পরিবেশ রক্ষার উদ্দেশ্যেই আবিষ্কৃত হয়েছিল অধুনা পরিবেশঘাতী প্লাস্টিক ব্যাগ

পরিবেশ রক্ষার্থে প্লাস্টিক নিয়ে জলঘোলা কম হচ্ছে না। আবার এই প্লাস্টিক জলে ভেসে নষ্ট করছে জলজ প্রাণীদের বাস্তুতন্ত্র। বলা হচ্ছে আর কয়েক বছর পর, সমুদ্রে মাছের থেকে প্লাস্টিকের সংখ্যা অধিক হয়ে যাবে। অথচ, আশ্চর্য লাগলেও সত্যি, পরিবেশ বাঁচাতেই প্লাস্টিকের ব্যাগ আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৯৫৯ সালে। স্টেইন গুস্তাফ থুলিন নামের এক ব্যক্তি সুইডেনে প্রথম প্লাস্টিকের ব্যাগ আবিষ্কার করেছিলেন।

অথচ এ মুহূর্তে পরিবেশ রক্ষার্থে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর দাবি তুলেছেন পরিবেশবিদরা। কিন্তু আজ থেকে প্রায় ষাট বছর আগে ছিল না প্লাস্টিকের ব্যাগের এই প্রাচুর্যতা। বাজার থেকে ফেরার পথে কাগজের ব্যাগ বা থলে ছিল তখনকার ভরসা। কিন্তু প্রচুর কাগজ ব্যবহারের ফলে কাটা পড়তে লাগল বহু সংখ্যক গাছ। তাই পরিবেশ বাঁচাতে চিন্তিত স্টেইন নিয়ে আসলেন প্লাস্টিকের ব্যাগ। কিন্তু পঞ্চাশ বছর পরের ভবিষ্যত তিনি তখন আন্দাজ করতে পারেননি।

ক্রমশ এই প্লাস্টিকের ব্যাগই হয়ে উঠল পাঁচশো কোটি মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহারকারীদের সংখ্যা। অবশেষে মানুষকে সচেতন করার মাধ্যমে এখন সুতোর ব্যাগের ব্যবহার সম্প্রতি খানিকটা বাড়লেও, এই ব্যাগ তৈরিতে প্রচুর শক্তি ক্ষয় হয়। লাগে প্রচুর জলও। অথচ এই মুহূর্তে পৃথিবীতে পানীয় জলের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। সব মিলিয়ে এ যেন এক উলটপুরাণ।

এক শক্তির ব্যবহার কমাতে কখন যে আরেক শক্তির ব্যবহারকে বাড়িয়ে তুলেছেন স্টেইন, তা আমরা কেউ-ই টের পাইনি। তাই সুতোর ব্যাগকে বারবার ব্যবহার করে, এমনকই ছিঁড়ে গেলেও তাকে সেলাই করে পুনর্ব্যবহার করার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এখন এ ব্যাপারে মানুষ যত দ্রুত সচেতন হবে, ততই পৃথিবীর মঙ্গল।