নিজেদের বর্জ্য অন্যান্য গরিব দেশে রপ্তানি করার পদ্ধতি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নতুন কিছু নয়। এভাবে বৈদ্রশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি, প্রথম বিশ্ব হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি পরিচ্ছন্ন রাখতেও চায় তারা। কোথাও কি দমনের প্রবণতাও কাজ করে? কে জানে!
সে যাই হোক, সম্প্রতি আমেরিকার অন্যতম বড় আবর্জনা সংগ্রাহক সংস্থা, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের একটি ঘোষণা নজর কেড়েছে। তারা জানিয়েছে, উত্তর আমেরিকার বাইরে কোন দেশে বর্জ্য প্লাস্টিক রপ্তানি করবে না। ২০১৭ সালে মিশ্র প্লাস্টিক ও ওয়েস্ট পেপারের রপ্তানির উপর চিনের বিশেষ নিষেধাজ্ঞার কারণ এর পিছনে কাজ করছে। ছোট দেশগুলিতে এই বিপুল বর্জ্য পদার্থ নিয়ন্ত্রণ করার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে আপাত অর্থে।
সংস্থাটির দেওয়া তথ্য অনুসারে, আমেরিকায় ব্যবহৃত কাগজ ও প্ল্যাস্টিকের ৭৭ শতাংশই তারা আবার ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। এই রিসাইক্লিং-এর ফলে, ২০১৯-এর মধ্যে প্লাস্টিকের রপ্তানি কমিয়ে প্রায় শূন্যতে নামিয়ে আনতে পেরেছে তারা।
রিসাইক্লিং-এর মাধ্যমে প্লাস্টিককে কীভাবে আরও ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা যায়, তা নিয়ে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাও কাজ করে চলেছে প্রতিনিয়ত।
পৃথিবী সম্পূর্ণ প্লাস্টিকমুক্ত যতদিন না হচ্ছে, ততদিন এই পুনর্ব্যবহারের চেষ্টাকে স্বাগত জানানোই যায়!