রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত ২২০০, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁল ৪০ হাজার

রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আকাশ ছুঁচ্ছে দিনে দিনে। গত দু’দিন রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছিলেন যথাক্রমে ১৭০০ এবং ১৯০০। শনিবার তা এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ২১৯৮। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। লকডাউন ঘোষণার পরেও এই ক্রমবৃদ্ধি আর কীভাবে রোখা যায়, তাই-ই এখন ভাবিয়ে তুলেছে সরকারি আধিকারিকদের।

শনিবার রাজ্যের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৪০ হাজারের গণ্ডি। মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৭৬। আশঙ্কা বাড়াচ্ছে পজিটিভিটি রেটও। গত একসপ্তাহে ৯ শতাংশ থেকে যা বাড়তে বাড়তে পৌঁছেছে ১৬.৩ শতাংশ। রাজ্যে এই মুহূর্তে দৈনিক পরীক্ষা হচ্ছে সাড়ে ১৩ হাজার মানুষের। টেস্ট বাড়ানোর পরেও পজিটিভ হারের বৃদ্ধি চিন্তার বড়ো কারণ। দিনে ১ লক্ষ পরীক্ষার উদ্দেশ্যে রাজ্য সুইজারল্যান্ড থেকে বিশেষ যন্ত্র আনার উদ্যোগ নিলেও, জাহাজে আসায় তা কবে এসে পৌঁছাবে — সংশয় রয়েছে সে ব্যাপারেও। অন্যদিকে ভ্যাক্সিনের আশা করাও সোনার পাথরবাটি।

সব থেকে খারাপ অবস্থা কলকাতার। শুধু কলকাতাতেই এদিন আক্রান্ত হন ৭০০ মানুষ। উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত হলেন ৫৫৪ জন। উদ্বেগ বাড়ছে উত্তরবঙ্গেও। ছয় জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট সাড়ে পাঁচশো মানুষ। যার কারণে আরও বাড়ানো হল কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। মালদার ইংরেজবাজার, মালদাটাউন এবং কালিয়াচক; উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা এবং উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি পুরসভায় নতুন করে লকডাউন শুরু করল সরকার। যা চলবে আগামী বুধবার থেকে এক সপ্তাহ। তবে আরও কঠোর হতে চলেছে নিয়মবিধি, তারই ইঙ্গিত দেন স্বরাষ্ট্রসচিব। জানান, জরুরী পরিষেবা ছাড়া সকল সরকারি, বেসরকারি অফিস, জমায়েত, পরিবহন, ব্যবসা এবং দোকানগুলিও বন্ধ রাখা হবে। কন্টেনমেন্ট জোনে বন্ধ করা হবে প্রবেশ এবং প্রস্থানও।

রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিদিন কমছে সুস্থতার হার। ৬৫ শতাংশের বেশি সুস্থতার যে হার আশা দেখাচ্ছিল, শনিবার তা পৌঁছায় ৫৮.৩ শতাংশে। এখন রাজ্যে অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। যার কারণে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে চিকিৎসা ব্যবস্থা। ক্রমে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় দেখা দিতে পারে হাসপাতালগুলিতে শয্যা-সংকট। বাড়তে পারে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গাফিলতির সম্ভাবনাও। সেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশেও এদিন নতুন করে আক্রান্ত হলেন ৩৬ হাজার মানুষ। যার ফলে মোট সংক্রমণ দাঁড়াল ১০ লক্ষ ৩৯ হাজারে। কোথায় নিয়ে যাবে পরিস্থিতি, জানা নেই কারোর।

Powered by Froala Editor

Latest News See More