লকডাউনের সময়ও চোরাশিকার, মারা গেল বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির পাখি

করোনা সংক্রমণে গোটা বিশ্ব নাজেহাল। সমস্ত জায়গাতেই জীবনযাত্রা স্তব্ধ। এই পরিস্থিতিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে পরিবেশ ও অন্যান্য প্রাণীর দল। চিড়িয়াখানা হোক, বা ন্যাশনাল পার্ক, বা বন-জঙ্গল; সব জায়গাতেই বেশ শান্তিতে আছে তারা। কিন্তু তাতেও নিস্তার নেই। এই লকডাউনের পরিস্থিতির মধ্যেও শুরু হয়েছে চোরাশিকারের ঘটনা। আর তাতে প্রাণ গেল তিনটি বিলুপ্তপ্রায় পাখির।

ঘটনাটি ঘটেছে কম্বোডিয়ার শেপ ওয়াইল্ডলাইফ স্যানচুয়ারিতে। অন্যান্য জীবজন্তুদের সঙ্গে সেখানে রয়েছে জায়ান্ট ইবিস পাখি। সম্প্রতি সেখানেই এই প্রজাতির তিনটি পূর্ণবয়স্ক পাখিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরবর্তীতে পরীক্ষা করার পর এদের শরীরে বিষ পাওয়া যায়। সেখান থেকেই ধারণা করা হয়, সম্ভবত চোরাশিকারের কবলে পড়েছিল পাখিগুলি। তার প্রমাণও মেলে পরে। স্যানচুয়ারির ভেতরে যেখানে পাখি তিনটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, সেখানেই একটি গর্তের মধ্যে পাওয়া যায় রাসায়নিক। কার্বোফিউরান নামে ওই রাসায়নিক পাখিদের শরীরে সাংঘাতিক বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে। জল ভেবে ওই পদার্থটি কোনোভাবে খেয়ে ফেলে এই তিনটি পাখি। তারপরেই মৃত্যু।

আইইউসিএন-এর রেড লিস্টে ইতিমধ্যেই নাম আছে এই জায়ান্ট ইবিস পাখির। গোটা পৃথিবীতে হাতে গোনা কিছু সংখ্যক পাখিই বেঁচে আছে। হ্যাঁ, প্রায় বিলুপ্তির পথেই এই প্রজাতি টি। এছাড়াও, কম্বোডিয়ার জাতীয় পাখি এটি। তাকে রক্ষা করার সমস্ত রকম প্রচেষ্টাই নিচ্ছে দেশটি। কিন্তু এই চোরাশিকারের ঘটনা সেই কাজেই বারবার বাধা সৃষ্টি করছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি লকডাউনের পরিস্থিতিতেই কম্বোডিয়া ও তার আশেপাশের জায়গায় চোরাশিকার বেড়ে গেছে। এমনিতে করোনার জন্য পর্যটন বন্ধ। লোকজনও কম। সেই সুযোগটাই নিচ্ছে এরা। খুব শীঘ্রই কড়া পদক্ষেপ না নিলে, হয়ত সত্যিই অনেক প্রাণীকে হারিয়ে ফেলব আমরা।