বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিতর্কের পর অবশেষে প্রশান্তভূষণের শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্তে এল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চে মামলার অন্তিম শুনানিতে স্থির হয়, তাঁকে ১ টাকা জরিমানা দিতে হবে। অন্যথায় ৩ মাসের কারাদণ্ড এবং ৩ বছর সমস্ত ধরনের আইনি প্র্যাকটিস থেকে বরখাস্ত করা হবে তাঁকে। যদিও এই শুনানির পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে অস্বীকার করেন বিচারকরা।
কিছুদিন আগে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি এবং আরও ৪ বিচারপতির সমালোচনা করে দুটি পৃথক ট্যুইট করেন প্রশান্তভূষণ। আর এর পরেই সামাজিক মাধ্যমে চাঞ্চল্য শুরু হয়। একদিকে কিছু মানুষ এই বরিষ্ঠ আইনজীবীর পক্ষে দাঁড়িয়ে কথা বলেন। তাঁরা বিচারপতিদের সামাজিক দায়িত্ব সম্বন্ধে আরও সচেতন হওয়ার কথা বলেন। অন্যদিকে কেউ কেউ বলতে থাকেন, প্রশান্তভূষণের এই বক্তব্য জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে। অবশেষে ১৪ আগস্ট আদালত অবমাননার দায়ে মামলা শুরু হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
বিচারপতিদের তরফ থেকে বারবার তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলা হলেও প্রশান্তভূষণ বলেন, তিনি যা সত্যি মনে করেছেন তাই বলেছেন। এর জন্য ক্ষমা তিনি চাইবেন না। পাশাপাশি কোনো বিচারপতির কাজের সমালোচনা করা বা বিচারব্যবস্থার মধ্যে থাকা দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়াকে আদৌ আদালত অবমাননার স্তরে ফেলা যায় কিনা, এই প্রশ্নও তোলেন তিনি। প্রশান্তভূষণের পক্ষে দাঁড়িয়ে সারা দেশের ১২২ জন আইন পড়ুয়া সুপ্রিম কোর্টে পিটিশনও জমা দেয়।
একাধিক বিতর্কের পরেও নিজের অবস্থানে অটল থেকেছেন আইনজীবী তথা মানবাধিকার কর্মী প্রশান্তভূষণ। আর তাই হয়তো শাস্তির বিষয়েও বারবার দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়েছেন বিচারপতিরা। ১ টাকার জরিমানা কি আদৌ কোনো টোকেন শাস্তি? নাকি শেষ পর্যন্ত প্রশান্তভূষণের কাছে হার স্বীকার করে নিল সুপ্রিম কোর্ট? এই প্রশ্নও উঠছে সামাজিক মাধ্যমে।
আরও পড়ুন
পরিবেশের নিয়ত ক্ষতি করে চলেছে এই ভাগাড়, আদালতের জরিমানার মুখে রাজ্য
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
রসগোল্লার উৎপত্তি বাংলাতেই, ওড়িশাকে ‘সুমধুর’ হারিয়ে রায় আদালতের