মুক্তির আগেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’ সিনেমাটি নিয়ে। প্রথমে কলকাতায় কোনো হল পাওয়া যাচ্ছিল না, তা নিয়ে ফেসবুকে প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পর কলকাতায় বেশ কয়েকটি হল বরাদ্দ হয়। যদিও শো টাইম কোথাও একটি, কোথাও দুটি। যদিও শর্ত ছিল, প্রথম চার-পাঁচ দিনে যদি আশানুরূপ দর্শক না হয়, তাহলে সিনেমাটি হল থেকে তুলে নেওয়া হবে। কেননা পুজোর মরসুমে অনেক বিগ বাজেটের সিনেমা আসছে। সিনেমার গুণগত মানের থেকে ব্যবসায়িক দিকটাই যে হলমালিকেরা দেখবেন, সেটাই স্বাভাবিক। তারপরে শ্লোগান উঠল, ‘প্রথম চারদিন, হল ভরিয়ে দিন’। অবশেষে, দর্শকসংখ্যা যথেষ্ট না হওয়ায় কলকাতার সমস্ত হল থেকেই পাঁচদিন পরে উঠে গেল বহু আলোচিত ও প্রশংসিত এই বাংলা সিনেমাটি।
এই ঘটনা বাংলা কম বাজেট কিন্তু ভালো সিনেমার পক্ষে খুব ভালো বার্তা নিয়ে এল না। স্বাভাবিকভাবেই, বেশিরভাগ লোকের অভিমত এই যে, বিগ বাজেটের সিনেমা না হলে ভালো সিনেমারও কদর নেই। তাকে টিকে থাকতে গেলে লড়াই করেই টিকে থাকতে হবে।
ওদিকে পরিচালক প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য্য তাঁর ফেসবুক পোস্টে কিছু ক্ষেত্রে বিস্ময় ব্যক্ত করেছেন। লেক মলের মতো সিনেমাহলে ভালোই দর্শক হয়েছিল। তারপরেও কেন এই সিনেমা তুলে দেওয়া হল, তা নিয়েও অবাক তিনি। কেননা দর্শক সংখ্যাই যদি বিবেচ্য হয়, তাহলে লেক মল-সহ আরও দু-একটি হলে এই সিনেমাটির আরও কিছুদিন শো পাওয়া উচিৎ ছিল।
এতকিছুর পরও, পুজোর মরসুমে ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’-র মতো সিনেমা দেখার জন্য হলমুখী হননি বেশিরভাগ দর্শকই, তা স্পষ্ট। টলিউডে এই মুহূর্তে হিট সিনেমার সংখ্যা ক্রমশ কমছে। কনটেন্টের দিকে ঝুঁকছেন দর্শক। বাণিজ্যিক বাংলা ছবির অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। কিন্তু তারপরেও তুলনায় কম বাজেটের যে যে ভালো ছবি তৈরি হচ্ছে, নতুন প্রযোজকরাও লগ্নি করছেন যখন, তার যদি এরকম ভবিষ্যৎ হয়, তাহলে বাংলা ছবির ক্ষেত্রে মোটেই সুখকর ঘটনা নয়। এমনটাই মনে করছে চলচ্চিত্র মহল।