রাত যতই গভীর হয়, ভোরের আলো তো ততই কাছাকাছি আসে। বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়ন আর জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে দুশ্চিন্তা তো রোজ একটু একটু করে বাড়ছেই। সেই দুশ্চিন্তাকে উস্কে দিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন প্রাকৃতিক দুর্ঘটনার খবর। কিন্তু এর মধ্যেই দেখা যাচ্ছে আশার আলো। আশার আলো দেখাচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির রিপোর্ট।
গত ৩০ বছরে সারা পৃথিবীতে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। নব্বইয়ের দশকের তুলনায় বৃদ্ধির হার একটু একটু করে কমলেও প্রতি বছরই বেড়েছে কার্বন নিঃসরণ। কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে সারা পৃথিবীতে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ ৩৩ বিলিয়ন মেট্রিক টন। মোটের উপর যা ২০১৮-র সমান। এমনটা যদিও ভাবতে পারেননি কেউই। আইইএ'র ডিরেক্টর ফতি বায়রল তাই মনে করছেন, এই রিপোর্ট নিঃসন্দেহে আশার আলো দেখাচ্ছে। তবে কার্বন নিঃসরণের এই পরিমাণ যেন আগামীতে রেকর্ড হিসাবে বিবেচিত হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
বিশ্বজুড়ে গ্রিনহাউস গ্যাসের দাপটে রাশ টানতে গেলে আগামী দশ বছরে প্রত্যেক বছর ৭.৬ শতাংশ হারে নিঃসরণ কমাতে হবে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি উন্নত দেশগুলির উৎপাদন ব্যবস্থায় তাই পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে। ফলে উননয়নশীল দেশগুলিতে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ বাড়লেও, তা অন্যদিকে পুষিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশেও দেখা যাচ্ছে, মোটের উপর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চাহিদা কমছে। বিকল্প শক্তি উৎসের দিকেই জোর দিচ্ছেন আজকের ইঞ্জিনিয়াররা। ফলে খুব শিগগিরি জলবায়ু পরিবর্তনে রাশ টেনে ধরা যাবে, এই আশা করাই যায়।