'কালাপানি' আন্দামান - ৭
আগের পর্বে
আন্দামানে পেনাল সেটলমেন্ট গড়ে ওঠার সময় ‘মহারাজা’ জাহাজে করে আনা হত বন্দিদের। কয়েকদিন ছাড়া ছাড়া দ্বীপে ভিড়ত সেই চালানের জাহাজ। তবে আসার পরেই বন্দিশালায় না রেখে তাদের প্লেগ কোয়ারেন্টাইনে রাখা হত ১৪ দিন। দেখা হত কেউ সত্যিই সংক্রমিত কিনা। তারপর মেডিক্যাল পরীক্ষা করে পাঠানো হত সেলুলার জেলে। সেখানে তাদের জন্য ভাগ করে দেওয়া হত কাজ। প্রতিদিন সকালে ভেড়ার পালের মতোই জোড়ায় জোড়ায় গোনা হত তাদের। তারপর পাঠানো হত কাজে। রাতের শোয়ার আগে আবার চলত এই গোনার পর্ব। বারাটাঙ এবং কোলাটাঙ অঞ্চলের শ্রমিকদের প্রায়ই প্রাণ যেত জারোয়াদের তীরে। তারপর...
১৯০৬। ২৭ নম্বর কানাই ধর লেনে মাত্র ৫০ টাকা পুঁজি নিয়ে বারীন ঘোষ শুরু করলেন যুগান্তর পত্রিকা। একে একে সেখানে জড়ো হতে লাগলেন অনেকে। পত্রিকা দেশাত্মবোধের কথা লেখে, ব্রিটিশদের হাত থেকে মুক্তির কথা লেখে। ক্রমে গ্রাহক সংখ্যা বাড়ে। এক বছরের মধ্যে তা বিশ হাজারে গিয়ে ঠেকে। আর পত্রিকার অফিস বলতে একটা ছেঁড়া মাদুরে বসে কিছু যুবক ভারত উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত। তাঁদের হাতে গোলাগুলি নেই বটে তবে অফুরান ভাবনা-চিন্তা জোগানের শেষ নেই। ইংরেজদের সঙ্গে লড়াই করে তাদের এই দেশ থেকে দূর করা যে এমন কিছু একটা ভয়ানক কাণ্ড নয় সেই বিষয়ে এখানে সকলে একমত। আর দুদিন পরে এই যুগান্তর পত্রিকার অফিসটা যে স্বাধীন ভারতবর্ষের গভর্নমেন্ট হাউসে উঠে যাবে সেই বিষয়েও সবাই সহমত পোষণ করে।
অরবিন্দের ছোটো ভাই, বারীন্দ্রকুমার ঘোষের জন্ম লন্ডনের কাছে ক্রয়ডন-এ ৫ জানুয়ারি, ১৮৮০-তে। বারীন্দ্রের পড়াশুনা অবশ্য দেওঘরে এবং পরে পাটনা কলেজে। অঙ্কের জ্বালায় কলেজ ছেড়ে সারেঙ্গি বাজিয়ে কবিতা লিখে এবং পাটনায় চায়ের দোকান দিয়ে তিনি প্রথম জীবনে অনেক কাণ্ড ঘটিয়েছেন। আবার বরোদাতে তিনি মিলিটারি ট্রেনিংও নিয়েছিলেন। ১৯০২-তে তিনি কলকাতায় আসেন এবং যতীন্দ্রনাথ ব্যানার্জীর (বাঘা যতীন) সহায়তায় বিভিন্ন বিপ্লবীদের একত্রিত করার চেষ্টা করেন। ১৯০৬-এ যুগান্তর পত্রিকা শুরু করে অনুশীলন সমিতির একটি শাখা হিসাবে ‘যুগান্তর’ নামে বিপ্লবী দলও গঠন করেন।
উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাসিতের আত্মকথা থেকে জানা যায় যে সেই সময়ে যুগান্তর পত্রিকার অফিসে ছেঁড়া মাদুরে বসে চোখে শুধু স্বপ্ন কীভাবে ইংরেজদের সঙ্গে লড়ে দেশকে স্বাধীন করা হবে। এখানে যুক্তি কম আবেগ বেশি। এই অফিসে অনেকে নানা জায়গা থেকে এসে থাকতেন, তাদের সবার পরিচয় যে জানা ছিল তা নয়, তবে এঁরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো বিপ্লবী দলের সদস্য। এদিকে পুলিশের নজরে পড়ল পত্রিকার দপ্তর। প্রথমে একটা সরকারি চিঠি এল, তাতে বলা হল যে ‘যুগান্তরে যেরকম লেখা প্রকাশিত হচ্ছে তা রাজদ্রোহের সামিল’। একদিন ৫ জুলাই, ১৯০৭ সত্যি সত্যি পুলিশ ইন্সপেক্টর, পূর্ণ লাহিড়ি বাহিনী নিয়ে এসে হাজির পত্রিকা দপ্তরে। যুগান্তর’এর সম্পাদককে গ্রেপ্তার করার পরোয়ানা তার হাতে ছিল। কিন্তু সম্পাদক কে ? মহা গোল বাঁধল। এ বলে ‘আমি’, ও বলে ‘আমি’। শেষে ভূপেন্দ্রনাথ দত্তের (স্বামী বিবেকানন্দের ছোটো ভাই) একটু মোটাসোটা চেহারা, গালে দাড়ি আছে, এসব দেখে তাঁকেই সম্পাদক হিসাবে সাব্যস্ত করে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। ভূপেন যাতে সব দোষ স্বীকার করে মামলা থেকে নিষ্কৃতি পায় সে চেষ্টা করতে সরকারি তরফে ত্রুটি রাখা হল না কিন্তু ভূপেন রাজি না হওয়াতে ২৫ জুলাই চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন। তাঁর এক বছরের জেল হয়ে গেল। সোনার বাংলা পত্রিকার মালিক, কেশব চন্দ্র সেন’কেও এই সময়ে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ৬ জুলাই রাজদ্রোহী লেখাপত্র প্রকাশের কারণে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এর দু সপ্তাহ পরে যুগান্তর’এর প্রিন্টার বসন্তকুমারেরও জেল হল। ২৫ জুলাই যুগান্তর পত্রিকার প্রেস বাজেয়াপ্ত করা হলেও ৩০ জুলাই সন্ধ্যা প্রেস থেকে পুনরায় পত্রিকা প্রকাশিত হল এবং পাঠকদের কাছে পৌঁছে গেল। ইতিমধ্যে ইংরেজি বন্দে মাতরম পত্রিকায় সরকার বিরোধী নিবন্ধ লেখার জন্য ১৯০৭-এর সেপ্টেম্বরে অরবিন্দ গ্রেপ্তার হয়েছেন। যুগান্তর পত্রিকার একে একে অনেকেরই জেল হল। এরপর বারীন সিদ্ধান্ত নিলেন দেশের স্বাধীনতার পক্ষে যথেষ্ট প্রচার করা হয়েছে, সরকারকে বাক্যবাণে আর বিদ্ধ করে লাভ নেই যা করার তা এবার হাতে কলমে করতে হবে।
মানিকতলায় ৩২ নম্বর মুরারিপুকুরে বারীনদের একটা বাগানবাড়ি ছিল। সিদ্ধান্ত হল ওখানেই এবার থেকে বিপ্লবী দলের আড্ডা হবে। ঠিক হল কিছু বাছাই করা ছেলেকে যুগান্তর পত্রিকার ভার দিয়ে যে সব ছেলেদের সংসারের পিছুটান নেই তাদের নিয়ে যাওয়া হবে ওই বাগানবাড়িতে। বাগানবাড়িতে নতুন সংসার পাতা হল। হাতে একটা পয়সাও নেই। সবাই বাড়ি ছেড়ে এসেছে। আর কিছু না হোক দুবেলা দুমুঠো ভাত তো চাই। দুই-একজন বন্ধুর মাধ্যমে মাসিক কিছু টাকাপয়সার বন্দোবস্ত হল। ঠিক হল বাগানের আম-জাম-কাঁঠাল বিক্রি করে কিছু রোজগার করা যাবে আর বাগানেই কিছু শাক-সবজি ফলানো হবে। আর খাবার বলতে তো শুধু ডাল-ভাত আর তরকারি। এখানে আসার পরেই বারীন হুকুম জারি করে দিল যে এখানে নিজেদেরই রান্না করে খেতে হবে। থালা-ঘটি-বাটির নামগন্ধ খুব একটা ছিল না। বাসনকোসন বলতে প্রত্যেকের এক একটা নারকেলের মালা আর একখানি করে মাটির সানকি। কাপড় নিজেদের হাতেই সাবান দিয়ে কেচে নিতে হত। যারা একটু বেশি বুদ্ধিমান তারা নিজের কাপড় নোংরা হলে পরের কাচা কাপড়েই কাজ চালিয়ে দিত।
ইতিমধ্যে উল্লাসকর একটা কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন। উল্লাসকর প্রেসিডেন্সি কলেজে ক্লাস করতে গিয়ে সেখানে রাসেল সাহেবের পিঠে একপাটি ছেঁড়া জুতো দিয়ে মারলেন। তারপর কলেজের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করে বেরিয়ে এলেন। ১৯০৭-০৮ নাগাদ জানা গেল যে কিংসফোর্ড সাহেব একে একে সব স্বদেশী কাগজের সম্পাদকদের ধরে জেলে পুরছেন। পুলিশের হাতে একতরফা মার খেয়ে দেশসুদ্ধু লোক যেন হাঁফিয়ে উঠছে। সবারই এক কথা – “নাঃ এভাবে আর চলে না। কয়েকটার মাথা উড়িয়ে দিতে হবে।” বিপ্লবীদের সামনে তখন মাথা বলতে বড়োলাট অ্যান্ড্রু ফ্রেজারের মাথা। পরামর্শ করে ঠিক হল চন্দননগরে রেললাইনে ফ্রেজারের ট্রেনের তলায় ডাইনামাইট রাখা হবে। ডাইনামাইট কার্ট্রিজ জোগাড় করে তা রাখাও হল। ট্রেন এল, চলেও গেল। কার্ট্রিজ ফেটে ফটাফট আওয়াজ হল বটে কিন্তু ট্রেন ওড়া তো দূরের কথা সামান্য হেললও না। ফ্রেজার সাহেব নিশ্চিন্তে ঘুমোতে ঘুমোতে রাস্তা পার হয়ে গেলেন। এরপর আরেকবার ফ্রেজার সাহেবের ট্রেন ওড়াবার পরিকল্পনা করা হল মেদিনীপুরের নারায়ণগড় স্টেশনের কাছে। সেবার বোমা ফাটল, ট্রেন লাইনও বেঁকে গেল কিন্তু লাটসাহেব অক্ষতই রইলেন।
১৯০৭-এর সুরাট কংগ্রেস থেকে ফিরে এলেন বারীন। এই কংগ্রেসে নরমপন্থী ও চরমপন্থীদের মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন ঘটে গেছে। রাগে থমথম করছে মুখ। চিৎকার করে বলছেন, “চোর, ব্যাটারা সব চোর। এতদিন স্যাঙ্গাতেরা পট্টি মেরে আসছিলেন যে তাঁরা সবাই প্রস্তুত, শুধু বাংলাদেশের খাতিরেই তাঁরা বসে আছেন। গিয়ে দেখি না সব ঢুঁ ঢুঁ। কোথাও কিছু নেই। শুধু কর্তারা চেয়ারে বসে মোড়লি করছেন। দু’একটা ছেলে একটু আধটু কাজ করার চেষ্টা করছে, তাও কর্তাদের লুকিয়ে। খুব কষে ব্যাটাদের শুনিয়ে দিয়ে এসেছি।”
আরও পড়ুন
পেনাল সেটেলমেন্টে সাধারণ কয়েদিদের রোজনামচা
একথা শুনে সবার মন খুব খারাপ হয়ে গেল। বারীন কিছুক্ষণ থেমে আবার বললেন, “কুছ পরোয়া নেই। ওরা যদি সঙ্গে এল তো এল। আর তা যদি না হয় আমরা বাংলাদেশ থেকেই পাঁচ বছরের মধ্যে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করে দেব। লেগে যাও সব আজ থেকে ছেলে জোগাড় করতে।”
চারদিকে এবার হৈ হৈ রৈ রৈ কাণ্ড শুরু হয়ে গেল। নতুন নতুন ছেলে এসে দলে ভিড়তে লাগল। বোমার আড্ডা দেওঘর থেকে কলকাতার মানিকতলার বাগানে উঠিয়ে আনা হল। ইতিমধ্যে সেখানে ফ্রান্স থেকে বোমা বানানোর কৌশল রপ্ত করে ফিরে এসেছেন হেমচন্দ্র দাস (কানুনগো)। তাঁর ওপরেই ভার পড়ল বোমা তৈরি করা ও তা অন্যদের শেখানোর। এখানেই কিংসফোর্ডকে মারার জন্য ৬ আউন্স ডাইনামাইট, একটি ডেটনেটর ও কালো পাউডার ফিউজ দিয়ে বোমা তৈরি করলেন হেমচন্দ্র। বাগানের ওপর আগে থেকে পুলিশের নজর তো ছিলই। মুজফফরপুরের ঘটনার পর পরই পুলিশের সন্দেহ জোরদার হল।
১৯০৮, ১-লা মে । সদ্য ৩০-এ এপ্রিল মুজফফরপুরে হেমচন্দ্র-উল্লাসকরের বানানো বোমা দিয়ে কিংসফোর্ডকে মারার চক্রান্তে ক্ষুদিরাম গ্রেপ্তার হয়েছেন, প্রফুল্ল চাকী আত্মহত্যা করেছেন। সেদিন প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরম। সবাই যে যার মতো বাইরের কাজ সেরে মানিকতলার বাগান বাড়িতে ফিরেছেন। একদিকে উনুনে ভাত বসানো হয়েছে। আর অন্যদিকে যথারীতি চলছে ভারত উদ্ধারের চর্চা। কিন্তু সেই দিনটা যে অমঙ্গলের তার প্রথম চিহ্ন দেখা গেল যখন ভাতের হাঁড়ি নামাবার সময় সেই মাটির পাত্রটি ফেঁসে গিয়ে সব ভাত মাটিতে পড়ে গেল। বারীন অবশ্য এতে দমল না। জ্বালানি কাঠের অভাবে খবরের কাগজ জ্বালিয়ে তিনি আবারও ভাত রাঁধতে বসে গেলেন। রাত এগারোটার সময় যখন সবাই ভাত খাচ্ছেন তখন দলেরই একটি ছেলে কলকাতা থেকে এসে উপস্থিত হল। তার মুখ থেকে খবর পাওয়া গেল বাগানে যে কোনো সময় খানাতল্লাশি হবে। তাঁদের সবার এই মূহুর্তে বাগান ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। কিন্তু অত রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে কেউ আর বাগান ছেড়ে নড়তে চাইলেন না। ঠিক হল পরদিন সকাল হলে যে যার মতো নিজের পথ দেখবে। তখন বারীন কিছু ছেলে নিয়ে কোদাল ঘাড়ে করে বাগানের এক কোণে গর্ত খুঁড়ে দু-চারটে রাইফেল, রিভলবার ও বোমা পুঁতে দিয়ে আসলেন।
আরও পড়ুন
এক নজিরবিহীন হত্যাকাণ্ড
রাত্রি তখন প্রায় চারটে। এমন সময় জুতো মসমসিয়ে কিছু পায়ের শব্দ উঠে এল ওপরে। দরজায় করাঘাতের শব্দ পড়ল। বারীন তাড়াতাড়ি উঠে দরজা খুলে দিলেন। একটা অপরিচিত ইউরোপীয় কণ্ঠে প্রশ্ন ভেসে এল –
-“Your name ?”
-“Barindra Kumar Ghose.”
হুকুম হল “বাঁধো ইসকো।” ‘যুগান্তর’ গোষ্ঠির ‘ভারত উদ্ধার পর্ব’ আপাতত সেখানেই শেষ হল। ওয়াটারলু থানার ইন্সপেক্টর, জে. এল. ফ্রিজোনির নেতৃত্বে একে একে চোদ্দজন গ্রেপ্তার হলেন। সকাল হল। বাগান তখন লাল পাগড়িতে ছেয়ে গেছে। কয়েকজন গোরা সার্জেন্ট হাতে চাবুক নিয়ে ঘোরাফেরা করছে। পাড়ার যে ক’জন কোচম্যান জাতীয় মানুষকে সাক্ষী করার জন্য পুলিশ ধরে বেঁধে নিয়ে এসেছে তারা বিপুলকায় ইন্সপেক্টর সাহবের পেছনে ‘হুজুর হুজুর’ করে ছোটাছুটি করছে। পুকুরঘাটের কাছে এক প্রকাণ্ড আমগাছের তলায় সবাইকে জোড়ায় জোড়ায় হাতবাঁধা অবস্থায় বসিয়ে রাখা হয়েছে। এরইমধ্যে উল্লাসকর ইন্সপেক্টর সাহেবের ওজন তিন মণ না সাড়ে তিন মণ তা নিয়ে সঙ্গীদের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দিয়েছেন।
এরপর খানাতল্লাশি করে আগের রাতে বাগানে পুঁতে রাখা রাইফেল ও বোমা উদ্ধার করা হল। সবাইকে এবার থানায় চালান দেওয়া হল। পরদিন লালবাজার পুলিশ কোর্ট হয়ে সবাইকে হাজির করা হল আলিপুর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে। সেখানে ম্যাজিস্ট্রেট বার্লে সাহেব জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কি মনে কর তোমরা ভারতবর্ষ শাসন করতে পারো ?” সবার হয়ে উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর দিলেন, “সাহেব, দেড়শো বছর পূর্বে কি তোমরা ভারত শাসন করতে ? না, তোমাদের দেশ থেকে আমরা শাসনকর্তা ধার করে আনতাম ?”
আরও পড়ুন
জারোয়াদের কথা, দুধনাথ তিওয়ারি এবং অ্যাবারডিনের যুদ্ধ
‘যুগান্তর’ গোষ্ঠীর সবাই গ্রেপ্তার হলে বন্ধ হয়ে গেল মানিকতলার আড্ডা আর শুরু হল মানিকতলা বোমা মামলা যা আলিপুর বোমা মামলা নামেও পরিচিত।
Powered by Froala Editor