বাংলার এপার-ওপার কখনও মানেননি তিনি। বাঙালিকে স্পর্ধা করতে চিনিয়েছেন। প্রতিবাদ করতে চিনিয়েছেন। আর আজ সেই মানুষটিরই পৈতৃক ভিটে সম্পূর্ণ ভাঙার চেষ্টা চলছে! সম্প্রতি প্রবাদপ্রতিম পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের বাংলাদেশের পৈতৃক বাড়ি ভেঙে ফেলার কাজ চলছিল। আর তাই নিয়ে প্রতিবাদে উঠল দুই বাংলাতেই।
রাজশাহীর ওই বাড়িতে শৈশব ও কৈশোরের একটা বড় অংশ কাটিয়েছিলেন ঋত্বিক ঘটক। দেশভাগের কাছাকাছি সময় সপরিবারে এপার বাংলায় চলে আসেন তাঁরা। সেই যাত্রা, সেই যন্ত্রণা তাঁর কথায়, ছবিতে, লেখায় ফুটে উঠেছে বারবার। আজ সেই স্মৃতিই মুছে যেতে চলেছে।
সূত্রের খবর, ১৯৮৯ সালে নামমাত্র মূল্যে ওই বাড়িটি রাজশাহী হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালকে দিয়ে দেওয়া হয়। তখন থেকেই বাড়িটি তাঁদের অধিকারে। সম্প্রতি বাড়ির একটা অংশ ভেঙে ফেলে সেখানে গ্যারাজ নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হয়। কাজও শুরু হয়। সেই খবর বাইরে আসতেই প্রতিবাদে নামেন মানুষজন । তাঁদের দাবি, এই কাজ বন্ধ করে বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হোক।
কলেজের কর্তৃপক্ষ অবশ্য এইসব মানতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, এই বাড়িটি এখন কলেজ ও হাসপাতালের অংশ। তাই কী করা হবে না হবে সেটা এখন তাঁদের সিদ্ধান্ত। তবে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, কলেজ কর্তৃপক্ষকে কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে।