একের পর এক বিপদের মুখে পড়ছে ইয়েস ব্যাঙ্ক। ইতিমধ্যেই তাদের পুঁজির অবস্থা ভালো না। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই বেসরকারি ব্যাঙ্কের ওপর নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে, পরিস্থিতি রীতিমত সঙ্গিন।
আরও পড়ুন
ইতালীয় স্থাপত্যের ছোঁয়া সর্বত্র, কলকাতার এই বাড়িতেই ছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়
বিগত দুই বছর ধরে টালমাটাল অবস্থার মুখে পড়েছে ইয়েস ব্যাঙ্ক। কোম্পানির মূলধন থেকে পরিচালন ব্যবস্থা- সমস্ত কিছুই সমস্যার মুখে পড়েছিল। পুঁজি আসার রাস্তাও ভেঙে পড়ছিল একে একে। তার সরাসরি প্রভাব পড়ে সংস্থার শেয়ার বাজার সূচকে। এরকম অবস্থাতেই পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক-সহ অন্যান্য সংস্থাগুলি। ইয়েস ব্যাঙ্কের সিইও-র পদও পরিবর্তিত হয় এর মধ্যে। কিন্তু বারংবার চেষ্টাতেও পুঁজি আসছিল না।
আরও পড়ুন
সারা মাসে ব্যাঙ্ক থেকে তোলা যাবে মাত্র ১০০০ টাকা, আরবিআই-এর নয়া বিজ্ঞপ্তি
শেষ পর্যন্ত এই ব্যাঙ্ককে বাঁচাতে সরাসরি আসরে নামল ব্যাঙ্কিং সেক্টরগুলো। বৃহস্পতিবার সন্ধেতেই নতুন নির্দেশ জারি করে আরবিআই। তাঁরা জানান, আপাতত আমানতকারীরা ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অঙ্ক তুলতে পারবেন না। আগামী এক মাসের জন্য বেসরকারি ব্যাঙ্কটির গভর্নিং বডিকেও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই এক মাস সংস্থাটি কোনো ঋণ দিতে পারবে না কাউকে। অর্থাৎ, যতটা সম্ভব পুঁজি বাঁচানো যায়। এছাড়াও, মূলধন সংগ্রহের জন্য স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বাধীন ছ’টি সংস্থার একটি বিশেষ টিম তৈরির প্রস্তাবও কেন্দ্রের কাছে রাখা হয়েছে। আপাতত গ্রাহকদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে আশ্বাস দিয়েছেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
আরও পড়ুন
জালিয়াতি রুখতে বদলে যাচ্ছে এটিএমে টাকা তোলার নিয়ম-কানুন, জেনে নিন
এই মুহূর্তে ভারতীয় অর্থনীতির অবস্থা সংকটজনক। বিগত বেশ কয়েক মাসে বারবার বেড়েছে জিনিসপত্রের দাম। জিডিপি বৃদ্ধির হারও ক্রমশ তলানির দিকে। ব্যাঙ্কিং সেক্টরের অবস্থাও যে খুব ভালো না, সেই খবর বিগত বছরগুলোতে দেখেছি আমরা। তার মধ্যেই ১৫ বছরের পুরনো ইয়েস ব্যাঙ্কের এহেন হাল দুশ্চিন্তায় ফেলেছে সবাইকে। এর ভবিষ্যৎ কী, আদৌ অবস্থা ফিরবে কিনা, এটাই এখন প্রধান মাথাব্যাথার কারণ কর্মী ও গ্রাহকদের।