‘কালাপানি’ আন্দামান - ১৬
আগের পর্বে
সাপ্তাহিক স্বরাজ্য পত্রিকার সম্পাদক নন্দগোপাল চোপরার দ্বীপান্তর হয়েছিল দেশদ্রোহী প্রবন্ধ লেখার জন্য। সেলুলার জেলে তেলের ঘানি টানতে প্রথমে অস্বীকার করেন তিনি। ফলত কঠিন শাস্তি দেওয়া হয় তাঁকে। তবে জেলার সাহেবদের অনেক তর্জন-গর্জনের পরেও লাভ হল না কিছু। শেষ পর্যন্ত নত হতে বাধ্য হলেন তাঁরা। অব্যাহতি দেওয়া হল তাঁকে। কিছুদিন পরে পুনরায় তেলের ঘানি টানার হুকুম এলে, তাঁর সঙ্গেই কাজ করতে অস্বীকার করলেন বহু রাজবন্দি। শুরু হল সেলুলার জেলের প্রথম ধর্মঘট। অবস্থা বেগতিক দেখে অবশেষে তাঁদের জেলের বাইরে সেটেলমেন্টের কাজে পাঠান হল। তবে সুখকর হল না সেই কাজও। তারপর…
২৮ এপ্রিল, ১৯১২। ইন্দুভূষণ রায়, যিনি মানিকতলা বোমা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন এবং দশ বছরের জন্য দ্বীপান্তরিত হয়েছিলেন তিনি জেলে সেলের মধ্যে আত্মহত্যা করলেন। তাঁর বলিষ্ঠ শরীর কঠোর পরিশ্রমেও কখনো কাতর হয় নি কিন্তু জেলখানার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অপমানে তিনি যেন দিন দিন অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছিলেন। মাঝে মাঝেই বলতেন, “জীবনের দশটা বছর এই নরকে থাকা আমার পক্ষে অসম্ভব।” তাঁকে বাইরে কাজের জন্য পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু সেখানে খোরাকির অভাব ও অতিরিক্ত পরিশ্রমে কাহিল হয়ে তিনি হাতে বেড়ি পরে জেলে ফিরে এসেছিলেন কিছুটা সুরাহা পাবার আশায়। তাঁকে বাইরের কাজে ফিরে যেতে বলা হলেও তিনি ফিরে যেতে চাননি তাই ব্যারী সাহেবের নির্দেশে তাঁকে শাস্তিস্বরূপ ঘানিতে জুড়ে দেওয়া হল।
কিছুদিন পর এক বিকেলে দেখা গেল কলু থেকে ইন্দুভূষণ ফিরছেন, খুব ক্লান্ত, মুখমণ্ডল ঘামে ভেজা, সারা শরীর নারকেল ছোবড়ার ধুলোয় মাখামাখি, পায়ে বেড়ি বাঁধা অবস্থায় ৩০ পাউন্ডের এক বস্তা তাঁর ঘাড়ে, কাঁধেও ভুসির বস্তা, ধুঁকতে ধুঁকতে ইন্দুভূষণ চলেছেন। সেদিন রাত্রে তিনি তাঁর জামা ছিঁড়ে দড়ি পাকিয়ে পেছনের ঘুলঘুলির রডে লাগিয়ে ঝুলে পড়লেন। রাত্রেই জেলের সুপারিন্টেন্ডেন্টকে ফোনে ইন্দুভূষণের আত্মহত্যার কথা জানানো হল। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া তো দূরস্থান, পরদিন সকাল ৮-টায় যতক্ষণ না সাহেব এলেন, ততক্ষণ পর্যন্ত ইন্দুভূষণের শরীর ওইভাবেই ঝুলে থাকল। ঘাড় ভেঙে গেছে, জিভ বেরিয়ে এসেছে, পা দুটো শূন্যে ঝুলছে। সেদিন রাত্রে জেলার সাহেব অবশ্য এসেছিলেন। তার সঙ্গে যেসব প্রহরী ইন্দুভূষণের কুঠুরিতে ঢুকেছিল, তাদের মধ্যে অনেকে বলেছিল যে, তাঁর গলার কয়েদি পরিচয়ের হাঁসুলির সঙ্গে নাকি একটা কাগজ বাঁধা ছিল, যাতে কিছু লেখা ছিল, কিন্তু জেলার সাহেব সেই রাতেই সে কাগজ সরিয়ে ফেলেন এবং পরে তার অস্তিত্বের কথা অস্বীকার করেন। ইন্দুভূষণের মৃতদেহে ভারী পাথর বেঁধে গভীর সমুদ্রে তা ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হল। পরে ইন্দুভূষণের দাদা ভাইয়ের মৃত্যু সম্পর্কে তদন্তের আবেদন জানালে সে সম্পর্কে নাম কা ওয়াস্তে একটা তদন্ত হল বটে কিন্তু পুরো ব্যাপারটা অচিরেই ধামাচাপা পড়ে গেল। কমিটির রিপোর্টে লেখা হল যে উন্মাদ্গ্রস্ততার কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
উল্লাসকরকে কাজের জন্য বাইরে ইট পাঁজায় কাজ করতে পাঠানো হয়েছিল। উল্লাসকর তাঁর কারা-জীবনী বইতে সেইসময়কার কথা লিখছেন। ধর্মঘটের দাবি মেনে কিছুদিন পরে জেলের বাইরে নানাজনকে নানা কাজে পাঠানো হল। উল্লাসকরকে পোর্ট মোয়াট থেকে ডান্ডাস পয়েন্টে ইটভাটায় বহাল করা হল। এই ‘ইটা কামান’এ প্রায় তিন মাস কাজ করার পর সে বছরের মতো সেখানকার কাজ শেষ হল। ডান্ডাস পয়েন্টে ইটের কাজ শেষ হলে পর অন্যান্য কয়েদিদের অল্প অল্প করে অন্যত্র পাঠানোর কাজ শুরু হল। উল্লাসকরকেও হয়তো অন্য কোথাও পাঠানো হত, কিন্তু তার আগেই তিনি কাজ করতে অস্বীকার করে বসলেন। ইট ভাটায় কাজ শেষ হলে উল্লাসকর যখনও ওখানে ছিলেন তাঁকে দিয়ে রাস্তা দুরমুশ করা ও জলের বাঁক কাঁধে নিয়ে খাড়া পাহাড়ে চড়তে বলা হয়। তাও নিজের নিরাপত্তার খাতিরে দুই একদিন তিনি করলেন। কিন্তু শরীরে আর সহ্য হল না। তাছাড়া তিনি দেখলেন যে এতদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পর যতই খাটো না কেন খাটুনি থেকে উদ্ধার নেই, তখন একেবারে মরিয়া হয়ে তিনি বললেন যে, “আর কাজ করব না।”
উল্লাসকর কিছু দিন পর কাজ ছেড়ে সেলুলারে ফিরে এলেন প্রচণ্ড জ্বরে কাঁপতে কাঁপতে। জানালেন, তিনি আর কাজ করতে অক্ষম। ধুম জ্বর, ১০৪-১০৬ ডিগ্রির আশেপাশে। কোনো অনুমতি না নিয়ে জেলে ফেরা? উল্লাসকরের এক সপ্তাহের দাঁড়া হাতকড়ির শাস্তি বরাদ্দ হল। পরদিন সকালে তাঁকে ভাতের মাড় (কঞ্জি) খাইয়ে দেয়াল থেকে হাতকড়ি পরিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হল। জেলের প্রতিটি সেলে মাথা সমান উঁচু দেয়ালের গায়ে কতগুলি হুক বসানো, তাতে একটা করে হাতকড়ি ঝোলানো আছে। সেই হাতকড়িতে হাত পরিয়ে দেয়ালের দিকে মুখ করে সকাল ছ’টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। মাঝে কেবল দশটার সময় খাবার জন্য একবার হাতকড়ি খুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
সেলুলারে প্রথম হরতাল
কিন্তু সে সাতদিন আর পূর্ণ হল না, প্রথম দিনই (১০ জুন, ১৯১২) বেলা সাড়ে চারটের সময় হাতকড়ি খুলতে গিয়ে পেটি অফিসার দেখল যে উল্লাসকর জ্বরে অজ্ঞান হয়ে হাতকড়িতে ঝুলছেন। তখনই তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হল। রাত্রে শরীরের উত্তাপ ১০৬ ডিগ্রি। পরদিন সকালে দেখা গেল উল্লাসকরের জ্বর ছেড়েছে কিন্তু উল্লাসকর আর সে উল্লাসকর নেই। কোথায় সেই উল্লাসকর যে কিনা একসময় উদাত্ত গলায় গান গাইতেন, সবাইকে রঙ্গ-তামাশায় মাতিয়ে রাখতেন, এমনকি বিচারপতির এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন যে তিনি নাকি পুলিশ ইন্সপেক্টরের ভুঁড়ির মাপ নিচ্ছিলেন, তাই কোর্টের সওয়াল-জবাবে তাঁর মন ছিল না। সেই উল্লাসকর এখন উন্মাদগ্রস্ত!
আরও পড়ুন
যমরাজার কারাগারে
উল্লাসকরের স্মৃতিকথা থেকে যে বিবরণ পাওয়া যায় তাতে তিনি যা স্মরণ করতে পারেন তা হল সেইদিন প্রচণ্ড জ্বরে তাঁর হাত-পায়ে খিঁচুনি শুরু হলে অবশেষে ডাক্তারবাবু আসেন। তারপর ছয়-সাতজন লোক তাঁকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় সংজ্ঞাশূন্য অবস্থায় তাঁকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এরপর দেওয়া হয় ইলেকট্রিক শক। ইলেকট্রিক শকের বর্ণনায় উল্লাসকর লেখেন, “এমনই প্রবল বেগে তড়িত চালনা করা হয় যে, আমার তখন বোধ হইতে থাকে যেন আমার সমস্ত শরীর বিদীর্ণ করিয়া, সমস্ত স্নায়ুমণ্ডলীকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করিয়া ঐ তড়িৎ নির্গত হইতে থাকে, এবং কিছুক্ষণের জন্য আমার সমস্ত শক্তিকে পরাভূত করিয়া কতকগুলি কুৎসিৎ ও কদর্য্য গালি আমার মুখ দিয়া নির্গত হয়, যাহা জীবনে কখনও উচ্চারণ করি নাই। ঠিক বোধ হইল যেন তখনকার জন্য আমাকে দুর্ব্বল পাইয়া একটি বিপরীত শক্তি অথবা মানস-আত্মা আমাতে অধিষ্ঠান হইয়া আমার সম্পূর্ণ ইচ্ছার বিরুদ্ধে ঐ কথাগুলি বলাইয়া গেল।”
এরপরেও তিন-চারদিন সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রইলেন উল্লাসকর। তারপর কিছুটা সুস্থবোধ করাতে তাঁকে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন একটা নির্জন কুঠুরিতে রাখা হল। এমনিতে বরাবরই, উল্লাসকরের লেখাতেই উঠে আসে, তিনি ভ্রান্তি বা মায়ার জগতে বিচরণ করতেন, নানা ধরনের হ্যালুসিনেশন দেখতেন। এই জ্বরের পর তা আরো বেড়ে গেল। একদিন তাঁর ওই নির্জন কুঠুরিতে মনে হল যেন চারদিকে তিনি তাঁর আত্মীয়-স্বজনবর্গের আর্তনাদ ও কাতরধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন, চারদিকে যেন এক দুর্বিসহ যন্ত্রণার চিত্র তাঁকে ঘিরে ধরেছে আর সবাই যেন তাদের ওই দুর্দশার জন্য উল্লাসকরের দিকে আঙুল তুলছেন। মনের এই অবস্থায় উল্লাসকর আত্মসংযম হারালেন, এই মানসিক ক্লেশ তাঁর কাছে অসহ্য হয়ে উঠল এবং তিনি আত্মহত্যা করতে উদ্যত হলেন। তাঁকে ওই কুঠুরিতে শোবার জন্য যে শতরঞ্চি দেওয়া হয়েছিল, তিনি তার একদিককার সুতো খুলে একটা দড়ি বানালেন এবং পেছনে জানালার একটি লোহার শিকে ফাঁসি লাগাতে যাবেন এমন সময় তাঁর মনে হল কে একজন কয়েদি পেছনে দাঁড়িয়ে তাঁকে দেখছে। এরকম মনে হওয়ায় গলায় ফাঁসি লাগিয়েও তিনি নেমে এলেন, তাঁর আর আত্মহত্যা করা হল না।
আরও পড়ুন
ভি. ডি. সাভারকরের কথা
পরদিন সুপারিন্টেন্ডেন্ট উল্লাসকরের কুঠুরিতে তাঁর খোঁজ নিতে এসে শতরঞ্চির ওইরকম অবস্থা দেখে তাঁকে প্রশ্ন করে সব জানতে পারলেন। তিনি উল্লাসকরকে স্নেহ করতেন। উল্লাসকরের বর্তমান মানসিক অবস্থা তাঁকে দ্রব করল। তিনি অনেক ভেবে একটি সিদ্ধান্ত নিলেন যে উল্লাসকরকে তিনি জেলের মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে দেবেন, তাতে অন্তত উল্লাসকর অমানুষিক শারীরিক পরিশ্রমের হাত থেকে বাঁচবেন। এই প্রস্তাবে উল্লাসকর যেন হাতে আকাশ পেলেন। তিনি রাজি হলেন এবং সুপারিন্টেন্ডেন্ট সাহেবের এই দয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন।
আরও পড়ুন
দিকে দিকে অবাধ্যতার ঢেউ
জেলের পাগলা গারদে উল্লাসকরের স্থান হল। সেখানে তিনি ডাক্তার হিসাবে পেলেন এক বাঙালিকে। তিনিও তাঁকে অত্যধিক স্নেহ দিলেন। জেলের খাবার কখনো তাঁর মুখে না রুচলে তিনি বাড়ি থেকে রান্না করা ভাত তরকারি তাঁর জন্য নিয়ে আসতেন। তিনি তাঁর ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে উল্লাসকরের পরিচয় করিয়ে দিলেন। তারা তাঁকে ‘দাদা’ বলে সম্বোধন করে ও মাঝমাঝে উল্লাসকরের সঙ্গে খেলাধুলা করে। পাগলা গারদের অধীনে একটা ফল ফুল শোভিত বাগান ছিল। সেখানে শাক-সবজিও ফলানো হত। উন্মাদ কয়েদিদের মধ্যে যাদের অবস্থা অপেক্ষাকৃত ভালো তারা ওই বাগানে কাজ করত। বাগানের তরিতরকারি সেটেলমেন্টের অধিবাসীদের জন্য বাইরে পাঠানো হত। উল্লাসকরকে প্রস্তাব দেওয়া হল যে তাঁর পক্ষে যদি সম্ভব হয় তবে ওই তরকারির দৈনিক হিসেব রাখার কাজ তিনি করতে পারেন। উল্লাসকর ক’দিন সেই কাজ করে দেখলেন যে তাঁর মানসিক অবস্থা তখনো সেভাবে সুস্থিত নয়। সেই কাজও তিনি ছেড়ে দিলেন। তাঁকে দেখাশোনা ও পাহারা দেবার জন্য সর্বক্ষণ তাঁর সঙ্গে একজন নিম্নপদস্থ কর্মচারী ও পাহারাদার থাকত। তিনি তাদের নিয়ে গারদের সীমানার মধ্যে ঘুরে বেড়াতেন, মাঝামাঝে লুকিয়ে বাইরেও যেতেন, উপেন ও বারীন সুবিধামতো কখনো কখনো তাঁর সঙ্গে দেখাও করতে আসতেন।
কিছুদিন পরে ভারত থেকে জেলের ডিরেক্টর জেনারেল আন্দামানে পরিদর্শনে আসেন। তাঁর সঙ্গে উল্লাসকরের আগে আলিপুর জেলে পরিচয় হয়েছিল। তিনি পাগলা গারদ পরিদর্শনে এসে উল্লাসকরকে চিনতে পারলেন। তিনি আগে উল্লাসকরকে সুস্থ ও সবল দেখেছেন। উল্লাসকরকে এখানে দেখে তিনি বললেন, “তুমি এত রোগা হইয়া গিয়াছ এবং ওজনে এত কম হইয়া গিয়াছ, কিরূপে বিশ বৎসর কাটাইবে?” উল্লাসকর তখন তাঁকে তাঁর অসুখের ইতিবৃত্তান্ত বললে, তিনি বললেন, “তোমাকে কোন ভারতীয় জেলে স্থানান্তরিত করা উচিত, নতুবা এখানে থাকিলে নিশ্চয় মারা যাইবে; তোমাকে আর বিশ বৎসর খাটিতে হইবে না। আমি তোমার পরিবর্ত্তনের বিষয় সরকারকে লিখিতেছি। তোমাকে যাহাতে এখান হইতে বদলী করা হয় তার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করিব।”
এরপর ডিরেক্টর জেনারেল নিজেই উল্লাসকরের শরীর পরীক্ষা করলেন। তখনো উল্লাসকরের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসত, মাঝে মাঝে ফিট হতেন, এমন কি এক এক সময় দেয়ালে মাথা খুঁড়তেন। জ্বর যখন খুব বাড়ত, নানা প্রকার স্বপ্ন দৃশ্য দেখতেন।
জেলের ডিরেক্টর জেনারেল দেশে ফিরে গেলেন এবং কয়েক মাসের মাধ্যে উল্লাসকরের মাদ্রাজ জেলের পাগলা গারদে স্থানান্তরের হুকুম আসল। উল্লাসকরের সেলুলার জেলের পালা শেষ হল জানুয়ারি ১৯১৩-তে। ঠিক তিনবছর একমাস পর তিনি আন্দামানের নরক থেকে মুক্তি পেলেন।
Powered by Froala Editor