বাংলার সঙ্গে মাছের সম্পর্ক হাজার দুয়েক বছরের কম নয়। চন্দ্রকেতুগড়ে মাছের ছবি খোদাই করা ফলক মিলেছে। ফলকটার বয়স সতেরোশো বছরের কম নয়। মাছের প্রেমে বাঙালি এমনই বুঁদ, যে এদেশের বামুনরাও মাছ খাওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। দশম-একাদশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের অন্যতম স্মৃতিকার ভবদেব ভট্টর কথাই স্মরণ করা যেতে পারে। এহেন বাঙালির হেঁসেল জুড়ে মাছের হাজারো পদ। কোনওটা স্বাদু জলের, কোনওটা নোনতা। আজ থাকল পমফ্রেট মাছের একটা রেসিপি। পমফ্রেট মাছের নরম কাঁটা, অসামান্য স্বাদকে আরো বাড়িয়ে দেবে ঝাল-ঝাল, জিভে জল আনা এই পদ। পদের নাম দেওয়া যাক তেল-পমফ্রেট বাহার।
কী কী লাগবে?
বড়ো পমফ্রেট- ৪টে (ছোটো হলে ৬টা)
শুকনোলঙ্কা বাটা- দেড় চামচ
ধনেবাটা- দেড় চামচ
জিরেবাটা- এক চামচ
টমেটো কুচি- ২টো ছোটো
গোটা জিরে- সামান্য
গরম মশলা গুঁড়ো- সামান্য
গোটা কাঁচালঙ্কা- ৩টে
তেজপাতা- ২টো
সরষের তেল, নুন ,চিনি, হলুদ, জল পরিমাণমতো।
কীভাবে রাঁধবেন?
- ৬টা শুকনো লঙ্কা গরম জলে আধঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ভালো করে শিলে বেটে নিন।
- জিরে ও ধনে শিলে বেটে নিন।
- মাছগুলো ভালো করে ধুয়ে নুন-হলুদ মাখিয়ে ভালো করে ভেজে তুলে নিন।
- ওই কড়াইয়ে প্রয়োজনমতো তেল দিন, গরম হলে জিরে ফোড়ন দিন।
- এরপর সমস্ত বাটা মশলাগুলো ও মশলা ধোয়া জল দিয়ে কষান দু-তিন সেকেন্ড।
- টমেটোকুচি দিয়ে দিন ও নাড়ুন।
- টমেটো সিদ্ধ হয়ে এলে নুন ও চিনি দিন প্রয়োজনমতো এবং কষান তেল বেরিয়ে আসা পর্যন্ত।
- এক কাপ জল দিন।
- ঝোল ফুটে উঠলে মাছ গুলো দিয়ে দিন ও মিনিট দুই ঢাকা চাপা দিন।
- ২ মিনিট পর ঢাকা তুলে মাছগুলো উল্টে আরো মিনিট দুই রাখুন।
- তারপর গরম মশলাগুঁড়ো দিন ও তেজপাতা আগুনে সেঁকে দিয়ে গ্যাস বন্ধ করুন।