দিকে দিকে অবাধ্যতার ঢেউ

'কালাপানি' আন্দামান -১২
আগের পর্বে

বারীন ঘোষ যখন বন্দি সেলুলার জেলে, তখন সেখানকার জেলার ডেভিড ব্যারী। ব্যারী সাহেব যেন সাক্ষাৎ যমস্বরূপ। তিনি রোমান ক্যাথলিক আইরিস। বছরের একটি মাত্র দিন— বড়দিনে সৌম্যমূর্তি ধরতেন। সেদিন বিরতি নিতেন কয়েদি তাড়ানো থেকে। পরদিন থেকে আবার নিজের কাজে ফিরে আসতেন ব্যারী সাহেব। তবে তাঁর শাসন প্রায় মৌখিক ধমকেই সীমাবদ্ধ থাকত। তবে ব্যারী সাহেবেরও পেটি অফিসাররা ছিলেন আরও এক ধাপ ওপরে। ধরে আনতে বললে বেঁধে আনতেন তাঁরা। বারীন ঘোষের পাঁচ নম্বর জেলের এমনই এক অফিসার ছিলেন খোয়েদাদ খাঁ। কয়েদিদের কোনো কাজেই মন ভরত না তাঁর। তবে একমাত্র তিনি ভয় পেতেন ব্যারী সাহেবকে। ব্যারী সাহেবকে তাঁর দিকে আসতে দেখলেই শুরু করতেন ‘বিসমিল্লা’ জপ। তারপর…

১৯০৭-০৮। এলাহাবাদ থেকে প্রকাশিত হওয়া শুরু হল স্বরাজ্য নামে একটি পত্রিকা। এই পত্রিকায় ব্রিটিশদের হাত থেকে  স্বদেশের মুক্তিলাভের কথা এবং ব্রিটিশ রাজকর্মচারীদের অত্যাচারের নানা ঘটনা নিয়মিত প্রকাশিত হতে লাগল। প্রকাশনার সঙ্গে সঙ্গে অসম্ভব জনপ্রিয়তা পেল পত্রিকাটি আর তা ব্রিটিশ শাসকদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিল। নভেম্বর ১৯০৭ থেকে ১৯১০ – তিন বছরে নয়জন সম্পাদক পরপর দায়িত্ব নিয়ে ৭৫টি সংখ্যা বের করে বৈপ্লবিক আদর্শে ইন্ধন জোগাচ্ছিলেন। এঁদের মধ্যে ৭ জন পাঞ্জাবের। রাজদ্রোহে মদত দেবার অভিযোগে প্রায় প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করা হয়। যে কয়জন সম্পাদককে গ্রেপ্তার করতে ব্রিটিশ পুলিশ সমর্থ হয়েছিল বিচারে তাদের প্রত্যেককে দোষী সাব্যস্ত করে সবার দীর্ঘ কারাবাসের দণ্ড ঘোষিত হয়। এঁদের মধ্যে চারজনের আন্দামানের শাস্তি হল। পৃথিবীর সাময়িক পত্রের ইতিহাসে এই ঘটনা বিরলতম।

এই পত্রিকার সম্পাদকদের অবস্থা একটু দেখে নেওয়া যাক।

১। শ্রী শান্তি নারায়ণ – জেল ও জরিমানা।
২। শ্রী রামদাস সুরালিয়া – আত্মগোপন।
৩। হোতিলাল ভার্মা – ১০ বছরের জন্য আন্দামানে দ্বীপান্তর।
৪। বাবুরাম হরি – ৭ বছরের জন্য আন্দামানে দ্বীপান্তর।
৫। মুনশি রামসেবক – ৭ বছরের জেল।
৬। নন্দগোপাল চোপরা – ৩০ বছরের জেল, তার মধ্যে ১০ বছরের জন্য আন্দামানে দ্বীপান্তর।
৭। শ্যামদাস ভার্মা – আত্মগোপন।
৮। লোধারাম কাপুর – ১০ বছরের জন্য আন্দামানে দ্বীপান্তর সহ ৩০ বছরের কারাদণ্ড।
৯। পণ্ডিত আমীরচাঁদ বম্বসওয়াল – আত্মগোপন।

শুধুমাত্র একটা পত্রিকা চালানোর অপরাধে মাত্র দুবছরের মধ্যে সমস্ত সম্পাদকরাই অপরাধী হিসাবে বিবেচিত হয়েছিলেন, তার থেকে বোঝা যায় যে ব্রিটিশদের চোখে কতটা ভয়ংকর ছিল পত্রিকাটি। তবু শাসকের সমস্ত রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে একের পর এক দেশপ্রেমিক সম্পাদক এগিয়ে এসে পত্রিকাটির দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে দুঃখের কথা এই যে ১৯৫৫ সালে ভারত সরকার কর্তৃক যে ‘History of Indian Journalism’ বইটি প্রকাশ করেছিলেন, সেখানে স্বরাজ্য পত্রিকাটির কোনো উল্লেখ করা হয়নি।

এই পত্রিকায় একসময় একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছিল যা খুবই উল্লেখযোগ্য। বিজ্ঞাপনটি ছিল এরকম –

আরও পড়ুন
সেলুলার জেলের তিন যমদূত

‘Wanted an Editor for Swarajya on a remuneration of two unbuttered chapaties, a glass of cold water and 10 yrs rigorous imprisonment for each editorial.’

১৯০৬ সালে সেলুলার জেল তৈরি হয়ে গেছে। ১৯০৫-এর বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঢেউ থেকে শুরু করে ওই সালে বেনারস কংগ্রেস এবং অবশেষে ১৯০৭-এর সুরাত কংগ্রেসে ব্রিটিশদের কাছে থেকে ঔপনিবেশিক স্বায়ত্ত্বশাসন চাওয়া নরমপন্থীদের সঙ্গে ব্রিটিশদের হাত থেকে পুর্ণ স্বরাজ চাওয়া চরমপন্থীদের বিভাজন স্থিরীকৃত হয়ে গেল। ব্রিটিশরাজ এই বিভাজনে স্বস্তি পেল। চরমপন্থীরা দেখলেন সশস্ত্র বিপ্লব ছাড়া ব্রিটিশদের হাত থেকে মুক্তি পাবার কোনো বিকল্প পথ নেই। সারা দেশ জুড়ে ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেন চরমপন্থী বিপ্লবীরা। এবার ব্রিটিশরাজ উপলব্ধি করল যে এই সমস্ত রাজদ্রোহীদের ধরে আন্দামানে চালান করে দিলে দেশের মধ্যে বিপ্লবী শক্তি হ্রাস করা যাবে।  প্রথমে সিদ্ধান্ত হল যে শুধুমাত্র যাঁরা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হবেন তাঁদেরই পাঠানো হবে আন্দামানে। আর মেয়াদি দণ্ডপ্রাপ্তদের দেশের ভেতরেই বিভিন্ন কারাগারে আবদ্ধ রাখা হবে। কিন্তু পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত বদল করে বলা হল যে সরকার যে সমস্ত ‘সন্ত্রাসবাদীদের’ বিপজ্জনক বলে মনে করবে তাদেরই আন্দামানে পাঠাতে পারবে। এবারে ফ্লাডগেট খুলে গেল।

১৯০৯ সালে যুক্তপ্রদেশ সরকার স্বরাজ্য পত্রিকার দুই সম্পাদক, হোতিলাল ভার্মা এবং বাবু রাম হরিকে আন্দামানে পাঠাবার সুপারিশ করে। লর্ড কার্জন তখন তা কার্যকর করতে চাননি। ওই একই সময়ে মানিকতলা ষড়যন্ত্র মামলা বা আলিপুর বোমা মামলায় অভিযুক্ত সাংঘাতিক ‘গোলাওয়ালা’দের জন্য  আন্দামান সেলুলার জেলের দরজা বিপ্লবী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। বারীন, উল্লাসকর, উপেনদের প্রায় সমসময়ে ১৯০৯ সালে হোতিলাল এবং রামহরিও আসেন সেলুলার জেলে। পরবর্তীতে ১৯১০-এ আসেন স্বরাজ্য পত্রিকার আরও দুই সম্পাদক লোধারাম কাপুর এবং নন্দগোপাল চোপরা।

শুধুমাত্র স্বরাজ্য পত্রিকায় ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে লেখার জন্যই নয়, এই পত্রিকা থেকে বিভিন্ন সভায় লেখা পাঠ করার জন্য গ্রেপ্তার করা হল যুক্তপ্রদেশের এটাওয়া জেলার পণ্ডিত রাম চরণ লাল শর্মাকে। তাঁকেও পত্রপাঠ দ্বীপান্তরিত করে পাঠিয়ে দেওয়া হল আন্দামানে।  এছাড়াও পণ্ডিত রামচরণলাল শর্মা যিনি কলকাতার যুগান্তর পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং স্বরাজ্য পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধগুলির প্রচার করেন – এই অপরাধের কারণে তাঁরও ১০ বছরের দ্বীপান্তর সহ ৩০ বছরের কারাবাস হল।

আরও পড়ুন
আন্দামান সফরে

স্বরাজ্য পত্রিকার তৃতীয় সম্পাদক, হোতিলাল ভার্মা

 

স্বরাজ্য পত্রিকার চতুর্থ সম্পাদক, বাবু রাম হরি

 

আরও পড়ুন
সেলুলার জেল

সারা ভারতবর্ষে জাতীয়তাবাদের জাগরণ ঘটছে। উঠে আসছেন বালগঙ্গাধর তিলক, বিপিনচন্দ্র পাল, লালা লাজপত রাই, অরবিন্দ ঘোষ। পাঞ্জাবে ১৯০৭-এর জমি অধিগ্রহণ আইনের বিপক্ষে অস্ত্র ধরছেন কৃষকরা। লালা লাজপত রাই এবং অজিত সিং (ভগৎ সিং-এর কাকা) নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পাঞ্জাব গরম হচ্ছে। রাওয়ালপিন্ডি, শিয়ালকোট এবং লায়ালপুরে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রচার ও বিভিন্ন কর্মসুচি পালিত হচ্ছে।  

বাংলার বিপ্লবীরাও বসে নেই। ১৯০৫-এ লর্ড কার্জনের বাংলা ভাগ তাঁদের অনেকটা সুবিধে করে দিয়েছে। বারীন্দ্র কুমার ঘোষ, উপেন বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমচন্দ্র দাস (কানুনগো), উল্লাসকর দত্তরা মানিকতলায় বোমা কারখানা বানিয়ে ফেলেছেন। সেখানকার বানানো বোমা ব্যবহার করা হয়েছে মুজফফরপুরে কিংসফোর্ড হত্যা পরিকল্পনায়। কিংসফোর্ডের কিছু হয়নি বটে তবে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কিশোর ক্ষুদিরামের ফাঁসি হয়ে গেছে ১১-ই আগস্ট , ১৯০৮-এ। ধরা পড়েছেন কলকাতার যুগান্তর গোষ্ঠির সবাই। অরবিন্দ খালাস পেলেও মানিকতলা ষড়যন্ত্র মামলা বা আলিপুর বোমা মামলার আসামি হয়ে বারীন, উপেন সহ মোট নয়জন ডিসেম্বর, ১৯০৯-এ প্রথম রাজবন্দি হিসাবে আন্দামানের মাটিতে পা রেখেছেন।

১৯০৯ সালে কলকাতা এবং ঢাকার মধ্যে খুলনা ও যশোর জেলায় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিপ্লব সংগঠিত করার অভিপ্রায়ে অস্ত্রশস্ত্র কেনার জন্য টাকা জোগাড়ের ভাবনায় পরপর ঘটে গেল বেশ কয়েকটি স্বদেশী ডাকাতি। ১৬-ই আগস্ট, ১৯০৯-এ খুলনা জেলার নাঙ্গলায় এক বড়োসড়ো ডাকাতির পরে টনক নড়ল পুলিশের। কলকাতায় ১৫ জোড়াবাগান স্ট্রিট এবং ১৬৫ আহিরীটোলা স্ট্রীটের বাড়িদুটোতে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হল বিধুভূষণ দে, ডাঃ অশ্বিনী কুমার বসু সহ মোট ১৬ জন। উদ্ধার হল বিপ্লবী পুস্তিকা মুক্তি কোন পথে এবং বিভিন্ন বিপ্লবী পত্র-পত্রিকা ও পুস্তিকা। তিনজনকে তখনই ছেড়ে দেওয়া হলেও বাকি তেরোজনের বিরুদ্ধে শুরু হল ‘খুলনা ষড়যন্ত্র মামলা’। এর জন্য  হাইকোর্টের তিনজন বিচারপতি, হ্যারিংটন, হোমউড এবং জে. জে. ডস’কে নিয়ে ২-রা জুন, ১৯১০-এ গঠিত হল নিয়ে স্পেশ্যাল ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতিরা মন্তব্য করলেন যে এইসমস্ত বাঙালি ভদ্রলোক সন্ত্রাসবাদীরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন জাত-ধর্মের মানুষদের জড়ো করে ইংল্যান্ডের সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করতে চাইছে। তাই এদের জন্য একমাত্র বরাদ্দ হতে পারে কঠিন শাস্তি। তেরোজনের মধ্যে দু’জন – মোহিনী মোহন মিত্র এবং মন্মথ মিত্রকে খালাস করে দেওয়া হলেও বাকি এগারোজনের নানা মেয়াদের সশ্রম কারাদণ্ড হল। এই রায়ে অবনী ভূষণ চক্রবর্তী, অশ্বিনী কুমার বসু, কালীদাস ঘোষ, কিনুরাম পাল,  নগেন্দ্র চন্দ্র চন্দ্র, নগেন্দ্র নাথ সরকার, বিধুভূষণ দে, ব্রজেন্দ্র নাথ দত্ত, শচীন্দ্র লাল মিত্র, সতীশ চন্দ্র চ্যাটার্জী এবং সুধীর চন্দ্র দে রওনা হলেন আন্দামানের সেলুলার জেলের উদ্দেশ্যে।

২রা মার্চ, ১৯১১। চুঁচুড়ার কিশোর ননীগোপাল মুখার্জী ডালহৌসি স্কোয়ারে রাইটার্স বিল্ডিংয়ের সামনে কলকাতার উচ্চপদাধিকারী সিআইডি অফিসার, জি. সি. ডেনহ্যামকে মারার উদ্দেশ্যে তাঁর গাড়িতে বোমা ছুঁড়লেন। সেইদিন ওই গাড়িতে ডেনহ্যাম ছিলেন না, ছিলেন পিডব্লুডি’য়ের সুপারন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার, এফ. এ. কাউলি। বোমা ফাটল না। ননীগোপাল ধরা পড়লেন। ২৭ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হল ডালহৌসি বোমা মামলা। এরপর তাঁকে চোদ্দ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করার জন্য আন্দামানে পাঠানো হল।

আরও পড়ুন
আলিপুর বোমা মামলা এবং এক বেইমানের শাস্তি

ঢাকা অনুশীলন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা বিপ্লবী পুলিনবিহারী দাশ

 

পুলিনবিহারী দাশ ছিলেন ‘ঢাকা অনুশীলন সমিতি’র প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ঢাকায় ‘ন্যাশনাল স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করে সেখানে ছাত্রদের লাঠি খেলা, তরোয়াল চালনা, ছোরা চালনা এবং শেষে রিভলবার চালনার শিক্ষা দেবার মাধ্যমে যুবকদের সশস্ত্র বিপ্লবের জন্য তৈরি করতেন। ঢাকার পূর্বতন ম্যাজিস্ট্রেট বাসিল কপ্লেস্টন অ্যালেনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। ১৯০৭ সালের ২৩শে ডিসেম্বর অ্যালেন যখন ইংল্যান্ডে ফেরার উদ্দেশ্যে গোয়ালন্দ স্টেশনে পৌঁছলেন তখন তাঁকে লক্ষ করে গুলি ছোঁড়া হলে তিনি অল্পের জন্য বেঁচে যান। ১৯০৮-এর প্রথম দিকে দিনের আলোতে ঢাকা জেলার অধীনস্থ নবাবগঞ্জ থানার বরার জমিদার বাড়িতে এক দুঃসাহসিক ডাকাতি সংগঠিত করেন পুলিনবিহারী। সেই বছরই ওনাকে ভূপেশচন্দ্র নাগ, শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী, কৃষ্ণ কুমার মিত্র, সুবোধ মল্লিক এবং অশ্বিনী দত্তের সঙ্গে মন্টোগোমারি জেলে নিক্ষেপ করা হয়। সেখান থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি আবারও বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।

১৯১০ সালের জুলাই মাসে ৪৬ জন বিপ্লবী সহ পুলিন বিহারী’কে ঢাকা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে এই মামলায় আরো ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই মামলায় তেরোজনের বিভিন্ন মেয়াদের সাজা হয় এবং শুধুমাত্র পুলিনবিহারী দাশকে আন্দামানে যেতে হয়।

ঢাকা জেলার অন্তর্গত রাজেন্দ্রপুর রেলস্টেশনের কাছে এক স্বদেশী ডাকাতি সংগঠিত হয় – জুন, ১৯১০-এ। এই ডাকাতিতে লুঠ হয় ২৩,০০০ টাকা। শুরু হয় রাজেন্দ্রপুর রেল ডাকাতির মামলা। এই মামলায় অভিযুক্ত হয়ে সুরেশ চন্দ্র সেনগুপ্ত  ৮ আগস্ট , ১৯১১-তে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে আন্দামানে আসেন।

Powered by Froala Editor