শীতের পাতে মিষ্টিমুখ হোক কড়াইশুঁটির সন্দেশে

এখনও শীত পড়েনি এ রাজ্যে। শীতের আর দোষ কী! গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর ধাক্কায় সমুদ্র ফুটছে। সমুদ্র ফুটলে নিম্নচাপ হবেই। নিম্নচাপের ফলায় উত্তুরে হাওয়া ভ্যানিশ। শীত এখন অনেকটা উল্কাপাতের মতো ব্যাপার। ঐ যে এল, তারপরেই হুউশ… তবু, শীত এলে আমাদের মনে রঙ লাগে। লেপ, কাঁথা, চাদর, নানা রঙের সোয়েটার বেরোয়। আর বাজারে আসে নলেন গুড়, শীতের সবজি। শীত মানেই নলেন গুড়ের রসগোল্লা, মাখা সন্দেশ আর মোয়া। তবে, শীতের মিষ্টি আর শীতের সবজির মধ্যেও যদি একটা সেতু বোনা যেত, মন্দ হত না।

এই যেমন কড়াইশুঁটির সন্দেশের কথাই ধরুন। যাকে বলে খাঁটি সবুজ মিষ্টি। বাড়িতে অতিথি এল। আপনি তাঁকে আপ্যায়ন করলেন কড়াইশুঁটির কচুরি আর আলুরদম দিয়ে। তারপর শেষ পাতে কড়াইশুঁটিরই সন্দেশ। এই সন্দেশের রূপেই বারো আনা মুগ্ধ হয়ে যাবেন সবাই, বাকি চার আনা বোনা হয়ে যাবে স্বাদে। তাহলে রেসিপিটা দেখে নেওয়া যাক।

কী কী লাগবে?

কড়াইশুঁটি- ১৫০ গ্রাম
ক্ষোয়া ক্ষীর- ১০০ গ্রাম
চিনি- ৭৫ গ্রাম
আমন্ড বাদাম- ৮-১০টা
গুঁড়োদুধ- ২ চামচ
ঘি- ৪ চামচ
কনডেন্সড মিল্ক- ৫ চামচ
এলাচগুঁড়ো- সামান্য

কীভাবে রাঁধবেন?

১। কড়াইশুঁটিগুলো ছাড়িয়ে প্রথমে গরম জলে সিদ্ধ করে নিন।
২। মিক্সারে বা শিলনোড়াতে প্রয়োজনমতো জল যোগ করে পিষে নিন।
৩। একটি কড়াইয়ে তিন চামচ ঘি গরম করে কড়াইশুঁটির বাটাটা দিয়ে অন্তত মিনিট পনেরো ভালো করে নাড়তে থাকুন।
৪। খোয়া ক্ষীর দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
৫। গুঁড়ো দুধ আর কনডেন্সড মিল্ক ভালো করে মেশান।
৬। চিনি ও এলাচগুঁড়ো যোগ করুন ও নাড়তে থাকুন।
৭। সবটা মিশে গেলে গ্যাস বন্ধ করে নামিয়ে নিন ও সামান্য ঠান্ডা হতে দিন।
৮। একটি থালায় ঘি মাখিয়ে মিশ্রণটি হাত দিয়ে সমান করে দিন।
৯। উপর দিয়ে আমন্ড কুচি করে কেটে ফ্রিজে দুই ঘণ্টা রেখে দিন।
১০। ঠান্ডা হলে যেমন খুশি আকার দিন ও পরিবেশন করুন।