শিল্প-সংস্কৃতি জগতে আবারও এক নক্ষত্রপতনের সাক্ষী থাকল ২০২০ সাল। শুক্রবার সকালেই এল দুঃসংবাদ। প্রয়াত কিংবদন্তি বাচিকশিল্পী প্রদীপ ঘোষ। সকাল ৬টার কিছু পরে যোধপুর পার্কে নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, বিগত এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। এরপর করোনা পরীক্ষা করা হলে সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। যদিও জ্বর ছাড়া অন্য কোনো উপসর্গ দেখা দেয়নি তাঁর শরীরে। কিন্তু ৭৮ বছরের শরীর ভাইরাসের আক্রমণ সহ্য করতে পারেনি।
সরকারি চাকরি সামলেও বারবার সংস্কৃতি জগতে ফিরে ফিরে এসেছেন প্রদীপ ঘোষ। তাঁর ভরাট গলায় ফুটিয়ে তুলেছেন অসংখ্য কবিতার আবেদন। সবসময় ভয় পেতেন স্মৃতি বুঝি বিশ্বাসঘাতকতা করবে। কবিতা আবৃত্তি করার সময় তাই দেখে পড়তেন। গতানুগতিক নিয়মে এমনটা চলে না। কিন্তু সেই নিয়ম ভাঙাকেই নিজের গুণে সুন্দর করে তুলেছেন প্রদীপ ঘোষ।
বাচিকশিল্পী অঞ্জন বিশ্বাসের কথায়, “আমাদের কামাল পাশা চলে গেলেন।” কাজি নজরুলের ‘কামাল পাশা’, ‘আমার কৈফিয়ত’, বুদ্ধদেব বসুর ‘জোনাকি’ সহ বেশ কিছু কবিতার জন্য চির স্মরণীয় প্রদীপ ঘোষ। মঞ্চ ভাগ করে নিয়েছেন কবিপুত্র কাজি সব্যসাচীর সঙ্গেও। ২০১৭ সালে পেয়েছেন কাজি সব্যসাচী নামাঙ্কিত পুরস্কার।
আরও পড়ুন
প্রয়াত জ্ঞানপীঠ-জয়ী ‘মহাকবি’ আক্কিথাম আচুথান, অভিভাবকহীন মালায়ালম সাহিত্য
শুধুই শিল্পী হিসাবে নয়, মানুষ হিসাবেও অনন্যতার নজির রেখেছেন প্রদীপ ঘোষ। অঞ্জন বিশ্বাসের কথায়, “আমরা যাঁরা তাঁর কনিষ্ঠ, আমরা কোনোদিন তাঁর ভালোবাসা আর উৎসাহ থেকে বঞ্চিত হইনি। সবাইকে নিয়েই দিব্যি মিলেমিশে থাকতেন তিনি। ওনার মতো বড় মনের হাসিখুশি মানুষ খুব কমই দেখেছি। শ্রোতাদের পাশাপাশি সমালোচকদেরও প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। ২০১৭ সালে পেয়েছেন সব্যসাচী পুরস্কার। প্রদীপ ঘোষের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বাংলার সংস্কৃতি জগৎ।
আরও পড়ুন
ভারতের প্রথম অস্কার বিজয়ী তিনিই, ৯১ বছর বয়সে প্রয়াত ভানু আথাইয়া
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
প্রয়াত সত্যজিৎ রায়ের সহকারী পরিচালক রমেশ সেন, দীর্ঘ ৭ দশকের অধ্যায়ে ইতি