কিছুদিন আগেই কেরালার এক নৃশংস দৃশ্য সামনে এসেছিল। অন্তঃসত্ত্বা হাতির সেই মর্মান্তিক হত্যালীলার দু’মাস কাটতে না কাটতেই আরও একবার কেরালাতেই দেখা গেল নৃশংসতার ঘটনা। এবার চোরাশিকারিরা হত্যা করল একটি অন্তঃসত্ত্বা বাইসনকে।
কেরালার মালপ্পুরম জেলার চাক্কিকুঝি অরণের পুঞ্চায় ঘটেছে ঘটনাটি গত সপ্তাহে। জড়িত ছিল ছ’জন চোরাশিকারি— আবু, সুরেশ, বুস্তান, আনসিফ, আশিক, সুহিল। প্রথম মূলচক্রী আবু ধরা পড়েছিলেন পুলিশের কাছে। তাঁর থেকেই সূত্র পেয়ে পরে পুলিশ সম্প্রতি গ্রেপ্তার করে বাকি আরও পাঁচ চোরাশিকারিকে।
গত ১০ আগস্ট পুঞ্চা জঙ্গলের পুপাথিরিপারার একটি বেসরকারি অঞ্চলের জমিতে শিকার করা হয় ভারতীয় গৌড় অর্থাৎ বাইসনটিকে। প্রথম গুলি করা হয়েছিল তাকে। তারপর তার মাংস কেটে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয় ছয় চোরাশিকারি। বন্দুক চালিয়েছিল আবু-ই। প্রাণীটির দেহ টুকরো করতে গিয়েই তারা জানতে পারে, বাইসনটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল। অপরিণত ভ্রূণ পায় তারা। সেটিকেও ছাড়েনি চোরাশিকারিরা। মাংসের সঙ্গে টুকরো করা হয় ভ্রূণটিও।
প্রায় দুশো কেজি মাংস সংগ্রহের পর হাড়, খুলি এবং বাইসনের দেহের অন্যান্য অংশ জঙ্গলের মধ্যেই ফেলে যায় চোরাশিকারিরা। সেখান থেকেই বনকর্মীদের নজরে আসে বিষয়টি। তদন্ত শুরু করেন তাঁরা। ১৯৭২ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় প্রথম পরিচ্ছেদেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল বাইসনের নাম। ভারতীয় গৌড়ের এই প্রজাতিটি বিপন্নপ্রায় প্রজাতির তালিকাতেও রয়েছে।
আরও পড়ুন
দাবি চামড়ার লোভে বিষ প্রয়োগে চিতাবাঘ হত্যা ছত্তিসগড়ে
চোরাশিকারিদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বনদপ্তরের আধিকারিকেরা। জানা গেছে শিকারিদের বিরুদ্ধে ৩-৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। পাশাপাশি তাঁদের দিতে হবে সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকার জরিমানা। কিন্তু এর পরেও কি সচেতনতা আসবে? কেরালায় হাতির মৃত্যুতে উত্তাল হয়েছিল সারা দেশ। নেওয়া হয়েছিল উপযুক্ত ব্যবস্থাও। তা সত্ত্বেও ঠেকানো গেল না বিরল বন্যপ্রাণীর হত্যাকাণ্ড...
আরও পড়ুন
পেটে বর্শা ঢুকিয়ে হত্যা, আফ্রিকায় মারা গেল বিলুপ্তপ্রায় গরিলা
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
কেরালায় অন্তঃসত্ত্বা হাতিকে নৃশংস হত্যা, আনারসের মধ্যে বাজি রেখে খাওয়ালেন গ্রামবাসীরা