“এনআরসি-সিএএ’র মতো একটা আইন নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। কোথাও বেকারত্ব নিয়ে কথা হয় না। শিক্ষা খাতে টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। মানুষের হাতে টাকা নেই। কিন্তু সেসব নিয়ে কথা কোথায় বলা হচ্ছে?”
বলছিলেন শাহিনা জাভেদ। তাঁর ও আরও কয়েকজনের নেতৃত্বে প্রায় ১০ দিন ধরে রাজাবাজারে চলছে আন্দোলন। সেই ব্যাপারে জানতেই প্রহর যোগাযোগ করেছিল শাহিনার সঙ্গে।
গত দেড় মাস ধরে এনআরসি-সিএএ নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। উত্তর থেকে দক্ষিণ— প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সর্বত্র। লক্ষ্য একটাই, সংবিধানকে বাঁচাতে হবে। প্রতিবাদের মঞ্চ হিসেবে উঠে এসেছে শাহিনবাগ। ৫০ দিন ধরে, প্রবল ঠান্ডা উপেক্ষা করে, দলে দলে মেয়েরা এসে অবস্থান নিচ্ছে এখানে। কোনো দলীয় পতাকা নয়, বরং সেখানে উজ্জ্বল হয়ে উড়ছে ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকা।
শুধু শাহিনবাগই নয়, কলকাতায় পার্ক সার্কাস ময়দানেও গর্জে উঠছে প্রতিবাদ। আর সাম্প্রতিকতম মঞ্চ রাজাবাজারে। সেখানকার পরিচিত মুখ শাহিনা জাভেদ-সহ আরও বেশ কয়েকজনের নেতৃত্বে আন্দোলনে নেমেছেন সেখানকার মানুষরা। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলছে তাঁদের অবস্থান, বিক্ষোভ।
পার্ক সার্কাসের মতোই সারারাত মানুষরা রয়েছেন এখানে। সকালেও অবস্থানে বসছেন তাঁরা। আট থেকে আশি - প্রত্যেকেই, প্রতিদিন হাজির হচ্ছেন রাজাবাজার মোড়ে। বাদ নেই শিশু, মহিলারাও। স্থান আলাদা হলেও, এঁদের লক্ষ্যও শাহিনবাগ, পার্ক সার্কাস ময়দানের থেকে আলাদা কিছু নয়।
শাহিনা আরও বলেন, “শুধু সিএএ-ই একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। আমাদের উদ্দেশ্য সংবিধান রক্ষার। যে সংবিধান প্রত্যেক মানুষকে স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার দিয়েছে। সাম্যের অধিকার আমাদের সবার। সেখানে ধর্মের নামে এরকম বিভেদ কেন?”
রাজাবাজার, নারকেলডাঙা তো বটেই, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ থেকেও এখানে লোকে আসছে। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই আসছেন এখানে। আপাতত সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে আছেন শাহিনারা। তাকিয়ে আছে সবাই। তারপরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ফেবু কপি— এনআরসি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক গোটা দেশ জুড়ে। পার্ক সার্কাসের পাশাপাশি, রাজাবাজারেও শুরু হয়েছে অবস্থান। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবাই এসে যোগ দিয়েছে এখানে। এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়েছে এই আন্দোলনের…