সাম্প্রতিক সময়ে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ভারত বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। মঙ্গলযান থেকে চন্দ্রযান— সমস্ত ক্ষেত্রেই ভারতীয় বিজ্ঞানীরা বিশ্বের প্রশংসা অর্জন করেছে। কিন্তু আমাদের ‘প্রাক্তন’ প্রতিবেশী প্লুটোর সঙ্গেও যে একজন ভারতীয় বিজ্ঞানী জড়িয়ে আছেন, সেই খবর জানতেন? বিশুন খারে হলেন সেই বিস্মৃত বিজ্ঞানী।
১৯৩৩ সালে বারাণসীতে জন্ম নেওয়া বিশুন খারে ছোট থেকেই ছিলেন বিজ্ঞানে তুখোড়। অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন— এই তিনটি বিষয় নিয়েই তিনি বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক হন। পরবর্তীকালে ডক্টরেট করার পর তাঁর জীবনে আসেন বিখ্যাত পদার্থবিদ কার্ল সাগান। ১৯৬৮ থেকে টানা ২৮ বছর কার্ল সাগানের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। এই সময় থেকেই পৃথিবীতে জীবনের উৎস সম্পর্কে তাঁর গবেষণা শুরু করেন। কোথা থেকে এল এই প্রাণ? অন্যান্য গ্রহ-উপগ্রহতে এই রাসায়নিক বস্তুগুলো কীভাবে সংশ্লেষিত হচ্ছে? এই জিজ্ঞাস্য থেকেই শুরু হয় তাঁর অনুসন্ধান। আর সেই অনুসন্ধানই তাঁকে বিশ্বের বৈজ্ঞানিক মহলে সমাদৃত করে।
একপ্রকার নীরবেই ২০১৩ সালে চলে যান বিশুন খারে। তাঁর স্মরণে, প্লুটোর একটি গহ্বরের নামকরণ করা হয় তাঁর নামে— খারে ক্র্যাটার। আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক মহল তাঁকে সম্মানিত করেছে নানা ভাবে। কিন্তু, তাঁর নিজের দেশের লোকেরাই কি তাঁকে মনে রেখেছে?