জটিলতার জট কাটার সম্ভবনা দেখা গিয়েছিল মঙ্গলবারেই। অবশেষে সম্পূর্ণ রেহাই পেতে চলেছেন নিত্যযাত্রীরা। বৃহস্পতিবার থেকেই কলকাতার রাস্তায় নামছে বেসরকারি বাস এবং মিনিবাস। এবং তাও পুরনো ভাড়াতেই। সুরক্ষা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে বাস চালানোর জন্য বেশি ভাড়া দাবি করেছিলেন মালিকরা। কিন্তু রাজ্য সরকার প্রাথমিকভাবে তাতে সম্মতি জানালেও অবশেষে সিদ্ধান্ত বদল করে। তার ফলে এতদিন রাস্তায় সরকারি বাসের দেখা মিললেও ছিল না কোনো বেসরকারি বাস বা মিনিবাস। এর ফলে নাকাল হতে হয়েছে বহু যাত্রীকেই।
দীর্ঘ আলোচনার পরেও জটিলতা নিষ্পত্তির কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিল না। তবে মঙ্গলবার বাস মালিকদের পিটিশন দাখিলের পর থেকেই অবস্থার খানিকটা পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যায়। বুধবার আবার আলোচনায় বসে বাস মালিক সংগঠনগুলি। এবং সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, পরদিন থেকে রাস্তায় নামবে বেসরকারি বাস এবং মিনিবাস। যদিও ভাড়া বৃদ্ধির দাবি থেকে তাঁরা সরে আসেননি। পাশাপাশি কয়েকজন মালিক এ প্রশ্নও তোলেন, সরকারের অনুমতি ছাড়া ভাড়া বাড়ানো সম্ভব কিনা! পরিবহন দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনোভাবেই ভাড়া বাড়ানো যাবে না। সেইসঙ্গে বাসে সিটসংখ্যার বেশি যাত্রীও নেওয়া যাবে না। মালিকপক্ষ এই সিদ্ধান্তে যথেষ্ট অখুশি হলেও সাধারণ মানুষের দুর্গতির কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এবং ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্বও ছেড়ে দিয়েছেন রেগুলেটরি কমিটির হাতে।
ইতিমধ্যে অটো রিক্সা এবং ক্যাব-ট্যাক্সির ক্ষেত্রে চারজন যাত্রী পরিবহনের অনুমতি জানিয়েছে সরকার। সেইসঙ্গে চালু হয়েছে জলপথ পরিবহনও। সড়ক পরিবহনের ক্ষেত্রেও হাতে গোনা কিছু সরকারি বাস পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সেই সংখ্যা ছিল চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তার মধ্যে ৮ জুন থেকে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস শুরু হতে চলেছে। ফলে দুশ্চিন্তায় ছিলেন চাকুরিজীবীরা। শহরের রাস্তায় যাত্রীদের ভোগান্তির ছবিও সব জায়গাতেই ছিল একইরকম। তবে মালিকপক্ষের সিদ্ধান্তে অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন সাধারণ মানুষ। সেইসঙ্গে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ৮ জুনের মধ্যে ১২০০ বাস চলবে কলকাতার রাস্তায়।
Powered by Froala Editor