শীতকাল কবে আসবে জানা নেই, দই-ফুলকপির যুগলবন্দি আসুক পাতে

রোদটা ঘুরতে শুরু করেছে। রাতে গায়ে উঠে আসছে পাতলা চাদর। শহরে ঘাস নেই। ফলে হিম পায়ের পাতা ভেজায় না। ভূ-ঊষ্ণায়নের বাজারে শীত আসুক বা নাই আসুক, বাজারে শীতের সবজি আসা শুরু হয়ে গেছে। শীত মানেই ফুলকপি। বাংলার হেঁশেলে ফুলকপির হাজারো পদ। তারমধ্যে একটার কথাই বলব আজ।

এই পদে ফুলকপি মূল ভূমিকায় ঠিকই, কিন্তু তাকে সঙ্গত করছে টক দই। স্বাদে অসামান্য এই পদ জমিয়ে রাঁধতে পারলে প্রেমে পড়ে যাবে সবাই। শীত-শীত ভাব বাতাসে ভাসছে, তার উদযাপন শুরু হোক দই-ফুলকপি দিয়েই।

কী কী লাগবে?

ফুলকপি- ১টা বড় (ছোট ছোট টুকরোয় কাটা)
আলু- ১টা মাঝারি (ছোট ছোট টুকরোয় কাটা)
টক দই- ১০০ গ্রাম
আদাবাটা- দেড় চামচ
জিরেবাটা- ১ চামচ
কোরানো নারকেল- দু’ চামচ
হলুদ গুঁড়ো- ১ চামচ
ধনেগুঁড়ো- ১ চা-চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো- হাফ চামচ
এলাচ- ২টো
তেজপাতা- ১টা
কাঁচালঙ্কা- ৩টে
জল- এক কাপ
সরষের তেল, নুন, চিনি পরিমাণমতো

কীভাবে রাঁধবেন?

১। ফুলকপিগুলোকে গরম জলে প্রথমে পনেরো মিনিট ভাপিয়ে নিন। তারপর ঠান্ডা হতে দিন।
২। দই ভালো করে ফেটিয়ে নিন।
৩। ঠান্ডা হলে ফুলকপিগুলোতে ভালো করে নুন হলুদ মাখিয়ে রাখুন।
৪। কড়াইতে তেল দিন বেশ কিছুটা, তেল ভালোমতো গরম হলে ফুলকপিগুলো হালকা বাদামি করে ভেজে তুলে নিন।
৫। আলুগুলোও ভেজে তুলে নিন।
৬। ওই তেলেই এলাচ, তেজপাতা ফোড়ন দিন।
৭। আদাবাটা দিয়ে কয়েক সেকেন্ড নেড়ে নারকেল চিনি ও নুন দিয়ে কয়েক সেকেন্ড ভালো করে নেড়ে হলুদ ও ধনেগুঁড়ো দিয়ে দিন।
৮। মশলাধোয়া জলটা দিয়ে দিন।
৯। তেল বেরিয়ে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
১০। তেল বেরিয়ে এল ফেটানো দইটা আস্তে আস্তে ঢালুন ও ক্রমাগত নাড়তে থাকুন।
১১। সবটা ভালো ভাবে মিশিয়ে দু’মিনিট মতো রেখে জল দিন।
১২। ঝোল ফুটে উঠলে কাঁচালঙ্কা আলু ও ফুলকপিগুলো দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন অন্তত দশ মিনিট।
১৩। ঢাকা তুলে ফের একবার সবটা নেড়ে গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে ঢাকা দিয়ে গ্যাস বন্ধ করুন।

Latest News See More