হাতে আর মাত্র বছর দেড়েক সময়। তারপরই ফুটবল মহারণের আসর বসতে চলেছে আরবের ছোট্ট মরুদেশ, কাতারে। পুরোদমে চলছে তার প্রস্তুতি। আর তার পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে চমক। সম্প্রতি নির্মাণ শেষ হল ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম ফুটবল স্টেডিয়াম আল বায়েতের। আর অত্যাধুনিক এই স্টেডিয়ামই ফুটিয়ে তুলবে আরবের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে।
আরবের জনজীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে তাঁবুর ব্যবহার। সাম্প্রতিক সময়ে আরবের দেশগুলিতে আধুনিকীকরণ এবং উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও, আজও সমস্ত উৎসবের আয়োজন করা হয় তাঁবুতে। তাছাড়াও আরবের বিস্তীর্ণ মরুপ্রদেশে সহস্রাধিক বছর ধরে তাঁবু খাঁটিয়েই বসবাস করে আসছে নোমাডিক জনগোষ্ঠীর মানুষেরা। নোমাডিক জনগোষ্ঠীর এই বিশেষ তাঁবুর আদলেই তৈরি হয়েছে অত্যাধুনিক আল বায়েত স্টেডিয়াম।
শুধু বাইরের আকৃতিই নয়, এই স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরেও রয়েছে আরবি সংস্কৃতির ছোঁয়া। স্টেডিয়ামের সিলিং সেজে উঠেছে লাল-কালো রঙের ঐতিহ্যবাহী ‘সাদু’ নকশায়। প্রেস রুম থেকে শুরু করে বিলাসবহুল হোটেল, খেলোয়াড়দের থাকার ও শরীরচর্চার পৃথক পৃথক ঘরও রয়েছে স্টেডিয়ামের মধ্যেই। সেখানেও পরতে পরতে লুকিয়ে আরবি সংস্কৃতির চিহ্ন, সজ্জা। তাছাড়াও স্টেডিয়াম লাগোয়া অঞ্চলে থাকছে পার্কিংয়ের জায়গা, পরিবেশবান্ধব সবুজ বাগান। ঠিক যেন মরুভূমির মাঝে একখণ্ড ওয়েসিস। বৈদেশিক দর্শকদের আরবের ইতিহাস সম্পর্কে অবগত করতেই এহেন উদ্যোগ কাতার সরকারের।
কাতারের আল খোর শহরে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামের নির্মাণ শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। সম্প্রতি রূপদান শেষ হয় এই স্টেডিয়ামের। গত জানুয়ারি মাসেই পরিবেশবান্ধব পরিকাঠামো, বৈদ্যুতিক শক্তি সংরক্ষণ এবং ম্যানেজমেন্টের জন্য ক্লিনচিট পেয়েছিল আল বায়েত। ৬০ হাজার দর্শকাসন সমৃদ্ধ এই স্টেডিয়ামেই আয়োজিত হবে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ। তাছাড়াও সেমিফাইনাল-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আসর বসবে আল বায়েতে। শুধুমাত্র ফুটবল ম্যাজিকই নয়, সেইসঙ্গে এই স্টেডিয়ামের রূপসজ্জাও যে বিশেষভাবে আকর্ষিত করবে দর্শকদের, তা আর বলার অপেক্ষা থাকে না…
আরও পড়ুন
অবশেষে জল্পনার অবসান, পিএসজি-র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেন লিও মেসি
Powered by Froala Editor