দক্ষিণ আফ্রিকায় গণ্ডার শিকার কমেছে ৫৩ শতাংশ, সুরক্ষিত হাতিরাও

আফ্রিকা মানেই মনের মধ্যে ভেসে ওঠে গভীর অরণ্যের মাঝে অসংখ্য পশুপাখি। আর তার মধ্যে গণ্ডার থাকবে না, তাই কি হয়? তবে বিগত কয়েক দশক ধরে পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে আফ্রিকায় আর কোনো গণ্ডার জীবিত থাকবে কিনা সেটাই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের চেষ্টায় ক্রমশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে চোরাশিকার। আর তার মধ্যে বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে এই ২০২০ সাল।

সম্প্রতি ক্রুগার ন্যাশানাল ফরেস্টে দেখা গিয়েছে প্রায় উৎসবের মেজাজ। ২০২০ সালের প্রথম ৬ মাসে সেখানে একটিও চোরাশিকারের ঘটনা ঘটেনি। বিগত ১০ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম। পাশাপাশি সারা দেশেই চোরাশিকারের পরিমাণ কমেছে গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫৩ শতাংশ। এমনকি হাতি শিকারের পরিমাণও কমেছে ৪০ শতাংশের বেশি। আর এর পিছনে সরকারের কড়া নীতির ভুমিকাই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

তবে দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবেশমন্ত্রী বারবারা ক্রিসি জানিয়েছেন, বিগত ৫ বছর ধরেই দেশে চোরাশিকারের গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী। চোরাশিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি জনগনের মধ্যে সচেতনতা তৈরির উপরেও জোর দিয়েছে সরকার। আর এর ফলেই বন্য প্রাণীদের সংকট অনেকটাই দূর হয়েছে। তবে ২০২০ সালে চোরাশিকারে যে রেকর্ড পরিমাণ হ্রাস ঘটেছে তার জন্য লকডাউনকেও অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন গ্রিসি। তাঁর মতে বন্য প্রাণীর দেহাংশের আন্তর্জাতিক বাজার এই সময় প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর তার ফলেই চোরাশিকারীরাও অন্য জীবিকার অনুসন্ধান করেছেন। তাই বলা যায়, ২০২০ সাল শুধু অভিশাপের বছর নয়। প্রকৃতি ও বাস্তুতন্ত্রের জন্য এই বছরটা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য একটা সময়।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
আশেপাশে চোরাশিকারি এলেই গণ্ডারদের সাবধান করে ছোট্ট এক পাখি!