ঢাকার রমনা কালীমন্দির উন্নয়নে ৭ কোটি টাকা অনুদান ভারতের

ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম বিখ্যাত তীর্থস্থান ঢাকার রমনা কালীমন্দির। অনুমান করা হয়, প্রায় এক হাজার বছরেরও পুরনো এই মন্দির। তবে মূল মন্দিরটির বয়স ২০০ বছরের বেশি ছিল না। ১৯৭১ সালে প্যাক হানাদার বাহিনী মন্দিরটি ডিনামাইট দিয়ে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে। ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় প্রাচীন স্থাপত্য। হত্যা করা হয় পুরোহিত-সহ শতাধিক লোককে। এর আগে, রমনা কালীমন্দিরের চূড়া ছিল প্রায় ২০০ ফুট উঁচু, যা অনেক দূর থেকেও দেখা যেত। সেই চূড়া ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় পাক হানাদারেরা। পরবর্তীকালে, ২০০৬ সালে আবার নতুনভাবে নির্মাণ করা হয় রমনা কালীমন্দির। শুরু হয় পূজার্চনাও।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে রমনা-র নাম। রমনা রেসকোর্স ময়দানেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির উদ্দেশ্যে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরবর্তীকালে, মুক্তিযুদ্ধের পর পাক সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল এই রমনা রেসকোর্স ময়দানেই।

বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, যা আগে রেসকোর্স ময়দান হিসেবে পরিচিত ছিল, তার বহির্ভাগেই অবস্থান এই কালীমন্দিরের।

সেই মন্দিরেরই আনন্দময়ী আশ্রমে বহুতল ভক্তনিবাস ও পুনর্নির্মাণের জন্য, প্রাথমিকভাবে ৭ কোটি টাকা অনুদান দিল ভারত সরকার। পরবর্তীকালে, এক হাজার আসনের আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ ও অন্যান্য উন্নয়ন খাতে দেওয়া হবে আরও অনুদান। কালীমন্দিরের সংস্কারকার্য পরিদর্শনে গিয়ে, এমনটাই জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রিভা গঙ্গোপাধ্যায় দাশ।