তিনি বৃদ্ধ হলেন। বয়সের ভারে চোখে আবছা দেখেন। শরীরও শক্ত নয় ততটা। কিন্তু বৃদ্ধ হলেও তিনি 'সম্রাট'। সাঁতার আর সাইকেল একবার যে শেখে, আজন্ম ভোলে না সে। আমি বরং আরো একটা বিষয়ও যুক্ত করব এই না ভোলার তালিকায়। শিক্ষকতা। শিক্ষক বৃদ্ধ হলেও তিনি শিক্ষক। বয়সের ভার তাঁর শরীরকে পরাস্ত করলেও, মনকে নয়। এক শিক্ষক, এক কোচের কথা বলব। তিনি মধ্যমগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধানশিক্ষক— কৃষ্ণপদ গাঙ্গুলি। বছর আট আগে ফুটবল সংখ্যার কাজে তাঁর সান্নিধ্য পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। এহেন কৃষ্ণপদ গাঙ্গুলির সান্নিধ্যেই একসময় 'বাঘ' হয়ে উঠেছিল মধ্যমগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়। বাংলার ফুটবল নিয়ে যে কাজ করছিলাম একসময়, তা গত পর্বেই বলেছি। বাংলার ফুটবলে মধ্যমগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের গর্বের ইতিহাসের কথা প্রথম জেনেছিলাম শুভ্রাংশুদার কাছেই। সেই অছিলায় মানুষটার কাছে যে যেতেই হবে, এমনটাই স্থির হল। আমি সানিকে (অনিন্দ্য বর্মন) সঙ্গে নিয়ে ছুটলাম মধ্যমগ্রাম। তার আগে অবশ্য ওই স্কুলের এক পরিচত প্রাক্তন ছাত্র মারফত কৃষ্ণপদবাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার সৌভাগ্য হয়েছিল। আমাদের তাঁর কাছে যাওয়ার সিলমোহর তিনি ফোনেই দিয়েছিলেন। এই মধ্যমগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় অবস্থিত সোদপুর রোডের বসুনগরে। স্কুল থেকে বেশি দূর নয় স্যারের বাড়ি। মূল রাস্তা পেরিয়ে বাঁ-দিকে বাঁক নিতেই বসুনগর খেলার মাঠ। এই মাঠেরও সুখ্যাতি কৃষ্ণপদ (কেষ্ট) গাঙ্গুলির জন্য। ছেলেদের এই মাঠেই জমিয়ে কোচিং দিতেন। মাঠের গোটা কয়েক ছবি তুলে স্থানীয় একজনকে জিজ্ঞেস করতেই স্যারের বাড়ি দেখিয়ে দিলেন। কড়া নাড়তেই ভেতর থেকে নারীকণ্ঠ। এক বৃদ্ধা দরজা খুলে দিতে দিতেই শোনা গেল, ‘‘মিনতি ওরা কি এসে গেছে?’’ আমরা বিনত কদমে আগুয়ান। বিছানায় বসে তখন শিক্ষক-কোচ কৃষ্ণপদ গাঙ্গুলি।
তাঁকে কী জিজ্ঞেস করব যখন ভেবে ইতস্তত, তিনি নিজেই নিস্তব্ধতা সহজ করে দিয়ে বললেন, ‘‘বলো কী জানতে চাও?’’ প্রশ্নটা করেই ফেললাম। ছাত্রদের নিয়ে মাঠে যেতেন প্র্যাক্টিস করাতে। তারপর আপনার বাড়িতে এসে সকলে খাওয়া-দাওয়া করে তারা সেখান থেকে স্কুলে যেত। সেই সময় তো শিক্ষকদের বেতন বেশি ছিল না। কুলাত? প্রশ্ন শুনে অর্থচিন্তার কথা বলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, স্কুলের চাকরির পাশাপাশি ছাত্র পড়াতেন সেই কারণে। বিজ্ঞান বিষয়ে। আর কিছু পাঠ্যপুস্তকও লিখেছিলেন। সেখান থেকে আয় হত নামমাত্র। প্রান্তিক প্রকাশনা থেকে অনেকগুলি বই বেরিয়েছিল তাঁর। গঙ্গোপাধ্যায় (কৃষ্ণপদ)-মুখোপাধ্যায়ের যৌথভাবে অঙ্কের বই বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। এখনও কিন্তু এই বইয়ের চাহিদা আছে। এ ছাড়াও অষ্টম শ্রেণির জন্য 'প্রাকৃতিক বিজ্ঞান পরিচয়' লিখেছিলেন পরেশনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথভাবে। নবম-দশম শ্রেণির জন্যও লিখেছিলেন 'প্রাকৃতিক বিজ্ঞান পরিচয়', জগন্নাথ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। চারটি খণ্ডে ড. মৃদুল সেনের সঙ্গে গণিত ও জ্যামিতির রেফারেন্স বই প্রকাশিত হয়েছিল জনপ্রিয় প্রকাশনা থেকে। এহেন কৃষ্ণপদবাবু মনে করতেন, পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা চালু রাখা দরকার। ‘‘তাই মধ্যমগ্রাম হাইস্কুলের ছাত্রদের ভিতর থেকে আমি সুব্রত কাপে খেলার জন্য খেলোয়াড় বেছে একটা টিম করি। পক্ষান্তরে এ টিম ছোট ছোট বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সাফল্য লাভ করে। আমি সাধারণত এই সময় সকাল ন’টায় মাঠে যেতাম। একঘণ্টা ছাত্রদের প্র্যাক্টিস দেখতাম। প্র্যাক্টিস হত স্কুলের কাছেই বসুনগর মাঠে। এই একঘণ্টার ভিতর ছাত্রদের কী কী ভুলচুক রয়েছে, সেসব শুধরে দেওয়ার চেষ্টা করতাম। ছাত্ররা ক্রমশ নিজেদের ভিতর খেলে বিভিন্ন স্থানীয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে থাকল তারপর থেকে। একইসঙ্গে সুব্রত কাপেও অংশ নিল আমাদের স্কুল। ব্যস, আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সাফল্যের স্বাদ পায় আমাদের স্কুল। এভাবেই ‘অল বেঙ্গল স্কুল টুর্নামেন্ট’-এ অংশ নিয়ে ছাত্ররা কৃতী হয়। সুব্রত কাপের মাধ্যমে আমাদের স্কুল তখন এক পরিচিত নাম। মনে আছে, দমদমের কুমার আশুতোষ স্কুল খুব শক্তিশালী একটা দল ছিল। যদিও এরা পর পর তিনবার হেরে যায়। তারপর সুব্রত কাপে অংশ নেওয়াও ছেড়ে দেয়।’’ তিনি তাঁর স্ত্রী মিনতি গাঙ্গুলিকে ডেকে ধীর গলায় থেমে থেমে বললেন, “স্কুল যাওয়ার আগে ছাত্রদের আমাদের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারটা বলো ওনাদের।” মিনতি গাঙ্গুলি একনিশ্বাসে বলেছিলেন, “আর বোলো না! সে ছিল দেখবার মতো ঘটনা। রুটি বেলতে বেলতে আর তরকারি, বেগুন ভাজতে ভাজতে হাত খসে পড়াটাই বাকি ছিল। তবু দমে যাওয়া চলবে না। না হলে ছাত্ররা খাবে কী! ছাত্রদের সঙ্গে তাদের মাস্টারমশাইও খেতে বসতেন। তারপর পেটপুজো করে ওরা স্কুলে যেত। আর প্র্যাক্টিসে কারোর যদি চোট-আঘাত লাগত, তাদের শুশ্রূষার জন্যও আমাদের বাড়ি থেকে ওষুধ দেওয়া হত।”
আরও পড়ুন
ময়দানের তৃতীয় নয়ন
মুখে হাসি সকলেরই। আর ততক্ষণে অবশ্য কৃষ্ণপদবাবুকে বাইরের ঘর থেকে ধরে ধরে ভিতরের ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁকে সময়ের ওষুধ দেওয়ার সঙ্গে সিলিং ফ্যানটাও আস্তে করে চালিয়ে দেওয়া হল। সদ্য শীত গেছে। ফেব্রুয়ারির শেষ। দোরে বসন্ত। কৃষ্ণপদবাবু তাঁর জীবনের বসন্তের কথা বলতে বলতে বারবারই থেমে যাচ্ছিলেন। আসলে ছাত্রতুল্য ভাবছিলেন আমাদের। ছাত্রদের মুখে বলে নোট দিতেন যেমনভাবে, ঠিক তেমন ঢংয়েই তাঁর বোলচাল। মিনতি জেঠিমা ব্যাপারটা বুঝতে পেরে তাঁকে বললেন, “তুমি নিজের মতো বলে চলো। ওরা লিখছে না। তোমার কথা রেকর্ড হচ্ছে। তাই অত থামতে হবে না।” এরই মধ্যে কোন বছরগুলোয় মধ্যমগ্রাম হাইস্কুল সুব্রত কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, মনে করতে পারলেন না। আমরাও ওনাকে চাপ নিতে বারণ করলাম, কারণ এই তথ্য আমরাও পেয়ে যাব। জিজ্ঞেস করলাম দেবাশিস পালচৌধুরী ও প্রতাপ সেনাপতির কথা। শুনে খুব খুশি হলেন। “খুবই প্রিয় ছিল ওরা। দেবাশিস তো ব্যাকে খেলত। আউটস্ট্যান্ডিং প্লেয়ার। ফরোয়ার্ডে উঠে গোলও করে আসত। প্রতাপও দারুণ। ওরা ময়দানে খুব নাম করেছে।” কথা শেষ হতে না হতেই শোনালেন ময়দানের 'দ্বিতীয় স্যার' অচ্যুত ব্যানার্জির গল্প। স্কুল ছুটির দিনগুলোতে কৃষ্ণপদবাবু বেরিয়ে পড়তেন। কখনো মছলন্দপুর, কখনো বারাসত, কখনো বা বসিরহাট... কলকাতার গড়ের মাঠেও আসতেন ভালো তরুণ ফুটবলারের খোঁজে। কারোর পায়ে ভালো কাজ দেখলে কিংবা তিন কাঠির নিচে কাউকে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেই তাঁকে মধ্যমগ্রাম হাইস্কুলে এনে ভর্তি করাতেন। এরজন্য অবশ্য ওই ছাত্রের স্কুলের টিসি-ও চেয়ে নিতেন। এমনই একদিন গড়ের মাঠ দিয়ে হাঁটার সময় দেখা অচ্যুতবাবুর সঙ্গে। দিলখোলা মাটির মানুষ অচ্যুতবাবু একপ্রকার চিৎকার করে ডেকে নিলেন কৃষ্ণপদ গাঙ্গুলিকে। শিক্ষানবীশ ফুটবলারদের পরিচয় করিয়ে দিলেন মধ্যমগ্রামকে মধ্যগগনে পৌঁছে দেওয়া কৃষ্ণপদবাবুর সঙ্গে। এক গুরু আরো এক গুরুকে খুঁজে নেওয়ার এমন গল্পের সাক্ষী কিন্তু ময়দানই।
আরও পড়ুন
জাতীয়তাবাদের ছুঁতোয় লাল-হলুদকে সমর্থন
আরও পড়ুন
মারাদোনা ও মোহনবাগান
যদি আমরা মুরগির বাচ্চা বের হওয়ার আগে গণনা শুরু করি, তাহলে তারা ঝুড়িতে কোনো ডিম পাড়বে না। একথা আমি নয়, বলেছেন ব্রিটিশ কিংবদন্তি ফুটবলার তথা কোচ স্যার ববি রবসন। কৃষ্ণপদ গাঙ্গুলির লক্ষ্যও ছিল তেমন। বাচ্চাদের খুঁজে এনে পাঠ দিতেন ফুটবলের। পাঠ দিতে দিতেই ঝুড়ি ভরে উঠত ফুটবলারে। মাঠে তা আবাদ করলে ফলতো সোনা। এভাবেই একদিন তাঁর মধ্যমগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় সুব্রত কাপের ফাইনালে উঠল প্রথমবার। ১৯৭৮-এ। যদিও মেঘালয়ের সেন্ট টমাস হাইস্কুলের কাছে ০-১ গোলে হারতে হয়েছিল তাদের। দু'টো বছর সাফল্য আসেনি। তবে ১৯৮১, ’৮২, ’৮৩-তে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় হ্যাটট্রিক করল কেষ্ট গাঙ্গুলির স্কুল। ’৮৫ এবং ’৮৮-তেও শিরোপা জয়। এর পরের বছর অবশ্য ১৯৮৯-তে বেনারসের আদর্শ বিদ্যালয়ের কাছে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল মধ্যমগ্রামকে। এরপর ছ-ছ'টা বছরের ট্রফি খরা কাটিয়ে ১৯৯৫ এবং ’৯৬-তে পরপর জয়। শেষবার তো ইসরাইলের ক্লাবকে হারিয়ে সেরা হয় মধ্যমগ্রাম। বলা হয়নি যে, ভারতীয় এয়ার মার্শাল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নামে এই প্রতিযোগিতা। তিনি ছিলেন একজন ফুটবল অনুরাগী। সুব্রত মুখোপাধ্যায় মনে করতেন, ফুটবল শক্তিধর দেশ হিসাবে ভারতকে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে তৃণমূল স্তরের ফুটবলের উন্নতি অপরিহার্য। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই ১৯৬০-এ জাপানে তাঁর অকালমৃত্যুর পর সুব্রত মুখার্জি এডুকেশন সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হলে এই টুর্নামেন্ট চালু করার ধারণাটি প্রথম বাস্তবায়িত হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু প্রয়াত এয়ার মার্শালের সম্মানে টুর্নামেন্টের নামকরণের বিষয়ে অনড় ছিলেন। এভাবেই শুরু হয়েছিল সুব্রত কাপ। প্রথমদিকে এই প্রতিযোগিতায় টুর্নামেন্টটি দিল্লির স্কুল দলগুলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে তা গোটা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক আন্তঃস্কুল টুর্নামেন্টগুলি দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হতে শুরু করল। উমিদ কুমার দে-র একটি নিবন্ধে (হাও সুব্রত কাপ ইজ কন্ট্রিবিউটিং টু দ্য ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ফুটবল টিম) পড়েছি— প্রতিযোগিতার প্রথম ধাপগুলি মহকুমা, জেলা এবং বিভাগ স্তরে শুরু হয়। অন্যদিকে, আন্তঃস্কুল ফাইনালগুলি রাজ্যস্তরে হত। সুব্রত কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হত আন্তঃস্কুল রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে। শুরুতে, মাত্র ৫০টি স্কুল দল সাব-জুনিয়র স্তরে অংশগ্রহণ করলেও এখন এই টুর্নামেন্ট হয় ৩২ হাজার স্কুলকে নিয়ে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, এই প্রতিযোগিতা কিন্তু কেবলমাত্র ভারতের সীমানায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। এতে ব্রাজিল, সুইডেন, মালয়েশিয়া, ইসরাইল, শ্রীলঙ্কা, ইউক্রেন, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ-সহ আরও অনেক দেশের স্কুল দলও অংশ নিয়েছে। তাই মধ্যমগ্রাম হাইস্কুল কেবল ভারত নয়, বিশ্বের দরবারেও উজ্জ্বল। আর তার পথপ্রদর্শক কৃষ্ণপদ গাঙ্গুলির এই সফল যজ্ঞে পাশে পেয়েছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরহরি দাঁ, মধ্যমগ্রাম হাইস্কুলের শিক্ষক সুশান্ত ভট্টাচার্য, কালীঘাটের বিখ্যাত প্লেয়ার খোকন ঘোষ-সহ অনেককে। কিন্তু যা পাননি, সেটা প্রচার। ক্রিকেটের প্রবল আলোয় ধাঁধিয়ে গেছে ফুটবলের এমন কৌলিন্যও। একটা সময় যে বসুনগর মাঠ গমগম করত উঠতি ফুটবলারদের ভিড়ে, যে মাঠে একসময় রোলার চলত, সে-মাঠের ঘাস আজ অযত্নে বাড়ছে। তাই-ই হয়তো সেদিন কৃষ্ণপদ গাঙ্গুলি সেদিন সবার শেষে বলেছিলেন, “বর্তমানে সুব্রত কাপ খেলার মতো কোনো টিম দেখা যাচ্ছে না। প্রধান কারণ হচ্ছে, কোনো টিমই যথার্থভাবে ভালো ভালো প্লেয়ার সংগ্রহ করে টিম করছে না। অর্থাৎ সুব্রত কাপে যেসব প্লেয়ার খেলত, তেমনভাবে এখন কোনো প্লেয়ারকে তুলে আনা ও তাদের ঠিকঠাকভাবে প্র্যাকটিস করানোর অভাবও দেখা দিয়েছে। আমার মনে হয়, যদি সুব্রত কাপের জন্য টিমকে সঠিকভাবে প্র্যাকটিস করানো হয়, তবে গৌরব ফিরিয়ে আনা সম্ভব।” ২০১৭-র ২৬ জুলাই না ফেরার দেশে চলে গেছেন চির-অমর কৃষ্ণপদ গাঙ্গুলি। তাঁর কণ্ঠ এখনো যখন শুনি, মনে হয় ইতিহাসের কণ্ঠস্বর শুনছি। এরই মাঝে অবশ্য ফেসবুকের কল্যাণে চোখে পড়েছে ১৩ মে-তে করা মধ্যমগ্রাম হাইস্কুলের বর্তমান প্রধানশিক্ষক আশুতোষ ঘোষের একখানি পোস্ট, “মধ্যমগ্রামে আবার সুব্রত কাপ ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকারের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতেই হবে, সবাই এগিয়ে আসুন, আবার এক স্বপ্নের পথ চলা শুরু করি...”
ছবি: লেখক
Powered by Froala Editor