গলা বরফেও বহাল তবিয়তে এই শ্বেতভাল্লুকরা

বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে গলছে দুই মেরুর বরফ। ফলে বিপন্ন বাস্তুতন্ত্র। পশুপাখিরা দাঁড়িয়ে বিলুপ্তির পথে। তবে তাদের কেউ কেউ আবার এই বদলে যাওয়া উষ্ণ আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করছে। যেমন দক্ষিণ-পূর্ব গ্রিনল্যান্ডের (Greenland) অধিবাসী শ্বেতভল্লুকদের (Polar Bear) একটি উপপ্রজাতি। গবেষণা বলছে, এই শ্বেতভল্লুকরা হিমশিলা ভাঙা গলন্ত বরফ থেকেই খুঁজে নিচ্ছে শিকার। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, উষ্ণতা বাড়ায় আরো বিপন্ন শ্বেতভল্লুকরা। কিন্তু এই উপপ্রজাতিটির উষ্ণ তাপমাত্রা সইবার ক্ষমতা রয়েছে। সংখ্যায় হয়তো কয়েকশো হলেও, বরফ গলা জলে দিব্যি জীবনধারণ করতে পারে তারা। এছাড়া স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং, টিস্যু স্যাম্পেল সহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহের পর দেখা গিয়েছে, এই ভালুকরা তাদের জাতভাইদের থেকে খানিক বিচ্ছিন্নভাবেই বসবাস করে। এবং অন্যান্য শ্বেত-ভালুকদের সঙ্গে এদের সূক্ষ্ম জিনগত পার্থক্যও রয়েছে। 

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী ক্রিস্টিন লেইড্রের কাছে তথ্যটি একেবারেই ‘অনভিপ্রেত’।  তিনিই শ্বেতভল্লুকদের নিয়ে গবেষণাপত্রটির রচয়িতা। প্রায় দু'দশক ধরে গ্রিনল্যান্ডে জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বাস্তুতন্ত্র নিয়ে কাজ করছেন ক্রিস্টিন। এবং সাদা ভালুকদের গতিবিধি লক্ষ করতে গিয়ে চোখে পড়েছে এই উপপ্রজাতিটির নানা বৈশিষ্ট্য। কয়েকশো বছর ধরে ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে তাদের বাঁচার কথাটিও স্থান পেয়েছে গবেষণায়। যদিও এই সাদা ভালুকদের খাদ্যাভ্যাস দক্ষিণ পূর্ব গ্রিনল্যান্ডের তুলনামূলকভাবে উষ্ণ আবহাওয়ার মানানসই, তাপমাত্রা আরো বাড়লে এই প্রজাতিটিও সংকটের মুখে পড়বে–এমনই আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, টাইগ্রিসের গর্ভ থেকে উঠে এল প্রাচীন নগরী