কারোর বাড়ির কাছের রাস্তার নাম হতে চলেছে মনপ্রীত সিং-এর নামে। কারোর এলাকার স্কুলের নাম হতে চলেছে গুরজিৎ কউর। বিষয়টা কল্পনা করতে একটু অবাক লাগতেই পারে। কারণ আমাদের দেশে রাস্তা বা স্কুল বা এমন কোনো প্রাতিষ্ঠানিক নামের ক্ষেত্রে আজও প্রয়াত কোনো মনীষীর স্মৃতিকেই বেছে নেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। তবে সেই রীতি ভাঙতে চলেছে পাঞ্জাব সরকার। সারা দেশ যখন নানাভাবে এবারের অলিম্পিয়ানদের সম্মান জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন পাঞ্জাব সরকার তাদের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের কথা জানিয়েছে।
সম্প্রতি একটি সাংবাদিক সম্মেলনে পাঞ্জাবের স্কুলশিক্ষা ও গণপরিষেবা বিভাগের মন্ত্রী বিজয় ইন্দর সিংলা জানান, পাঞ্জাবের যে সমস্ত খেলোয়াড় এবারের অলিম্পিকে পদক পেয়েছেন বা একটুর জন্য পদক পাননি, তাঁদের প্রত্যেকের নামে একটি রাস্তা বা স্কুলের নামকরণ হবে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-এর সঙ্গেও সমস্ত কথাবার্তা হয়ে গিয়েছে বলে জানান তিনি। আর খুব তাড়াতাড়ি সংশ্লিষ্ট আমলাদের কাছে এই বিষয়ে নির্দেশিকাও পৌঁছে যাবে। পাশাপাশি সিংলা জানান, খেলোয়াড়দের এতদিনের পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার কাছে এই সম্মাননাটুকু তেমন কিছুই নয়। আগামীদিনেও তাঁদের সমস্তরকম পরিকাঠামো দিয়ে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
৪১ বছর পর অলিম্পিক হকিতে ভারতের পদকজয় নিয়ে উচ্ছ্বসিত সারা দেশ। আর এই ব্রোঞ্জপদকজয়ী দলের সদস্যদের মধ্যে ১১ জন রয়েছেন পাঞ্জাব থেকেই। দলের অধিনায়ক মনপ্রীত সিং এবং সহ-অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং, দুজনেই পাঞ্জাবের ভূমিপুত্র। এছাড়াও চতুর্থ স্থানে থাকা মহিলা হকি দলেও ছিলেন গুরজিৎ কউর এবং রীনা খোখার। এঁদের প্রত্যেকের জন্য আর্থিক পুরস্কারের পাশাপাশি এই বিশেষ সম্মাননা জানানো হবে। রাস্তা বা স্কুলগুলি সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের বাড়ির আশেপাশের অঞ্চল থেকেই বেছে নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে পাঞ্জাব সরকার। অলিম্পিয়ানদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি খেলাধুলো নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও এ এক অভিনব প্রয়াস। একেবারে ছোটোবেলা থেকে সবাই পরিচিত হবেন তাঁদের নামের সঙ্গে, জানতে পারবেন তাঁর এলাকাতেই বাস করেন একজন অলিম্পিয়ান। এর ফলে ছোটো থেকেই শিশুদের মধ্যে খেলাধুলোর প্রতি আগ্রহ বাড়বে বলেই মনে করছে পাঞ্জাব সরকার।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
চতুর্থ স্থানের ‘ফাঁড়া’— একটুর জন্য অলিম্পিকে পদক পাননি যেসব ভারতীয়