তাঁর মা-বাবা এসে ‘জমি দখল করেছিলেন, সঙ্গে ডাক্তারের মা’। ডাক্তার তাঁর পিছনের বাড়িতেই থাকেন। তখন এখানে ছিল হোগলার বন। সেই হোগলার বনে হারিয়ে গিয়েছিলেন দোদুদা, দাদার মেয়েকে খুঁজতে গিয়ে। সেসব কথা মনে পড়লে বিবর্ণ দাড়ির ফাঁক দিয়ে দোদুদার মুখে ঝিলিক দিয়ে যায় হাসি। 

দোদুদা তারপর মাইথনে চলে গিয়েছিলেন। বাবার চাকরিসূত্রে। মাইথনেই স্কুল ফাইনাল। তারপর ভোলারাম শিবল খড়কিয়া কলেজ। ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিহারের নানা অঞ্চলে বিহারি-বাঙালি সংঘাত। দোদুদারা সবান্ধবে বিপদে পড়লেন, মায়ের কথায় দোদুদা পালিয়ে এলেন কলকাতায়। 

এবং, উজ্জ্বল ছাত্র, স্বভাবে ‘ঘাউরা’ দোদুদা মিশে গেলেন দুর্নীতির কুয়াশায়। 

পুরনো কথা বলতে বলতে পুরনো সিনেমার কথা উঠল। আটের দশকের মাঝামাঝি থেকে নয়ের দশকের শুরুর কয়েক বছরের সিনেমার কথা। খালের ওপারে বান্টি সিনেমা। নাকতলা অঞ্চলের বিনোদনপ্রেমীদের অক্সিজেন। হরিশঙ্কর দাস তখন পাড়ার উঠতি মস্তান। তাদের ন’জনের দল। যেকোনো সিনেমা এলেই তার ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো দেখা বাঁধা। ২ টাকা ৪৫-এর টিকিট, ন’জনের জন্য ন’টা। কাউন্টারে আগেভাগে গিয়ে বলে আসা হত।

এসব আলোচনা হলে বাবুদার যোগ দেওয়া মাস্ট। ধ্রুপদী সঙ্গীত, স্বর্ণযুগের গানের মনোযোগী শ্রোতা সে। সঙ্গে পুরনো বাংলা ছবিও দেখেছে মন দিয়ে। নানা কথার মাঝে মামা বলে ওঠে – “একবার তারামণ্ডলের ওখানে ট্যাক্সি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি, কিছু মিডিয়া থেকে এসেছে মাইক নিয়ে। অমিতাভের নতুন একটা বই বেরোবে, লোকজনের থেকে মতামত নিচ্ছে, হিট হবে না ফ্লপ।”

আমি জিজ্ঞাসা করলাম – “তুমি কী বললে?”

মামা বলে – “হিট। হিট। আমরা সব অমিতাভের ফ্যান। হিট ছাড়া কিছু ভাবতেও পারি না। আমি সেই মিডিয়ার লোকদের বলেছিলাম যে, দাদা, আমাদের পাড়ায় আমরা সব অমিতাভের ফ্যান। কিছু আছে, তারা মিঠুনের ফ্যান। আমরা ওদের প্যাঁক দিই – “মিঠুন মানে বস্তা বস্তা, অমিতাভ মানে আখরি রাস্তা।” এই শুনে সেই লোকটা খুব হেসেছিল।”

তারপর কিছুক্ষণ থেমে সে যোগ করে – “আহা! গুরুর কীসব বই বেরিয়েছে। জঞ্জির, ডন, আখরি রাস্তা, কসমে ভাদে। ‘কসমে ভাদে’-তে তো একবার প্রফেসর, আরেকবার গুণ্ডা, ডবল রোল। ও জিনিস এখনকার কেউ করতে পারবে!”

নিজের প্রিয় নায়কের কথা বলতে বলতে হরেমামার হঠাৎ মনে পড়ে যায়, সে-ও কখনও অভিনয় করেছিল। আমাকে উদ্দেশ করে বলল – “‘City of Joy’ সিনেমাটায় অভিনয় করেছিলাম, জানো।”

বাবুদা ক্যারাম বোর্ডের পাশে দাঁড়িয়েছিল। জিজ্ঞাসা করল – “কী বই?”

হরেমামা তার দিকে তাকিয়ে হলে – “City of Joy.”

বাবুদা সম্ভবত নামটা আগে শোনেনি। জিজ্ঞাসা করে – “বাংলা বই?”

আমি উত্তর দিই – “না না। ইংরাজি। পরিচালকের নাম ছিল রোলান্ড জফি।”

আমার কথার সঙ্গে হরেমামা এক লাইন যোগ করে দেয় – “শাবানা আজমি রিকশা করে যাচ্ছে, সেই রিকশাটা টানছে ওম পুরি।”

বাবুদা বলে – “ও, তাহলে দেখেছি।”

মামা এবার খেঁকিয়ে ওঠে – “ধুর শালা। দেখবি কীকরে! সে বই তো ব্যান করে দিয়েছিল।”

বাবুদা নিষ্প্রভ হয়। অন্য কোনও ছবির সঙ্গে গুলিয়েছিল নিশ্চয়। তবে, এই ব্যান করে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সে কৌতূহলী হয়ে ওঠে। জিজ্ঞাসু চোখ নিয়ে জানতে চায় – “কেন? ব্যান করেছিল কেন?”

মামা ততক্ষণে উঠে চলে গিয়েছিল চত্বরের অন্য দিকটাতে। মুখ ধুচ্ছিল। বোতল থেকে জল নিয়ে কুলকুচি করে নিয়ে বলে – “ওই দেখিয়েছিল যে কলকাতা গরীব, সেজন্যে।”

উত্তরে বাবুদার গলা চড়ে যায় – “তা গরীব দেখিয়েছে তো কী হয়েছে? গরীব মানে খারাপ হচ্ছে, সেটাকে ঠিক করতে হবে, এটাই তো বলতে চেয়েছে। সেই যে সেই বইটা হয়েছিল, ‘শত্রু’, সেখানে দেখাচ্ছে পুলিশ ঘুষ নিচ্ছে, বাজে কাজ করছে, তার মানে কি পুলিশ মানেই খারাপ, সেটা বলছে?”

বাবুদার কথা শেষ হতে বলি – “মানে সেই রঞ্জিত মল্লিক, শকুন্তলা বড়ুয়া, এদের ছবি তো?”

বাবুদা বলে – “হ্যাঁ, রঞ্জিত মল্লিক, শকুন্তলা বড়ুয়া, বিকাশ রায়, মনোজ মিত্র, চিরঞ্জিত, প্রসেনজিতও কিছুটা। অনুপ কুমার ছিল, ওই ঘুষ নেওয়া পুলিশ। রঞ্জিত মল্লিক তাকে বলছে, আপনাদের মতো লোক পুলিশে থাকে বলেই এত বদনাম হয়। সেই বাচ্চাটার বাবাকে পুলিশ মেরে ফেলল।”

‘শত্রু’, সাদাকালো ছবি। উত্তমকুমার চলে গেছেন, ব্যক্তি-কেন্দ্রিকতার মাসুল দিয়ে বিনোদনমূলক বাংলা ছবির বাজার অকালে অনাথ, সেই সময়ের ছবি ‘শত্রু’। সাদাকালো ছবি। অঞ্জন চৌধুরীর পরিচালনা। পরবর্তীকালে অঞ্জন চৌধুরীর যেসব ছবি বাজার কাঁপিয়েছিল, তার তুলনায় এই ছবিটি অনেক বেশি মানুষের মনে রয়ে গিয়েছে, এর পরিচয় আগেও পেয়েছি। পুরনো সামাজিক মূল্যবোধ ভেঙে গিয়ে নতুন এক সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠছে, সেখানে অপরাধ-অন্যায়ের আকছার প্রবেশ। ‘শত্রু’ সেই সমাজকেই দেখিয়েছিল।

হরেমামার মুখ ধোওয়া তখনও শেষ হয়নি। সে বলল – “সেই বাচ্চাটার যেন কী নাম ছিল?”

বাবুদা কিছুক্ষণ মনে করার চেষ্টা করে বলে – “কী বেশ ছিল। হ্যাঁ, মনে পড়েছে, মাস্টার টাপু।”

হরেমামা বোতলটা রেখে বলে – “ধুর। টাপু-ফাপু নয়।”

তার দেওয়া সঠিক তথ্যকে মামা খণ্ডন করে দিল, এটা বাবুদার সহ্য হল না। সে এবার গলা চড়িয়ে বলে উঠল – “টাপু নয় তো কী?”

মামার কিছু একটা মনে পড়ে। সে বেশ সপ্রতিভ হয়ে বলে ওঠে – “ছোট্টু, ছোট্টু।”

বাবুদা উত্তরে বলে – “আরে বাবা সে তো সিনেমায় নাম হয়েছিল। ওর আসল নাম মাস্টার টাপু।”

কিন্তু হরেমামা ‘ছোট্টু’-র মোহ থেকে বেরোতে পারেনি। আর বাবুদাও সমানে বলে চলেছে – “আরে ছোট্টু তো বইতে নাম হয়েছিল।” 

মামা-ভাগ্নের এই ছেলেমানুষি ঝগড়ার মাঝে রসভঙ্গ করলাম আমি। বাবুদাকে বললাম – “রঞ্জিত মল্লিকের নাম শুভঙ্কর হয়েছিল, না?”

বাবুদা বলে – “হ্যাঁ। শুভঙ্কর সান্যাল। কী দারুণ বইটা হয়েছিল!”

হরেমামা ঘরে ঢোকার সিড়িটা দিয়ে উঠতে উঠতে বলে – “তখন কত ভালো ভালো বই হত। শত্রু, উত্তরফাল্গুনী, সন্ন্যাসী রাজা, হীরক রাজার দেশে, অগ্নিপরীক্ষা, সাত পাকে বাঁধা, আলো।”

দোদুদা যোগ করেন – “লাঠি। ভিক্টর ব্যানার্জির।” 

এভাবে কিছুক্ষণ স্মৃতি-রোমন্থন চলে। স্মৃতি ক্রোনোলজি মানে না।

তারপর হরেমামা আবার তার চেয়ারটিতে এসে বসে। শুক্লাদি ডাকায় বাবুদা ফিরে যায় দোকানে। আমি হরেমামাকে জিজ্ঞাসা করি – “‘City of Joy’-তে অভিনয় করাটা ঘটল কীভাবে?”

হরেমামা বলতে শুরু করে, তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে – “তখন আমি ট্যাক্সি চালাই, বুঝলে। আলুর ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছি। দেখলাম, এই করে চালাতে পারব না। আমার এক বন্ধু বলল, বাইরে গাড়ি নিয়ে চল। তখন ভোর পাঁচটার মধ্যে আমার সিনান সারা। আলো বেরোবার আগেই ট্যাক্সি নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম। এসপ্ল্যানেডের গ্র্যান্ড হোটেলের কাছে দাঁড়িয়ে আছি, ওই সিনেমারই একজন এসে বলল, অভিনয় করবে? সঙ্গে ভালো টাকা দেবে বলেছে। আমি তখন রাজি হয়ে গেলাম।”

জিজ্ঞাসা করি – “সেটা কত সাল?”

হরেমামা বলে – “আমার বিয়ের আগে। এখান থেকে এখন গ্র্যান্ড হোটেল যেতে দেড়শো-দুশো টাকা খরচা পড়বে, তখন আমরা নিতাম ওই চল্লিশ টাকা। না, চল্লিশও নয়, পঁয়ত্রিশ। হ্যাঁ, পঁয়ত্রিশ টাকা নিতাম।”

আমি খানিক হিসাব করে নিয়ে বলি – “তার মানে এইট্টি নাইনের আগে।”

হরেমামা বলে – “হ্যাঁ। তাইই হবে।”

আমি সন্দিগ্ধ গলায় প্রশ্ন করি – “তুমি তো বললে, ঊষার কারখানা এইট্টি নাইনে বন্ধ হয়ে গেল। তারপর থেকে ট্যাক্সি চালাচ্ছ। তাহলে এটা তোমার বিয়ের আগে কীকরে হয়?”

মামা গরমিলটা মেনে নিয়ে বলে – “হ্যাঁ, তাহলে বিয়ের পরেই হবে।”

তারপর ফিরে যায় কাহিনিতে – “শুটিং হয়েছিল সদর স্ট্রিটে। ওই মিউজিয়ামের পাশের রাস্তাটা। আরও অনেক জায়গায় শুটিং হয়েছিল। হাওড়া ব্রিজে হয়েছিল। কিন্তু আমি ওই সদর স্ট্রিটের দিনেই ছিলাম।” 

জিজ্ঞাসা করি – “কী রোল ছিল তোমার?”

মামা বলে – “ওই ট্যাক্সি ড্রাইভারের রোলই দিয়েছিল। শুটিং শুরুর সময়ে বলত – অ্যা-ক-শা-ন। আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছিল সবটা। আমি সেই গাড়ি নিয়ে এগোচ্ছি। কিছুটা দূর এগিয়েছি, আবার কী একটা বলল, তার মানে এই দৃশ্য এবার শেষ। আবার অন্য জায়গায় ক্যামেরা বসাবে, শুটিং শুরু হবে। কী যেন বলত ওটাকে!”

বাবুদা ততক্ষণে রাস্তার ওপারে তার দোকানে চলে গিয়েছিল। সেখান থেকেই বলে ওঠে – “কাট! কাট!”

হরেমামার মনে পড়ে – “হ্যাঁ, হ্যাঁ, হ্যাঁ। ‘কাট’ বলত।”

বাবুদা এগিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করে – “কোন কোন আর্টিস্ট ছিল শুটিঙে?”

মামা তার পূর্ব কথারই প্রতিধ্বনি করে – “ওই যে বললাম, শাবানা আজমি একটা রিকশা করে যাচ্ছে, আর রিকশাটা টানছে ওম পুরি। আমাদের এখানকার ওই দুজনই ছিল। অভিনয়টা ভালো করত তো। আর তো সব সাহেব। ওরাই তো অর্গানাইজার।”

আমি জিজ্ঞাসা করি – “কদিন শুটিং করেছিলে?”

-ওই একদিনই। সকাল আটটা-ন’টায় শুরু হল। বিকেল চারটে-পাঁচটা অবধি চলত। ওদের তো সূর্য উঠবে, কাজ শুরু, সূর্য ডুববে, শুটিং বন্ধ। পাঁচশো টাকা দিয়েছিল। আমরা ঊষার কারখানায় ডেলি পঁচিশ টাকায় কাজ করতাম। কী খাইয়েছিল, জানো?

-ব্রেকফাস্ট দিয়েছিল দুটো কলা, একটা ডিম, পাউরুটি, আর বোধহয় কেক-টেক ছিল। আর লাঞ্চে এনেছিল গ্র্যান্ড হোটেলের বিরিয়ানি। আমরা তখন বিরিয়ানি অত চোখেই দেখতাম না। আর একেবারে গ্র্যান্ড হোটেল থেকে বিরিয়ানি এসেছে। 

এই বলে সে মুখ টিপে হাসে। তারপর বলে – “আর সঙ্গে কফি। এত বড়ো একটা ক্যানে কফি রাখা থাকত। যত পারো খাও।”

পাশে বসে এতক্ষণ সবটাই শুনছিলেন দোদুদা। কম কথা বলেন এমনিতে, আর যেটুকু বলেন, তাও অত্যন্ত মৃদু স্বরে। তিনি বলে উঠলেন – “তাহলে পাঁচশো টাকা ডেলি আর খাওয়াদাওয়া ফ্রি?”

মামা বলে – “হ্যাঁ। পাঁচশো টাকার একটা চেক দিয়েছিল।”

‘City of Joy’ ছবিটা দেখব বলে ভেবেছি অনেকবার। এই ছবিতে আমার অত্যন্ত প্রিয় এক অভিনেতা মনু মুখোপাধ্যায় অভিনয় করেছিলেন, এ খবর জানি। চরিত্রটি ছিল পানশালার ওয়েটার। দোদুদাকে সেকথা বলতে তিনি বলেন – “হ্যাঁ, হ্যাঁ, মনু মুখার্জি। ভালো অভিনয় করতেন।”

‘City of Joy’ ছবিটা দেখতে হবে। শাবানা আজমি, ওম পুরী, মনু মুখোপাধ্যায়, চিত্রা সেন, অঞ্জন দত্তদের মতো শিল্পীদের ভিড়ে খুঁজে নিতে হবে এক ট্যাক্সিচালককে।

Powered by Froala Editor