কথায় বলে, ওপরে কঠিন, কঠোর; কিন্তু ভেতরটা সেরকমই নরম। জলের মতো সহজ। চেনা পরিচিত অনেক মানুষের ক্ষেত্রেই এমন কথা বলে থাকি আমরা। কিন্তু আস্ত একটা গ্রহের যদি এমনটা হয়? মানে বাইরেটা শক্ত; কিন্তু ভেতরে রয়েছে গোটা একটা সমুদ্র! অবাক হলেও, ঠিক এমনটাই ঘটেছে প্লুটোর সঙ্গে। সম্প্রতি নাসার বিজ্ঞানীদের নজরে পড়েছে এমনই বিস্ময়কর জিনিস।
আজ থেকে প্রায় সাড়ে চার বিলিয়ন বছর আগে জন্ম হয়েছিল প্লুটোর। একটা সময় সূর্যের গ্রহগুলির তালিকাতেও তাকে ধরা হত। অবশ্য এখন একরকম ব্রাত্যই করে দেওয়া হয়েছে। ছোটো আকৃতির জন্য তাকে বামন গ্রহের তকমাও দেওয়া হয়েছে। তবে এবার প্লুটোকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সৌজন্যে নাসার নিউ হরাইজনস স্পেসক্রাফট। সেখান থেকেই নতুন একটি তথ্য পেলেন বিজ্ঞানীরা। প্লুটোর ভেতরে একটি আস্ত সমুদ্র লুকিয়ে আছে। নিউ হরাইজনের পক্ষ থেকে যে ছবি দেওয়া হয়েছে, তাতে এমনই একটি চিত্র দেখতে পাচ্ছেন তাঁরা। বাইরের কঠিন আস্তরণের ভেতরেই এর অবস্থান বলে এখনও জানতে পারছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
পৃথিবী ছাড়া আর কোন গ্রহে জল আছে, এর সন্ধানে মহাকাশের অনেক জায়গাতেই খোঁজ চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বাদ যায়নি সৌরমণ্ডলও। কিছুটা আশাপ্রদ ফলও পাওয়া গেছে। সূর্য থেকে দূরবর্তী গ্রহগুলিতে জল বা বরফের সন্ধান পাওয়া গেছে আগে। আর জল মানেই, সেখানেই জীবনের সম্ভাবনা থাকতে পারে। সেই কারণেই প্লুটোর এমন তথ্য বিজ্ঞানীরা ফেলনার চোখে দেখছেন না। তবে প্লুটোর কতটা ভেতরে এই ‘সমুদ্র’, কবে তৈরি হয়েছিল, এখন কী অবস্থায় আছে, এটা এখনই বলা যাচ্ছে না। এর জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন। আপাতত তারই চেষ্টায় বিজ্ঞানীরা। বামন গ্রহ হলেও, এই ব্যাপারে প্লুটোকে আপাতত হেলাফেলা করছে না কেউ!