গত শুক্রবারই প্রকাশিত হয়েছে জাতিসংঘের ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসন ২০২০’-এর রিপোর্ট। আর তাতেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। আন্তর্জাতিক অভিবাসনের ক্ষেত্রে পৃথিবীর মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে ভারতই। পাশাপাশি প্রবাসীদের জনসংখ্যার নিরিখেও প্রথম স্থানেই রয়েছে ভারত। ভারত থেকে পৃথিবীর প্রথম সারির দেশগুলিতে অভিবাসী এবং প্রবাসীদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে বলে জানাচ্ছে এই রিপোর্ট।
২০২০ সালে, ভিন্ন দেশে থাকা অভিবাসী ভারতীয় নাগরিক সংখ্যা ১.৮ কোটি। ভারতের পরেই অভিবাসনের নিরিখে রয়েছে মেক্সিকো ও রাশিয়া ( উভয় দেশেরই ১.১ কোটি), চিন (১ কোটি) এবং সিরিয়া (৮০ লক্ষ)। তবে ভারত থেকে সবথেকে বেশি পরিমাণ অভিবাসন লক্ষ করা গেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (৩৫ লক্ষ), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (২৭ লক্ষ) এবং সৌদি আরবে (২৫ লক্ষ)। তবে এছাড়াও ভারতীয় অভিবাসীরা ছড়িয়ে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, কুয়েত, ওমান, কাতার, পাকিস্তান এবং যুক্তরাজ্যে। চিন ও রাশিয়াতেও রয়েছে স্থানিকভাবে বিচ্ছিন্ন ভারতীয় প্রবাসীদের বাস।
২০০০ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশেই অবিশ্বাস্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে অভিবাসন। ভারতে এই ২০ বছরের মধ্যে অভিবাসীদের সংখ্যা বেড়েছে ১ কোটি। যা পরিসংখ্যানের হিসাবে সারা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। তারপরেই রয়েছে সিরিয়া, ভেনিজুয়েলা, চিন এবং ফিলিপাইনস।
অন্যদিকে অভিবাসীদের গন্তব্যের নিরিখে প্রথম স্থানেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সব মিলিয়ে ২০২০ সালে সেখানে রয়েছেন ৫ কোটি ১০ লক্ষ ভিনদেশীয় অভিবাসী। যা পৃথিবীর মোট অভিবাসনের ১৮ শতাংশের সমান। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জার্মানি (১.৬ কোটি)। গত এক দশকের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী অভিবাসনের সংখ্যা ২২.১ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে ২৮.১ কোটি। অর্থাৎ, এই বৃদ্ধির শতকরা পরিমাণ প্রায় ২৮ শতাংশ। যদিও করোনার কারণে অভিবাসনের বৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে প্রায় ২ শতাংশ।
বর্তমানে ১৭৯টি দেশ থেকেই উঠে আসছে অভিবাসনের ঘটনা। তবে ভারতের ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ এই অভিবাসন নিয়েই উঠছে একাধিক বিতর্ক। প্রশ্নচিহ্নের মুখে দেশের পরিকাঠামো এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। তবে কি উপযুক্ত শিক্ষাক্ষেত্র কিংবা কর্মস্থলের অভাবই বুদ্ধিমত্তায় এগিয়ে থাকা ভারতীয়দেরই ঠেলে দিছে অভিবাসনের দিকে? উত্তর অধরাই...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
অভিবাসীদের ন্যূনতম স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতেও ব্যর্থ ভারত, জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক রিপোর্ট