২০১৯-এর গ্রীষ্ম। সমস্ত খবরের হেডলাইন হয় চেন্নাই। কারণ, সেখানকার তীব্র জলাভাব। বহু জলাশয়, ভূগর্ভস্থ জল প্রায় শুকিয়ে যায়। কিন্তু এই অবস্থার মধ্যেও নিশ্চিত থাকেন চেন্নাইয়ের যশবন্ত সিং। তাঁর ছোট্ট ‘সবুজ’ ঘর এই জল সমস্যার মুখোমুখি হয়নি। ভরপুর জল ছিল সেখানে। কী করে হল এমন মিরাকল?
উত্তরে সামান্য হেসে যশবন্ত দৃষ্টি দেন তাঁর মোগাপ্পায়ারের ‘সবুজ’ ঘরের দিকে। দীর্ঘ ৩৫ বছরের পরিশ্রমের ফসল যে জায়গা। প্রায় ১০ হাজার স্কোয়ার ফুটের বিশাল জায়গা জুড়ে তিনি গড়ে তুলেছেন তাঁর নিজস্ব জঙ্গল। কী না নেই সেই জঙ্গলে! ব্রহ্মকমল, থিল্লাই-সহ ভারতের সবচেয়ে দুষ্প্রাপ্য গাছগুলিও এখানে যত্ন করে সংরক্ষণ করেছেন ৫৮ বছর বয়সি এই সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। ৩৫০টিরও বেশি প্রজাতির গাছ রয়েছে এখানে। সমস্ত গাছের গুণাবলি, বিশেষ বৈশিষ্ট্য, আরও নানা তথ্য নখদর্পণে থাকে তাঁর।
এই মুহূর্তে গাছ লাগানোর প্রয়োজনীয়তা কতটা, পরিবেশবিদরা আমাদের বুঝিয়ে যাচ্ছেন প্রতি মুহূর্তে। সেই ব্যাখ্যারই হাতে কলমে ফল পেয়েছেন যশবন্ত সিং। গোটা চেন্নাই যেখানে জলকষ্টে ভুগেছে, সেই সময় ভরপুর জল ছিল তাঁর এই জায়গায়। মাটির নিচে জলের অভাব হয়নি একবারও। এমনকি, পড়শিদেরও সেই জল দিয়ে সাহায্য করেছেন তিনি। ২০১৬-এর সাইক্লোনের সময়ও রক্ষা পেয়েছিল এই জায়গা। এত সংখ্যক গাছ থাকার ফলেই সেটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন যশবন্ত। অন্যান্য জায়গাতেও যদি ব্যাপক গাছ লাগানো শুরু হয়, তাহলে এই জলকষ্টের হাত থেকে রেহাই মিলবে।