সাম্প্রতিক বেশ কিছু বছর ধরেই বিজ্ঞানীরা পৃথিবীজুড়ে বেড়ে চলা মেডিক্যাল ওয়েস্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। আর এর মধ্যেই এসে গেল করোনা ভাইরাসের আক্রমণ। ভাইরাসের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এখন চিকিৎসক তো বটেই, অন্যান্য পেশার মানুষদেরও নিত্যসঙ্গী মাস্ক, গ্লাভস, ফেস গার্ড। একসঙ্গে যাদের বলা হয় পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট বা সংক্ষেপে পিপিই। আর এর ফলে যে চিকিৎসাজনিত বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে, সেটা কোনো সমীক্ষার অবকাশ রাখে না। কেবলমাত্র আমাদের দেশেই প্রতিদিন কয়েক টন বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে। আর এই সংকটের মোকাবিলায় এবার মাঠে নামলেন পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের গবেষকরা।
ডিসপোজেবল মাস্ক, গ্লাভস, এন-৯৫ রেসপিরেটর, ফেস গার্ড প্রভৃতি সমস্তকিছুই তৈরি হয় নানা ধরনের নন-বায়োডিগ্রেডেবল পলিমার থেকে। ফলে এইসব উপাদান পুনরায় ব্যবহার করা ছাড়া, অন্য কোনো উপায় নেই। ইতিমধ্যে এই কাজে ডিটারজেন্ট, অ্যালকোহল, স্যানিটাইজার প্রভৃতি ব্যবহার করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ডিন অফ সায়েন্স প্রিন্স শর্মা। কিন্তু কোনো মামুলি পদ্ধতিতে তেমন ফল পাওয়া যায়নি। গবেষকদের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল, প্রতিটি উপাদান সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করতে হবে কিন্তু কোনোভাবেই তার কর্মক্ষমতা নষ্ট করা চলবে না।
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ডা. নবীন গুপ্তার তত্ত্বাবধানে গবেষণা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। পরিমিত তাপপ্রয়োগ, অতিবেগুনি রশ্মির ব্যবহার এবং হাইড্রোজেন পারক্সাইডের মতো মৃদু জীবাণুনাশক প্রয়োগের চেষ্টাও করা হয়েছে। অবশ্য এইসব পরীক্ষার ফলাফলের বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ গবেষকরা। তবে খুব শিগগিরিই সাফল্য আসতে চলেছে বলে আশাবাদী তাঁরা। আর এই সমস্যার সমাধান হলে তা যেমন একদিকে পরিবেশের জন্য ভালো খবর, তেমনই অর্থনীতির জন্যও। তাই গবেষকদের দিকে তাকিয়ে দেশের সরকার এবং নীতি-নির্ধারকরাও।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
প্রতিবেশী ছয় রাজ্যকে করোনা টেস্টের সুযোগ, সাহায্যের হাত বাড়াল রাজস্থান