এলেবেলে নন, তিনি ‘A’লেভেলের

ধূলায় ধূলায় ঘাসে ঘাসে - ২২
আগের পর্বে

চার্চ স্কুল থেকে নগেন্দ্র কুণ্ডু বিদ্যাপীঠে চলে আসার পর প্রথম পাশে দাঁড়িয়েছিল সমীর ও দেবাশিস নামের দুই বন্ধু। দেবাশিস ব্যানার্জি ও সেখ সমীরুদ্দিন। স্কুলের সরস্বতী পুজোয় ঠাকুর আনা থেকে লুচি রান্না, সবেতেই সামিল থাকত সমীর। তা নিয়ে কেউ বিরোধও তোলেনি কোনোদিন। সমীরের পারিবারিক পেশা দরজিগিরি। তার ঠাকুর্দা ছিলেন উত্তরপাড়ার রাজবাড়ির দরজি। এমনকি তাঁর ডাক আসত ঠাকুরবাড়ি থেকেও। পরে পেশা হিসাবে সেটাকেই বেছে নেয় সমির। তবে বিয়ে করেনি। কারণ হিসাবে জানিয়েছিল মুসলমান মেয়েরা পড়াশোনা করে না বেশিদূর, হিন্দু মেয়েরা বিয়ে করবে না কাজেই সন্তানকে মানুষ করা অসম্ভব হয়ে উঠবে। পাঁচ দশকের দীর্ঘ সেই বন্ধুত্বের স্মৃতিচারণার পর আজ নতুন পর্ব...

না আর কারোর কথা বলতে পারবো না, তাছাড়া বলবার অধিকারও হয়তো নেই আমার, তবে শব্দশিল্পী হিসাবে আমি কিন্তু বহু বছর আগেই চিত্রশিল্পীদের সুপিরিওরিটি মেনে নিয়েছি। চিত্রশিল্পী হিসাবে আমি এখানে মূলত অলংকরক ও প্রচ্ছদশিল্পীদের কথাই বলতে চাইছি। আমাদের সমসাময়িক বা সামান্য বয়ঃজ্যেষ্ঠ অনুপ রায়, সুব্রত চৌধুরী, দেবাশীষ দেব ও দেবব্রত ঘোষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের।

বহরমপুর শহরে এক জমায়েতে খাবার টেবিলে আগে পৌঁছে সুব্রতদার ডাক ‘গৈরিক এদিকে চলে এসো, তোমার জায়গা রেখেছি।’ অথবা অনুপদা, যিনি শুধু আমার অনুরোধটুকু রাখতে ‘বর্ণমালার হাসি’র পঁচিশটি অলংকরণ করে দিয়েছেন বাম হাতে (কারণ সেরিব্রাল প্যারালিসিসের পর তখনও তাঁর ডান হাতটি সম্পূর্ণ চালু হয়নি)। কিম্বা দেবাশীষদা যাঁর সঙ্গে ‘ব্যঙ্গমা’ ও ‘কিঞ্জল’-এর সভায় বারংবার দেখা হয়েছে এবং এলেখার জন্যও যিনি এক কথায় তাঁর স্কেচ পাঠিয়ে দিয়েছেন। ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা এসব কি কেবল বলে লিখে দেখানো যায়? অনেক সময়েই তা হৃদয়ের গভীরে--সংগোপন!

ওঁদের সুপিরিওরিটি মেনে নেওয়ার ফলে নিজ মনে কিছু ইনফিওরিটি কমপ্লেক্স তৈরি হয় বলেও মনে করি না। প্রত্যেকটি মানুষের মৌলিকত্ব ও তাঁর মৌলিক গুণাবলীতে বিশ্বাস রাখলে এমনটি হবারও কথা নয়। তবে দুঃখ তো একটু আছেই, আঁকতে না পারার জন্য। কারণ যাঁরা তুলিতে আঁকেন তাঁদের রিচ এবং পেনিট্রেশন তো সত্যিই আমার চেয়ে অনেক বেশি!

আর দেবব্রত ঘোষ, মানে দেবুদার কথা লিখতে গিয়ে নিজেকে সাবধান থাকতে হচ্ছে যাতে সে লেখা পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে যায়।

আরও পড়ুন
মেলাবেন, তিনি মেলাবেন

দেবব্রত ঘোষের অলংকরণের উপর একটা ভালোবাসা এবং মুগ্ধতা ছিল অনেক আগে থেকেই। তবে ওঁর সঙ্গে আলাপ হয় আজ থেকে ২৬ বছর আগে ‘আজকাল’-এ ওঁর নিজের বসার কামরাটিতেই। সরাসরি নিজে গিয়েই আলাপ করেছিলাম। গিয়েছিলাম আমার প্রথম ছড়ার বই ‘তিতলির ছড়া’-র প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করে দেবার অনুরোধ নিয়ে। দেবুদা এক কথাতেই রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। সম্পর্কের সেই শুরু।

আরও পড়ুন
রক্ত যখন নীল

তারপর তো সেই ঘরটিকে কলেজ স্ট্রিট ফেরতা কিন্নরদা ও আমি সান্ধ্যকালীন আড্ডাস্থলই বানিয়ে ফেলেছিলাম প্রায়। সে জমায়েতে কাজের ফাঁকে এসে ঢুঁ মারতেন মৃদুলদা (কবি মৃদুল দাশগুপ্ত), কবি বন্ধু অলকপ্রসাদ আর আমাদের অলকদাও (অলক চট্টোপাধ্যায়)। এ আড্ডা কখনও কখনও আয়তনে এবং সময়ে খর্ব হয়ে স্থানান্তরিত হত সহ-সম্পাদক শৌণক লাহিড়ির (শৌণকদা) টেবিলেও। গুণীজন সমারোহে বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রগুলির মধ্যে ‘আজকাল’-এর টিম তখন অন্যতম শ্রেষ্ঠ।

সেখানে মাঝেমধ্যে হাজির হয়েছেন ডঃ ভগীরথ মিশ্র (আমাদের ভগীরথদা) তাঁর ‘সাইকেল মধুসূদন দাস’-এর সরস গল্পসহ। হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেছে তাঁর পরিবেশনে। তবে সে গল্প অন্যদিন। আজ দেবুদা। তা এভাবেই অফিস হয়ে আমাদের বন্ধুত্ব খুব দ্রুতই পারিবারিক মিত্রতায় পৌঁছে যায়। যোগাযোগ ও যাতায়াত বাড়ে। ওঁর বাড়ি গেলে দেখতে পাই দেবুদার ড্রইংবোর্ডে কখনো শঙ্খবাবুর ‘প্রসঙ্গ জীবনানন্দ’ আবার কখনো কিন্নর রায়ের ‘সেই ম্যাকাও’। আমি আবার দেবব্রত ঘোষের ইলাসট্রেশানের প্রেমে পড়ি। আর নানান আলোচনায় দেবুদারও কেমন ধারণা হয় যে আমি ছবি বুঝি – খুব না হলেও কিছুটা নিশ্চিত। সে যে একেবারেই ভুল ধারণা তা ওঁকে বোঝাতে পারিনি। তবে আমাদের তরঙ্গদৈর্ঘ্য কোথাও গিয়ে বেশ মিলে যাচ্ছিল। আমার চাওয়াগুলো খুব সহজেই বোঝাতে পারছি তখন দেবুদাকে এবং উনিও আমাকে।

আরও পড়ুন
অম্বুদা— যিনি একাই তিনশো

একবার একটি ছড়ার বইয়ের সমালোচনা করতে গিয়ে দেবুদার অলংকরণ ও প্রচ্ছদ নিয়ে লিখেছিলাম ‘যিনি ভোরের কুয়াশায় আর রাতের তারায় তুলি ডোবান, তিনি তো এমনই আঁকবেন।’

আরও পড়ুন
আমাদের কাকাবাবু

এখনও কি অনায়াস দক্ষতায় তিনি কখনো তুলছেন বাস্তবতার পাঁচিল আবার কখনো মেলছেন স্বপ্নের ডানা।

আজও প্রত্যেকটি নতুন প্রচ্ছদে এবং অন্যান্য অলংকরণে তিনি অত্যন্ত খুঁতখুঁতে ও যত্নবান – একই সঙ্গে।

একথা প্রমাণ করতে একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাই এখানে উল্লেখ করব।

‘ভারতীয় টিয়া ও তার জ্ঞাতিরা’-র কভার আঁকছেন দেবুদা। প্রচ্ছদে ডারবিয়ান প্যারাকিট নামক এক অতি দুর্লভ প্রজাতির একজোড়া টিয়া পাখির ছবি চেয়েছিলাম আমি। আঁকা শেষ হলে আমাকে ফোন করে ডাকেন দেবুদা। বলেন, ‘গৈরিক একবার এসে দেখে যান কভারটা। তারপর ফাইনাল করব।’

আমি বলি ‘আপনি করেছেন কাজটা, আর আমার দেখার কি আছে? ফাইনাল করে দিন।’ দেবুদা রাজি হন না। বলেন ‘হাজার হোক বিজ্ঞানের বই তো, সঠিক হওয়াটা জরুরী। আপনি একবার এসে দেখে যান।’

বাধ্য হই যেতে। দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই, প্রচ্ছদে। সে ছবি এত জ্যান্ত যে মনে হচ্ছে ছুঁতে গেলে ঠুকরে দেবে।

সে কথাই বলি দেবুদাকে। উনি বলেন, ‘আবার একবার মন দিয়ে দেখুন। সব ঠিক আছে তো?’

দ্বিতীয়বার মন দিয়ে দেখতে গিয়ে চোখে পড়ে ডালের উপর পাখির আঙুলগুলি সামনে তিনটি এবং পিছনে একটি আঁকা হয়েছে। যা কিনা পৃথিবীর সব পাখির ক্ষেত্রে ঠিক। কেবল ৩৫০ প্রজাতির টিয়ার ক্ষেত্রে ঠিক নয়। তাদের পায়ের সামনে ২টি এবং পিছনে ২টি আঙুল হয় ডাল শক্ত করে ধরার জন্য। একে বলা হয় জ্যাগোড্যাক্টাইল ফুট। পুরোটাই বলি ওঁকে। দেবুদা বলেন ‘দেখেছেন! এইজন্যই বারবার আপনাকে বলছিলাম ভালো করে দেখে নিতে! এ ব্যাপারটা তো আমার জানার কথা নয়! রেখে যান। এঁকে রাখব, পরের সপ্তাহে নিয়ে যাবেন।’ তাঁর আত্মবিশ্বাস কখনোই আত্মম্ভরিতায় পরিণত হয়নি। আর এই যে নিজের কাজে আত্মতুষ্ট না হয়ে পড়া— এই ব্যাপারটিই একজন শিল্পীকে তাঁর নিজস্ব উচ্চতা অর্জনে সাফল্য এনে দেয়।

তাঁর অপূর্ব হস্তলিপির উদযাপন হয়েছে তাঁরই কলেজের সিনিয়ার, বিখ্যাত চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর বাঁধন দাসের ব্যবস্থাপনায় এবং তৎকালীন রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ২১শে ফেবরুয়ারি ২০১৫-র মাতৃভাষা দিবসে কার্জনপার্কের ভাষাউদ্যানে প্রায় বিশ মিটার দীর্ঘ ও প্রায় এক মিটার উঁচু শ্বেত পাথরের বেদিতে দেবব্রত ঘোষের হস্তলিপিতে (অনুকরণে) ‘মোদের গরব মোদের আশা, আমরি বাংলা ভাষা’ লেখা দিয়ে।

অসম্ভব রসবোধও মানুষটার। গম্ভীরমুখে বলে দেন ‘আমাদের বাড়িতে মুড়িঘন্ট হয় পাঁঠার মুড়ো দিয়ে। এটাই আমাদের স্ট্যান্ডার্ড।’

আমাদের ছেলেমেয়েরা তখন বেশ ছোটো। আমার মেয়ে তিতলিকে দেবুদা বুঝিয়ে যাচ্ছেন, ‘বুঝলি, তিতলি, আমি তো ক্লাসে প্রোমোশান পেতাম না! তখন আমাদের স্কুলের ক্লার্ককে বিড়ি খাওয়াতাম আর ও আমার নাম পরের ক্লাসের খাতায় তুলে দিত।’ আর আমার ভাইঝি তিন্নি প্রাণপণে বলে যেত ‘না গো তিতলিদিদি বাবা মিথ্যে কথা বলছে। বাবা পরীক্ষা দিয়েই পাশ করত।’ সে তখন নেহাৎই শিশু। 

এমন রসিকতা করার অভ্যাস নাকি তাঁর ছোটবেলা থেকেই ছিল। নিজেই একদিন গল্প করেছিলেন ‘বুঝলেন গৈরিক ছেলেবেলায় পাড়ার পুজোমণ্ডপে যারা গ্রাম থেকে আসত আগমনী গান করতে, খুব বোর করত। ঐ একই রকম গান তাদের ‘এবার আমার উমা এলে, যেতে তারে আর দেব না’... ইত্যাদি। একদিন বিরক্ত হয়ে ওদের দলের সর্দারকে বলেছিলাম ‘কি গো তোমাদের কোনো হিট গান নেই! এই যেমন ধরো, ‘মনিকা... ও মাই ডার্লিং...’ বা ‘মনে পড়ে রুবি রায় কবিতায় তোমাকে...’। পরের দিন থেকে ওই লোকটিকে আর গাইতে দেখা যায়নি।

এহেন দেবুদাকেও আকাশ খুব বেকায়দায় ফেলেছিল। ১৯৯৮ অথবা ১৯৯৯ সাল হবে। আকাশ তখন বেশ ছোট। কোরক, কড়ি ও কোমল অথবা পর্বসন্ধি— এরকমই কোনো একটি লিটল ম্যাগাজিনের কিন্নর রায় সম্মাননা সংখ্যায় কিন্নরদার পোট্রেটটি এঁকেছিলেন দেবুদা। সে ছবি মন দিয়ে দেখে আকাশ বলেছিল, ‘এটা কিন্নর জ্যেঠুর ছবি? কই হাঁ করে নেই তো! কথা বলছে না তো!’

এ প্রশ্নের কি উত্তর আকাশকে তার দেবুজ্যেঠু দিয়েছিলেন আমার জানা হয়নি।

আকাশকে বলেছিলেন একটা ছবি এঁকে দিতে। তারপর সেই ছবিতে আকাশকে দিয়ে সইও করিয়ে নিয়েছিলেন। বলেছিলেন ‘বুঝলি আকাশ, সই করিয়ে রাখলাম। কারণ তুই যখন বিখ্যাত হয়ে যাবি, তখন এই ছবিরই কত দাম হয়ে যাবে!’

ছোটদের সঙ্গে অদ্ভুত ভালো কমিউনিকেট করতেন এবং আজও করেন দেবুদা।

যদি খুব ভুল না করি ২০০০ সালের পুজোর ছুটি। আমরা সবাই মিলে গেছি আমাদের দেশের বাড়ি বলরামপুরে। এবার এই ‘সবাই’ হল আমার পরিবার, কিন্নরদার পরিবার, দেবুদার পরিবার, ঋতুদার (সাহিত্যিক ঋতুপর্ণ বিশ্বাস) পরিবার ও আমাদের কবি বন্ধু শমীন্দ্রর শ্যালক পার্থর পরিবার। মোট উনিশ জন। পাকাবাড়ি, ৩০ ইঞ্চির দেওয়াল, পাকা ছাদ, ছাদে এবং উঠোন ও বাগানে সূর্যের উপুড় করা রোদ্দুর। বাড়ির ১৪ কাঠা চৌহদ্দির সবটাই ৬ ফুট পাঁচিলে ঘেরা। ভিতরে বিরাট পাড় বাঁধান ইঁদারা। ঘরের থেকে একটু ছেড়ে পাকা বাথরুম, পায়খানা। সারাদিন সদলে কাছে, দূরে ঘোরা। আর রাতে বড় বড় টানা বিছানায় ছেলেদের, মেয়েদের এবং ছোটদের আলাদা আলাদা ঘুম।

টুলকি (কিন্নরদার মেয়ে) ক্লাস নাইন, তিতলি (আমার মেয়ে) ক্লাস এইট, স্বপ্ন (ঋতুদার ছেলে) ক্লাস সিক্স, দেবুদার মেয়ে তিন্নি ও পার্থর ছেলে পুষন ক্লাস টু। আর আমার পুত্র আকাশ ক্লাস ওয়ান। সেই কনিষ্ঠতম।

সেবার সবাইকে নিয়ে নিমডি আশ্রমে গেছি, গিয়েছি সুবর্ণরেখার উপর চাণ্ডিল ড্যাম দেখতে। অযোধ্যা পাহাড়, টুর্গা ও বাম্‌নি ফলস্। চড়িদায় মুখোশ তৈরির গ্রাম দেখতে। বলরামপুর শহরেও হেঁটে হেঁটে ঘুরেছি সবাই। গিয়েছি কালীমেলায় আর শহরের অন্য প্রান্তে সূখেনদার বাগানে। যে বাগানের বাইরে দাঁড়ালেই দিগন্ত দেখা যায়।

শেষ বিকেলে ঐ মাঠ দিয়ে যখন ছোট ছোট লাল গরুগুলি ক্ষেত থেকে ঘরে ফেরে, তাদের ক্ষুরের ধুলোয় এক অলৌকিক গোধূলি তৈরি হয়। সূখেনদার বাগানের সামনে এমনই এক গোধূলিবেলায় সূর্যাস্তের আকাশ দেখিয়ে দেবুদা বলেছিলেন ‘বুঝলেন গৈরিক, এমন ছবি কোনোদিন আঁকতে পারলাম না।’ এ অতৃপ্তি এক শিল্পীর। এই অনুভূতিই তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়, এগিয়ে নিয়ে যায়, আত্মতুষ্ট হতে দেয় না।

তবুও বলেছিলাম, ‘এ তো অসম তুলনা হয়ে যাচ্ছে দাদা! এত বড় ক্যানভাস আর এত রঙও তো আপনি পাননি!’

রাতের খাওয়ার পর ডাং হাতে রোজই যেতাম সদলবলে রাঙাডিতে হাঁটতে— বনজ্যোৎস্নায়, সবুজ অন্ধকারে।

ছেলেমেয়েগুলো সব বড় হয়ে গেছে, দাঁড়িয়েও গেছে নিজেদের মতো। মেয়েগুলোর বিয়েও হয়ে গেছে। দায়িত্বও কমে আসছে আমাদের।

আজ এই এত বছর পর দেবুদা বারবার অনুরোধ করছেন ‘আবার অরণ্যে’ যাবার। যেতে পারলে নিশ্চিত ভালোই লাগবে আমাদের সবার।

আর একান্তই না পারলে? এমন সমৃদ্ধ স্মৃতি কি ‘মুছে যায়’? কিন্নরদা কী বলেন!

অলংকরণ - শিল্পী দেবাশীষ দেব

Powered by Froala Editor