আগামী ২০ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার মুক্তি পেতে চলেছে পরিচালক প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য্যের দ্বিতীয় ফিচার ফিল্ম ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’। শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের উপন্যাসের আধুনিক রূপায়ণ এটি। ইতিমধ্যেই সিনেমাটির ট্রেলার ও গান দর্শকদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে যথেষ্ট। সিনেমাটিতে অভিনয় করছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, জ্যোতিকা জ্যোতি, অপরাজিতা ঘোষ দাস, সায়ন, রাহুল প্রমুখ।
আরও পড়ুন
'মনে কষ্ট নিয়ে সিনেমা বানিয়ে লাভ নেই' - প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য্যের সাক্ষাৎকার
অথচ এতদিন পর্যন্ত দর্শক জানতে পারেননি, সিনেমাটি কোন কোন হলে মুক্তি পাবে। আজ সন্ধ্যায় পরিচালকের একটি ফেসবুক পোস্টে জানা যায়, কলকাতায় একটিও হল পায়নি ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’। এমনকি, সারা ভারতেও পেয়েছে মোট ছ’টি সিঙ্গল স্ক্রিন, যার একটি আবার ত্রিপুরার আগরতলায়। পশ্চিমবঙ্গের বাকি পাঁচটি হলের অবস্থান উদয়নারায়ণপুর, বারুইপুর, সোদপুর, কোচবিহার ও শিলিগুড়িতে।
আর এতেই হতাশ পরিচালক ও অন্যান্য কলাকুশলীরা। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন নাগরিকদের একাংশও। পরিচালকের বক্তব্য, সিনেমাটির উপস্থাপনা এবং নির্মাণ অনেকটাই নাগরিক; সেহেতু শহরের দর্শক না পেলে সমস্যা হবে যথেষ্ট। বরাদ্দ সব হল মফঃস্বলে হওয়ায়, ক্ষোভের কারণ রয়েছে যথেষ্ট। কলকাতার নিকটবর্তী বলতে একমাত্র সোদপুরের ‘রথীন্দ্র’ সিনেমা হল।
সমাধান হিসেবে অনেকেই বলছেন নিজেদের উদ্যোগে সিনেমাটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দেখানোর কথা। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্যও, যথেষ্ট হল পাওয়া উচিৎ ছিল সিনেমাটির। যেখানে অনেক নিম্নমানের ও সস্তা রুচির সিনেমা শতাধিক হল পায় এই বাংলাতেই, সেখানে প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য্যের সিনেমাটি কলকাতায় একটিও স্ক্রিন পেল না কেন, এ-নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে চক্রান্তের অনুমানও করছেন। এ-বিষয়ে অবশ্য পরিচালকের বক্তব্য, কলকাতায় কেন একটিও হল বরাদ্দ করা হল না, তা তাঁর অজানা।
প্রসঙ্গত, প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য্য তাঁর প্রথম ফিচার ফিল্ম ‘বাকিটা ব্যক্তিগত’র জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন ২০১৪ সালে। জাতীয় স্তরে সম্মানিত পরিচালকের সিনেমার মুক্তি নিয়ে এমন অব্যবস্থা দেখে ক্ষুব্ধ সকলেই।
দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন হল বরাদ্দ করা হয়েছে সিনেমাটির জন্য –
- রূপসী – আগরতলা
- আনন্দময়ী – উদয়নারায়ণপুর
- মিলন – বারুইপুর
- রথীন্দ্র – সোদপুর
- নিউ সিনেমা – কোচবিহার
- রবীন্দ্র মঞ্চ - শিলিগুড়ি