সূক্ষ্ম প্লাস্টিকের কণা বাসা বাঁধছে মানবদেহেও, গবেষণায় চাঞ্চল্য

প্লাস্টিক। বর্তমান বিশ্বে একটা আতঙ্কের নাম। বহুদিন ধরেই বিপুল পরিমাণে ব্যবহৃত হওয়া এই বস্তুটি ঠিক কীরকম ক্ষতি আজ ডেকে এনেছে, তাঁর খবর মোটামুটি আমরা জানি। নদীনালায় থরে থরে জমে থাকে প্লাস্টিক জঞ্জাল। কিন্তু সেইগুলো বাদ দিয়েও প্লাস্টিকের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম কণা, চলতি ভাষায় মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রচুর পরিমাণে জলে মিশছে। আর এখান থেকেই রোগের প্রকোপ আরও দিনকে দিন বেড়ে চলেছে।

সম্প্রতি ইংল্যান্ডের সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল এবং প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষকদের করা একটি গবেষণায় এমনই ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। এমনিতে প্লাস্টিকজাত জঞ্জালের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। প্রতিবছর পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ৩০ কোটি টন প্লাস্টিক তৈরি করা হয়। এর মধ্যে ১.৩ কোটি টন যায় জলাশয়, নদীতে, সমুদ্রে। তার মধ্যে এই ন্যানো এবং মাইক্রো প্লাস্টিকের কণা— যেগুলোকে খালি চোখে দেখা প্রায় অসম্ভব, সেগুলোও অত্যাধিক পরিমাণে জলে এসে মিশছে। যেটা খুব সহজেই একটা প্রাণীর শরীরে ঢুকে যেতে পারে। যার ফলে জলের স্বাভাবিক বাস্তুতন্ত্রের তো ব্যাঘাত ঘটছেই, মানুষের শরীরেও সেটি বাসা বাঁধছে। ফলে বাড়ছে রোগের প্রকোপ। প্রধানত বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতির সঠিক পরিকল্পনার অভাব এবং উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন গবেষকরা। যদি এরকম ভাবেই চলতে থাকে, তাহলে খুব বড় কোনও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে আমাদের।

Latest News See More