একবার দুবার নয়, এই নিয়ে ২৫ বার এভারেস্টের চূড়ায় উঠলেন নেপালের পর্বতারোহী। নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙলেন কামি রিতা শেরপা। বৃহস্পতিবার নেপালের যে ১২ সদস্যের দলটি এভারেস্টের চূড়ায় ওঠে, সেই দলের নেতৃত্ব দিয়েই রেকর্ড তৈরি করলেন শেরপা। তাঁর এই সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন নেপালের সমস্ত পর্বতারোহী। আরও একবার দেশের মুখ উজ্জ্বল করলেন তিনি।
আর কিছুদিনের মধ্যেই এভারেস্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ দল। তাদের যাতায়াতের পথে দড়ি বাঁধার যাবতীয় ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা, তা পরীক্ষা করতেই ১২ সদস্যের দলটি এভারেস্টের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। আর সম্পূর্ণ দলটিকে নেতৃত্ব দিয়ে সবার আগে এভারেস্টের চূড়ায় পা রাখেন শেরপা। অবশ্য এই কাজ তো তিনি করে আসছেন ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে। ১৯৯৪ সালে প্রথমবার এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছিলেন তিনি। তারপর থেকে এমন কোনো বছর যায়নি যে তিনি পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করেননি। একমাত্র ছেদ পড়েছে গতবছর, ২০২০ সালে। কারণ করোনা অতিমারীর কারণে সমস্ত ধরণের পর্বতারোহণ বন্ধ ছিল।
অবশ্য এর আগের বছরেই নতুন রেকর্ড তৈরি করেছিলেন কামি রিতা শেরপা। ২৪ বার এভারেস্ট জয় সেই সময় রেকর্ড তো বটেই। তাছাড়া ২০১৯ সালে তিনিই প্রথম একই বছরে দুবার এভারেস্ট জয় করেছেন। সর্বাধিক এভারেস্ট জয়ের রেকর্ড নিজেই ভাঙলেন। আর এবছরেও আরও একবার এভারেস্ট জয় করতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এ-বছর কোনো রেকর্ড তৈরি করতে এভারেস্ট পাড়ি দেননি শেরপা। তাঁর কথায়, ২০২০ সালে নিজের ৫০ বছর বয়সকে উদযাপন করতেই ২৫তম এভারেস্ট জয়ের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। ২০২০ সালে সেই স্বপ্ন পূরণ না হলেও এবছর তা পূরণ করতে পেরে তিনি খুশি। অন্যদিকে আরও একটি কারণ অবশ্যই দেশের পর্যটনশিল্প। কামি শেরপার মতে, নেপালে পর্যটকরা আসেন গাইডদের ভরসাতেই। তাঁদের দক্ষতার কথা যত ছড়িয়ে পড়বে, ততই পর্যটক আসার সম্ভাবনাও বাড়বে। এভারেস্ট ছাড়াও গডউইন অস্টিন জয়ের রেকর্ডও আছে তাঁর। তবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে ২৫ বার পা রাখার বিররল রেকর্ড তাঁকে অবশ্যই বাকি পর্বতারোহীদের থেকে আলাদা করে তোলে। আর এই রেকর্ড করোনা পরবর্তী নেপালের পর্যটনশিল্পকেও অনেকটা অক্সিজেন দেবে বলেই মনে করছে নেপালের পর্যটন বিভাগ।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
এভারেস্টের ২.২ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ পর্বতারোহীদের