গত বছরের কথা। যখন মার্চের শেষে নতুন অর্থবর্ষ শুরু হচ্ছিল, তখন থমকে রয়েছে গোটা দেশ। ভারত-জুড়ে চলছে কঠিন লকডাউন। সেসময় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সমস্ত কল-কারখানা, পরিবহন ব্যবস্থা। অন্যদিকে সংকুচিত হয়ে এসেছিল মানুষের উপার্জনের পথ। যার ফলে সব মিলিয়ে হঠাৎ-ই কমে গিয়েছিল বিদ্যুতের চাহিদা। কিন্তু কতটা? ২০২০-২১ অর্থবর্ষের সাম্প্রতিক সরকারি রিপোর্ট জানাল, গত বছরের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা কমেছে ০.২ শতাংশ। যা বিগত ৩৫ বছরে প্রথমবারের জন্য নিম্নমুখী।
পরিসংখ্যান বলছে গত বছর মার্চের শেষ থেকেই এক ধাক্কায় ১ শতাংশ কমে গিয়েছিল বিদ্যুতের চাহিদা। আগস্ট পর্যন্ত, অর্থাৎ টানা ছ’মাস স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই কম ছিল বিদ্যুতের খরচ। তবে তারপর ধাপে ধাপে শিথিল করা হয় নিষেধাজ্ঞা। ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ে বিদ্যুতের চাহিদা।
ফেডারাল গ্রিড অপারেটর ‘পোসোকো’-র তথ্য বলছে, আগস্টের পর থেকে একটানা সাত মাস বৃদ্ধি পেয়েছে বিদ্যুতের লোড। চলতি অর্থবর্ষে গত বছরের তুলনায় মার্চের শেষে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে ২৩.৩ শতাংশ। ২০১০ সালের পর থেকে যা দ্রুততম বৃদ্ধি। তবে অর্থনৈতিক সচলতার পাশাপাশি এর জন্য দায়ী তাপমাত্রা বৃদ্ধিও। শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের উচ্চতর ব্যবহার অন্যতম কারণ বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে এই ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা কতদিন স্থায়ী হবে, এখন সেটাই দেখার। আবার নতুন করে মাথা চাড়া দিচ্ছে পরিস্থিতি বদলের সম্ভাবনা। কারণ, কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের আঘাতে আবার দ্রুত বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে আক্রান্তের সংখ্যা। গতকাল দৈনিক সংক্রমণের পূর্ববর্তী সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। ফলত, লকডাউনের পথে আবার হাঁটতে পারে ভারত সরকার। কাজেই চলতি অর্থবর্ষের শেষে ঠিক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে পরিসংখ্যান, তা এখনই অনুমান করা যাচ্ছে না স্পষ্ট করে…
আরও পড়ুন
বিদ্যুৎ-ইন্টারনেটের লাইন এবার ভূগর্ভ-পথেই, উদ্যোগী কলকাতা পৌরসভা
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
৫ বছরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ৪৭টি হাতির মৃত্যু পশ্চিমবঙ্গে