ফিরে দেখা ২০২০ : পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন যেসব কিংবদন্তি (জাতীয় ও আন্তর্জাতিক)

/২৪

২০২০-র আর কটা মাত্র দিন বাকি। এই একটি বছর যেন প্রিয় মানুষদের থেকে আরও দূরে সরিয়ে দিয়েছে আমাদের। করোনা অতিমারি দেখিয়েছে লাখো মানুষের মৃত্যুমিছিল। সেইসঙ্গে ভারত ও বিশ্বের সংস্কৃতিমহলেও নেমে এসেছে এক অদ্ভুত শূন্যতা। প্রহরের পাতাতেই দেখেছেন এই বছরে প্রয়াত বিশিষ্ট বাঙালিদের তালিকা। এবার রইল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের সেইসব ব্যক্তিত্বের কথা, যাঁরা নিজেদের কাজ, অবদান রেখে চলে গেলেন চিরকালের জন্য। আসুন দেখে নেওয়া যাক এক ঝলক -

/২৪

কোবে ব্রায়ান্ট (২৬ জানুয়ারি) ২০২০-র শুরুর সময়। আর তখনই ভেসে এল এমন খবর। কোবে ব্রায়ান্ট চলে যাবেন, তাও এত তাড়াতাড়ি, কেউ ভাবতেও পারেননি। বাস্কেটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড় নিজের ১৩ বছরের মেয়ের সঙ্গে হেলিকপ্টারে করে যাচ্ছিলেন। এবং, প্রবল কুয়াশার কারণে দিকভ্রষ্ট হয়ে যায় সেই হেলিকপ্টার। পরে ভেঙেও পড়ে। কপ্টারে থাকা সবাই মারা গিয়েছিলেন সেই দুর্ঘটনায়। খবরটি সামনে আসতেই, ভেঙে পড়ে ক্রীড়াজগত। কোবে ব্রায়ান্ট, চিরবিদায়…

/২৪

জিন ডিচ (১৬ এপ্রিল) কথায় বলে, স্রষ্টার পরিচয় তাঁর সৃষ্টি দিয়ে। আর সেই সৃষ্টি যখন ইতিহাসের অঙ্গ হয়ে যায়? জিন ডিচের হাত ধরেই গোটা বিশ্ব চিনেছিল ‘টম অ্যান্ড জেরি’-কে। ইঁদুর-বিড়ালের সেই মজাদার খুনসুটিকে রূপ দিয়েছিলেন জিন। তাঁর পরিচালনাতেই তৈরি হয়েছিল এই কালজয়ী অ্যানিমেশন সিরিজের। নিজের কাজের জন্য অস্কারও পেয়েছিলেন। সেই জিন ডিচই চলে গেলেন ৯৫ বছর বয়সে।

/২৪

ইরফান খান (২৯ এপ্রিল) ‘সালাম বোম্বে’ থেকে ‘আংরেজি মিডিয়াম’— ইরফান খান মানেই পর্দায় তরতাজা হাওয়া। তাঁর চোখ যেন সবকিছু বলে দিয়ে যায়। ২০১৮ সালে যখন বিরল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান তিনি, গোটা ভারত প্রায় থমকে গিয়েছিল। বিদেশে গিয়ে চিকিৎসাও করাচ্ছিলেন; কিন্তু থেমে ছিল না অভিনয়। ইরফানের অকস্মাৎ চলে যাওয়ার খবর যেন মানতেই পারছিলেন না কেউ। আজও মনে হয়, ইরফান আছেন। মারাত্মকভাবে আছেন।

/২৪

ঋষি কাপুর (৩০ এপ্রিল) বাবা রাজ কাপুর, দাদু পৃথ্বীরাজ কাপুর। তাতে কি! তিনিও তো ঋষি কাপুর। বলিউডের আঙিনায় ষাট-সত্তরের দশক থেকে যিনি রাজত্ব করে এসেছেন। ‘ববি’ থেকে ‘দামিনী’— বলিউডের রোম্যান্টিক হিরোর চরিত্রে বারবার নজর কেড়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। সেই খবর বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমের সামনেও আসছিল। কিন্তু এরকম হঠাৎ করেই চলে যাবেন, সেটা কে জানত! তাও ইরফান খানের মৃত্যুর পরের দিনই!

/২৪

ওয়াজিদ খান (১ জুন) সাজিদ-ওয়াজিদ – এই শতকের শুরু থেকেই বলিউডে নিজেদের ছাপ রেখেছেন এই জুটি। আর ২০২০-তে সেই জুটিই ভেঙে গেল। ‘প্যায়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া’ থেকে ‘দাবাং ৩’, সমস্ত হিট ছবিতে সুর দিয়ে গেছেন ওয়াজিদ খান। সলমন খানের সঙ্গেই বেশিরভাগ কাজ করেছিলেন তিনি। ২০১৯-এ কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট হওয়ার পরই একটু দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। এই বছরে শরীরে বাসা বাঁধল করোনা ভাইরাস। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরের দিনই ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে মাত্র ৪২ বছর বয়সেই চলে গেলেন ওয়াজিদ খান।

/২৪

সুশান্ত সিং রাজপুত (১৪ জুন) কী করে তাঁর মৃত্যু- তা নিয়ে এখনও বিতর্ক জারি আছে গোটা ভারতে। ১৪ জুন নিজের বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় এই অভিনেতার দেহ। ছোটোপর্দা থেকে শুরু; ধীরে ধীরে নিজের অভিনয়ের জোরে বলিউডের মাটিতে জায়গা করে নেন। বিজ্ঞানের একনিষ্ঠ ছাত্র সুশান্ত সিং রাজপুতের এই আকস্মিক মৃত্যু এখনও অনেকেই মানতে পারেন না। তাঁর চলে যাওয়া যেমন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, তেমনই শূন্য করে দিয়েছে বলিউডের আসন…

/২৪

সরোজ খান (৩ জুলাই) বলিউডের কিংবদন্তি নৃত্য-পরিচালকদের কথা এলে, সরোজ খানকে অস্বীকার করা যাবে না। ‘মিঃ ইন্ডিয়া’, ‘চাঁদনী’, ‘তেজাব’, ‘থানেদার’— সরোজ খানের জাদু ছড়িয়ে আছে সমস্ত জায়গায়। বলা ভালো, বলিউডের প্রথম মহিলা নৃত্য-পরিচালক তিনি। তাঁর হাত ধরে একটা ইতিহাস তৈরি হল সিনেমার জগতে। ‘মাস্টারজি’র মৃত্যু বলিউডের নাচের জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি।

/২৪

নিশিকান্ত কামাট (১৭ আগস্ট) টাব্বু, অজয় দেবগন অভিনীত ‘দৃশ্যম’ সিনেমার কথা মনে আছে নিশ্চয়ই! সিনেমার বিষয়, অভিনয় এবং পরিচালনায় মুগ্ধ হয়েছিলেন সমালোচক থেকে দর্শক। মুগ্ধ হয়েছিলেন নিশিকান্ত কামাটের কাজ দেখে। ‘মুম্বই মেরি জান’, ‘মাদারি’-র মতো সিনেমা যেমন উপহার দিয়েছেন, তেমনই ‘ড্যাডি’র মতো সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন। মারাঠি এবং হিন্দি সিনেমায় অচিরেই নিজের জায়গা তৈরি করেছিলেন। মাত্র ৫০ বছর বয়সে তাঁর চলে যাওয়া মানতে পারেননি কেউই।

১০/২৪

পণ্ডিত যশরাজ (১৭ আগস্ট) বলা যেতে পারে, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের দুনিয়ায় ইন্দ্রপতন। সরস্বতীর সাধনায় নিজের জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন পণ্ডিত যশরাজ। বয়স ৯০-এর কোঠায় পৌঁছলেও সমানে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম দিয়ে যেতেন ছাত্রছাত্রীদের। তাঁর ঠুমরী, খেয়ালের কাছে আজও মাথা নত হয়ে যায় আমাদের। সশরীরে না থাকলেও, তাঁর সাধনা, তাঁর নিষ্ঠা আর সঙ্গীত আমাদের সঙ্গে থেকে যাবে, সবসময়…

১১/২৪

চ্যাডউইক বোসম্যান (২৮ আগস্ট) এই নামটা শুনলে একটি কথাই মাথায় আসে- ‘ওয়াকান্ডা ফরেভার’। মারভেলের সুপারহিরো চরিত্র ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’-কে রক্তমাংসের রূপ দিয়েছিলেন চ্যাডউইক বোসম্যান। হয়ে উঠেছিলেন বর্ণবিদ্বেষ-বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ। দীর্ঘদিন ধরে কোলন ক্যানসারে ভুগছিলেন চ্যাডউইক। মারণ ক্যানসারই কেড়ে নিল ওয়াকান্ডার রাজাকে। আর আমরাও হারালাম আমাদের প্রিয় ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’-কে।

১২/২৪

ডিন জোনস (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রথমে ক্রিকেট খেলোয়াড়, তারপর ধারাভাষ্য এবং ক্রিকেট-বিশেষজ্ঞ। ডিন জোনস শুধু অস্ট্রেলিয়ার নয়, গোটা বিশ্বের বিখ্যাত মুখ। মনে পড়ে, ১৯৮৬ সালে ভারত সফরের সেই বিখ্যাত ২১০ রানের ইনিংসের কথা। অসুস্থ থেকেও, ওই পিচে দাঁত কামড়ে পড়ে থেকেছেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের হল অফ ফেমেও জায়গা পেয়েছেন পরে। ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু এখনও মানতে পারেন না ক্রিকেটপ্রেমীরা।

১৩/২৪

এস পি বালাসুব্রামণিয়াম (২৫ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণী ছবি থেকে বলিউড— এস পি বালাসুব্রামণিয়াম মানেই সুরের ঝর্ণা। তাঁর গাওয়া গান আজও লোকের মুখে মুখে ঘোরে। আগস্ট মাসের গোড়াতেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল লড়াইটা। কিংবদন্তি এই শিল্পী যাতে করোনাকে জয় করে ফিরে আসেন, সেই প্রার্থনাই করছিল গোটা দেশ। কিন্তু, ৫২ দিনের লড়াই শেষ করে চিরবিদায় নিলেন এস পি। আবারও অন্ধকার সিনেমার জগতে…

১৪/২৪

যশবন্ত সিং (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রথমে ছিলেন ভারতীয় সেনার একজন সৈনিক। অংশ নিয়েছিলেন ’৬৫-র যুদ্ধেও। পরবর্তীকালে পা দেন রাজনীতির অঙ্গনে। ১৯৮০ থেকে ২০১৪— এই সুদীর্ঘ সময় ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রের অংশ হয়েছিলেন যশবন্ত সিং। অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকারের বিদেশমন্ত্রক, অর্থমন্ত্রক, প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দায়িত্বও পালন করেছিলেন। ২০১৪ সাল থেকেই কোমায় আচ্ছন্ন ছিলেন। এই বছর সেই কষ্ট থেকে মুক্তি পেলেন চিরকালের জন্য।

১৫/২৪

কে সি শিবশঙ্করন (২৯ সেপ্টেম্বর) ‘আর্টিস্ট শঙ্কর’ নামেই গোটা দেশে খ্যাতি পেয়েছিলেন ইনি। মনে পড়ে ছোটবেলার বিখ্যাত ছোটদের পত্রিকা ‘চাঁদমামা’-কে? কিংবদন্তি এই পত্রিকা তাঁর রঙের ছোঁয়াতেই জীবন্ত হয়ে উঠত। চাঁদমামা’র বিক্রম-বেতাল সিরিজে তাঁর আঁকা ছবিগুলি আজও জনপ্রিয়। ধীরে ধীরে আঁকার জগতে অন্যতম নাম হয়ে উঠলেন শঙ্কর। এই বছর তাঁকেও কেড়ে নিল, ৯৬ বছর বয়সে…

১৬/২৪

আক্কিতম অচ্যুতম নাম্বুথিরি (১৫ অক্টোবর) সমাজের তথাকথিত ‘নিচু জাত’ হওয়ায় সংস্কৃত পড়তে দেওয়া হয়নি তাঁকে। পরবর্তীতে সেই সংস্কৃত শিখে বিভুন্ন গ্রন্থ মালায়ালি ভাষায় অনুবাদও করেন। মালায়ালি সাহিত্যে আক্কিতম নাম্বুথিরি এক কিংবদন্তি নাম। তাঁকেই ওই ভাষার প্রথম আধুনিক কবি বলা হয়। এই বছরই ৯৪ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। এবং দুমাস পরেই তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় ‘জ্ঞানপীঠ পুরস্কার’…

১৭/২৪

শন কনারি (৩১ অক্টোবর) তিনি আমাদের সবার বন্ড। পৃথিবীর প্রথম ‘জেমস বন্ড’। ১৯৬২-তে ‘ডঃ নো’-এর হাত ধরে প্রথমবার সামনে এল এই গোয়েন্দা চরিত্রটি। এবং তৈরি হল ইতিহাস। যার অংশীদার হয়ে রইলেন শন কনারিও। ধীরে ধীরে অভিনয়ের ভেতর দিয়েই হয়ে উঠলেন কিংবদন্তি। শন কনারির হাত ধরে জেমস বন্ড যেন আরও জীবন্ত হয়ে উঠল। তাই যখন তাঁর মৃত্যু সংবাদ এল, মানতে পারেননি অনেকে। বয়স হয়েছিল ৯০; তবুও…

১৮/২৪

আসিফ বাসরা (১২ নভেম্বর) আবারও এক প্রতিভাবান অভিনেতার আত্মহত্যার সাক্ষী থাকল বলিউড। ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ের ‘পাতাললোক’, ‘হোস্টেজ’-এর মতো জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজে সমানে অভিনয় করে গেছেন আসিফ বাসরা। এমনকি, বিদেশি সিনেমাতেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। সঙ্গে নাটক তো ছিলই। তাঁর আত্মহত্যার খবর আবারও অন্ধকার নিয়ে আসে বলিউডে। রহস্য রেখেই বিদায় নিলেন আসিফ বাসরা।

১৯/২৪

তরুণ গগৈ (২৩ নভেম্বর) ২০০১ থেকে ২০১৬— দীর্ঘ ১৫ বছর আসামের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছিলেন। জীবন শুরু হয়েছিল আইনজীবী হিসেবে; পরে রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশ করেন। কেবল মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বই নয়, পিভি নরসিমা রাওয়ের আমলে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রীও ছিলেন। উত্তর-পূর্ব ভারতে কংগ্রেস দলের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন তরুণ গগৈ। করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন; এবং তার পর থেকেই শরীর ভাঙতে শুরু করে। শেষমেশ, সব লড়াই থামিয়ে চলে গেলেন সবথেকে বেশি সময় আসামের মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকা মানুষটি…

২০/২৪

দিয়েগো মারাদোনা (২৫ নভেম্বর) ফুটবল তো বটেই, খেলার ইতিহাস এই দিনটি কোনদিনও ভুলতে পারবে না। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অতিমানবিক ফুটবল খেলেছিলেন সাড়ে পাঁচ ফুটের এই আর্জেন্টিনীয়। বিশ্ব দেখেছিল ‘হ্যান্ড অফ গড’। আর দেখেছিল দিয়েগো মারাদোনা নামের এক কিংবদন্তির উত্থান। তাঁর সম্পর্কে আর কিছু বলার প্রয়োজনও হয় না। মারাদোনা নামটিই সমস্ত আবেগের উৎস। ফুটবল ছুঁলে যিনি মানুষ থেকে ভগবান হয়ে যান। মস্তিস্কে রক্ত জমাট বেঁধে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সুস্থও হয়ে গিয়েছিলেন। তারপর… সময়টা যেন থমকে গেল। চলে গেলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রীড়া প্রতিভাদের একজন…

২১/২৪

পাওলো রোসি (৯ ডিসেম্বর) মারাদোনা চলে গেছেন প্রায় এক মাস হয়েছে। সেই শোকের আবহেই ফুটবল দেখল আরেক নক্ষত্রপতন। ১৯৮২-র বিশ্বকাপ, এবং পাওলো রোসি’র অবিশ্বাস্য পারফর্মেন্স। গোল্ডেন বুট, গোল্ডেন বল তো পেলেনই; সেইসঙ্গে ইতালিকে বিশ্বকাপও দিলেন রোসি। তাঁর নামের পাশে প্রচুর সম্মান, পুরস্কার, গোল। সব থামিয়ে দিল ফুসফুসের ক্যানসার। ৬৪ বছরেই চলে গেলেন কিংবদন্তি পাওলো রোসি।

২২/২৪

আস্তাদ দেবু (১০ ডিসেম্বর) ডিসেম্বরে এসে আবারও একজন কিংবদন্তির মৃত্যু দেখল। চলে গেলেন ভারতীয় নৃত্যজগতের কিংবদন্তি শিল্পী আস্তাদ দেবু। চিরাচরিত শাস্ত্রীয় নৃত্যশৈলীর সঙ্গে তিনিই প্রথম পাশ্চাত্য শিল্পকলাকে যোগ করলেন। তৈরি করলেন আধুনিক ধারা। আস্তাদ দেবু’র হাত ধরেই অন্য এক জগতে হাজির হল ভারতীয় নৃত্যজগত। যেমন শিখেছেন পাশ্চাত্য কনটেম্পোরারি, তেমনই শিখেছেন কত্থক ও কথাকলি। আস্তাদ দেবু’র চলে যাওয়া নিঃসন্দেহে এক বড়ো শূন্যস্থান।

২৩/২৪

কিম কি-দুক (১১ ডিসেম্বর) সিনেমা তাঁর কাছে ছিল কবিতার মতো। সব কেন বলে দিতে হবে পর্দায়? দর্শকরাও অংশ নিক তাঁর সৃষ্টিকর্মের সঙ্গে। কিম কি-দুকের সিনেমা সেই না বলা কবিতাদেরই তুলে আনে। ‘থ্রি আয়রন’, ‘সামারিটান গার্ল’, ‘ওয়ান অ্যান্ড ওয়ান’… তার সিনেমা মানেই মোহিত হয়ে যাওয়া। করোনার আঘাত তাঁর প্রাণ কেড়ে নিলেও, তাঁর সৃষ্টিকে কি শেষ করতে পারবে? কিম কি-দুক সেই মরণোত্তর শিল্পীদেরই একজন…

২৪/২৪

শামসুর রহমান ফারুকি (২৫ ডিসেম্বর) বছরের শেষে এসে সাহিত্য জগতে ঘটে গেল ইন্দ্রপতন। শামসুর রহমান ফারুকি কেবলই উর্দু ভাষার প্রবাদপ্রতিম কবি ছিলেন না, তিনি একজন সত্যদ্রষ্টা। পোস্টাল অফিসের ব্যস্ত কাজের ফাঁকেও তাকিয়ে দেখতেন চারিপাশকে। সম্পাদনা করেছেন উর্দু পত্রিকা ‘শাবখুন’। আমাদের সমাজের ছবি, নিজের জীবন সমস্ত কিছুই তুলে ধরতেন ফারুকি। মৃত্যুর মাধ্যমেই যেন কবিতার অমরত্ব পেলেন এই কবি…

Powered by Froala Editor