একদিকে করোনা ভাইরাস আর অন্যদিকে লকডাউন পরবর্তী অর্থনৈতিক দুরবস্থা, অন্যান্য দেশের মতোই এই দুই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে ভারতও। আর তার মধ্যেই আরেক সমস্যার মুখে বিপন্ন মানুষের জীবন এবং অর্থনীতি দুইই। সমস্যাটা অতি পরিচিত, বায়ু দূষণ। হ্যাঁ, এই পরিস্থিতিতে দিল্লি সহ দেশের প্রথম সারির শহরগুলির সামনে আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ বায়ু দূষণ। এমনটাই জানাচ্ছে গ্রিনপিস ইন্ডিয়ার সমীক্ষা।
লকডাউনের ফলে দূষণের মাত্রা কিছুটা কমবে, এমনটাই আশা করেছিলেন অনেকে। বেশ কিছু প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও বিপদের যথেষ্ট কারণ থেকে গিয়েছে বলেই দেখা গেল বর্তমান সমীক্ষায়। আইকিউ-এয়ার এয়ারভিজুয়াল এবং গ্রিনপিস ইন্ডিয়া নামের দুটি সংস্থা একসঙ্গে চালিয়েছে সমীক্ষার কাজ। আর তাতে দেখা গিয়েছে শুধু দিল্লি শহরেই এই বছরের জুন পর্যন্ত বায়ু দূষণের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২৪ হাজার জন মানুষ। সেইসঙ্গে অর্থনীতিতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে দূষণ। শহরের মোট জিডিপির ৫.৮ শতাংশই নষ্ট হয়েছে বায়ু দূষণ আটকাতে। এই বিপুল পরিমাণ খরচ ইতিপূর্বে কোনো শহরের হয়নি। ফলে আশঙ্কা আরও অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
প্রায় একই অবস্থা মুম্বই শহরেরও। সেখানেও এই বছরের শুরু থেকে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ বায়ু দূষণের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। এবং অর্থনীতির ক্ষতিও বেশ উদ্বেগজনক। দেশের প্রতিটা বড় শহরের বাতাসেই পিএম ২.৫ এবং নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে। আর বর্তমানে দেশের অর্থনীতি যে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির উপরেই নির্ভর করতে হবে বলে জানিয়েছেন গ্রিনপিস ইন্ডিয়ার সদস্য অবিনাশ চঞ্চল।
Powered by Froala Editor